নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাধারণত উৎপাদিত ফসলের অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যায় যথাযথ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্যাকেটজাত করার অভাবে। কৃষকের উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র বিপণনের কৌশল ও সংরক্ষণের কাজটুকু করেই লাভবান হচ্ছেন অথচ কৃষক উৎপাদিত ফসলের ন্যায দাম নিতে পারছেন না।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভায় ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা ও প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ক কৃষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা বাস্তবায়ন করছে গবেষণাধর্মী প্রতিষ্টান সমাহার।

ফসল সংগ্রহ, বাছাই, সংরক্ষণ ও বিপণন করার নানান পদ্ধতি তুলে ধরে বক্তারা বলেন দুধ একদিনের বেশি রাখা যায় না, যদি পনির, ছানা বা মাখন তৈরি করার মাধ্যমে তা অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়, ভালো দামও পাওয়া যায়। যেমন ধানের কেজি যদি ২৬ টাকা হয়, চাউলের মূল্য ৪০-৪৫ টাকা, আবার তা মুড়ি বা খই বানিয়ে বিক্রি করলে কেজিতে প্রায় ৬০ টাকা পাওয়া যায়। উৎপাদিত ফসল যথাযথ ভাবে সংগ্রহ, বাছাই, সংরক্ষণ ও প্যাকেটজাত করে বাজারজাত এবং বিপণন করার কলাকৌশল জানা থাকলে ন্যাযমূল্য পাওয়া যায়। এর জন্য উদ্যোক্তা হতে হবে।

এ কর্মশালায় পৌর এলাকার ২৫জন ক্ষুদ্র কৃষক অংশ নেন। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এসএসিপি’র মার্কেটিং ফ্যাসিলিটেটর খাদিজা আহমেদ, সমাহারের রিসোর্স পার্সন মো. মোক্তারুল আলম, মো. নাসির উদ্দিন ও উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দুর্গা পদ দেব।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here