যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যের মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৯১তম খোশরোজ শরিফ সম্পন্ন হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর ছিল খোশরোজ শরীফের প্রধান ও শেষ দিন। ২৫ ডিসেম্বর রাত ১০টায় গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ আয়োজিত মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী বলেন,
হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর সমগ্র জীবন-দর্শনে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির মিলনের কথাই ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ‘ইনসানকে ইনসানে কামেলে উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে যে সাধনা-জাগতিক ও আধ্যাত্মিক পরিচর্যা তারই এক সুমহান পথপ্রদর্শক ছিলেন শাহানশাহ্ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী।
তিনি আরো বলেন, ‘আশ্রাফুল মাখ্লুকাত’ হিসেবে নিজেদের যথাযোগ্য মর্যাদায় গড়ে তুলতে হলে ‘মা’ জাতির প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শনসহ ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনাচরণে অহংকার, স্বার্থ, লোভ ও প্রতিহিংসার উর্ধ্বে উঠে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখার চেষ্টাই হবে নিরন্তর সাধনা এবং সততা, নীতি নৈতিকতা ও সর্বক্ষেত্রে শুদ্ধ জীবন যাপনই হবে স্রষ্টা পথের পাথেয়। তিনি আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে দেশে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ কামনায় আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।
‘শাহানশাহ্ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর জীবনী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ ইউনুস রেজভী, আল্লামা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী, হাফেয মোহাম্মদ আবুল কালাম, মাওলানা মুহাম্মদ নাজিমুল হক আল কাদেরী ও মাওলানা মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দীন। খোশরোজ শরীফের মাহফিলে মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা এস এম সেলিম উল্লাহ্ এবং সামা পরিবেশন করেন শিল্পী সাজ্জাদ হোসেন আরমান কাওয়াল।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী, প্রকৌশলী কামালুর রহমান, প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, শেখ মুজিবুর রহমান বাবুল ও অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফর এবং বিভিন্ন শাখা কমিটির কর্মকর্তাগণ।
এদিকে গতকাল বাদ ফযর মাযারে গিলাফ চড়ানো মধ্যদিয়ে খোশরোজ শরীফের নানান কর্মসূচির সূচনা হয়। স্থানীয় ৫টি দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, হুজুরের জীবনী নিয়ে লেখা ৫টি জনপ্রিয় পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশ, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, খতমে কোরান, খতমে গাউসিয়া শরিফ, খতমে খাজেগান, মিলাদ ও মোনাজাতে প্রয়াত আশেক-ভক্তদের রূহের মাগফিরাতসহ সকলের সার্বিক কল্যাণ কামনা করা হয় এবং সারা দিনব্যাপী ক্যাম্পে ক্যাম্পে জিকির-আজকার ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশনের মাধ্যমে আশেক ভক্তরা দিনটি অতিবাহিত করেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here