আবো. ডেক্স :
রাসুলে পাক ﷺ’র শানে কালে কালে বিভিন্ন ভাষায় কত কাসিদা, কবিতা, নাত, প্রবন্ধ লিখা হলো— যার কোন হিসেব নেই। বাংলা সাহিত্যে রাসুল ﷺ’র শানে সবচেয়ে বেশি শব্দচয়ন যিনি করেছেন— তিনি হলেন আশেকে রাসুল ﷺ সুফি কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
একবার কোন এক প্রসঙ্গে ইব্রাহীম খাঁ এর সাথে আলোচনার সময় কবি বলেছিলেন,
” আমার শ্রেষ্ঠতম গুরু সেই হযরত মুহাম্মদ ﷺ’র কথা মনে করুন, তিনি মেরাজে গেলেন, কিন্তু ধরার ধুলিকে ভুললেন না— ফিরে এলেন”।
রসূলে পাক ﷺ’র আগমনে আসমান-জমিন সহ সকল সৃষ্টি আনন্দে আত্নহারা— কবিও আনন্দে লিখলেন,
“তোরা দেখে যা আমেনা মায়ের কোলে…”।
সকল মাখলুকাতের আনন্দ প্রকাশে কবি লিখলেন,
“কুল মাখলুকে আজি ধ্বনী উঠে, কে এলো ঐ
কালেমা শাহাদাতের বাণী ঠোটে, কে এলো ঐ…”।
আরো লিখলেন,
“ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়,
আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়…”।
রাসুলে পাক ﷺ’র প্রেমে বিভোর হয়ে কবি লিখলেন,
“তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার মুহাম্মদের নাম…”।
প্রেমের আক্ষেপ নিয়ে গাইতেন,
“মুহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে,
তাই কিরে তোর কন্ঠের গান এমন মধুর লাগে…”।
রাসুল ﷺ’র কদম মুবারক বুকে নেওয়ার আকুতি নিয়ে লিখলেন,
“আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ….”।
মদিনায় যাওয়ার আকুতি নিয়ে লিখলেন,
“মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়,
আয় মরুপারের হাওয়া, নিয়ে যারে মদিনায়…”।
প্রিয়নবী ﷺ’র প্রশংসায় গাইতেন,
“মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লে আলা,
তুমি বাদশারই বাদশাহ কামলিওয়ালা…”।
উপরের পংক্তিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে তিনি কেমন আশেকে রাসুল ﷺ ছিলেন। এছাড়াও তিনি অগণিত শব্দ চয়ন করেছেন রাসুলে পাক ﷺ’র শানে।
২৪ মে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ধরার বুকে এসেছিলেন। আল্লাহ পাক প্রিয় কবির মাকাম বুলন্দ করুক এবং আমাদেরকে প্রিয়নবী ﷺ’র আশেক তথা প্রেমিক হিসেবে কবুল করুক। আমিন।