জন্ম | আনু. ৯০০ খ্রী.পূ.
সম্ভবত তিশবী
|
||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মৃত্যু | আনু. ৮৪৯ খ্রী.পূ.
যিরীহোর কাছাকাছি
|
||||||
অন্যান্য নাম | এলিয় (אֵלִיָּהוּ) | ||||||
পরিচিতির কারণ | নবী | ||||||
পূর্বসূরী | সুলায়মান | ||||||
উত্তরসূরী | আল-ইয়াসা | ||||||
|
হযরত ইলিয়াস (আঃ) ইসলামের একজন নবী, যিনি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ে আগমন করেছিলেন। তিনি হযরত মূসার (আঃ) ভাই হযরত হারুনের (আঃ) বংশধর ছিলেন। তিনি বর্তমান জর্ডান নদীর উত্তর অঞ্চলের জিলীআদ নামক স্থানের “আবেল মাহুলা” নামক জায়গার অধিবাসী ছিলেন। খ্রিস্তান এবং ইহুদিদের কাছে তিনি এলিয়(Elijah) নামে পরিচিত। তিনি খৃষ্টপূর্ব ৮৭৫ থকে ৮৫০ অব্দের মাঝামাঝি সময়ে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে, তিনি হিযকিলের পরে আল ইয়াসার পূর্বে নবী হিসাবে প্রেরিত হন।
পরিচয়
কুরআনে তাঁকে ‘ইলয়াস’ নামে অভিহিত করা হয়। যেমন আল্লাহ বলেন,
অর্থ-যাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা এবং ইলয়াসকেও, এরা সবাই ছিল সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। বাইবেলে তার নাম এলিয়, ইলিয়াহ ও এলিজ বলা হয়েছে।
কুরআনে ইলিয়াস নামের বৈপরিত্য ও নিরসন
আল-কুরআনে ইলয়াস ও ইলইয়াসিন নাম রয়েছে। এরশাদ হচ্ছে-
বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা? অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে। কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়। আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে, ইলিয়াাসিনদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক! এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
إِلْيَاسَ (ইলিয়াস) এবং إِلْ يَاسِينَ (আল-ইয়াসিন) কি একই ব্যক্তি, না ভিন্ন ভিন্ন। এ নিয়ে আব্দুর রশিদ নু’মানী বলেন, إِلْ يَاسِينَ (আল-ইয়াসিন) শব্দটির ভিন্ন উচ্চারণ হচ্ছে (ইলিয়াস)। যেমন ইসমাইলকে ইসমাইন, ইসরাইলকে ইসরাইন পড়া হয়। আরবরা অনেক সময় সম্প্রদায়ের নেতার নামে গোটা সম্প্রদায়কে বুঝায়ে থাকে। এ হিসাবে إِلْ يَاسِينَ (আল-ইয়াসিন) দ্বারা ইলিয়াস নবীকে বুঝানো হয়েছে।
ইলিয়াস নবীর আগমনের সময় ফিলিস্তিনের অবস্থা
হযরত সুলায়মানের (আ) সময় বনী ইসরাইলদের প্রভাব- প্রতিপত্তি চরম পর্যায়ে উনীত হয়। কিন্তু তাঁর ইনতিকালের পর পরই বনী ইসরাইলদের রাষ্ট্র দু’ভাগ হয়ে যায়। দক্ষিণ ফিলিস্তিনে একটি ছোট রাষ্ট্র কায়েম হয়। এর নাম ইয়াহুদা বা ইয়াহুদিয়া। এর রাজধানী হয় বায়তুল মাকদাস। অন্যদিকে উত্তর ফিলিস্তিনে ইসরাইল নামে একটি রাষ্ট্র কায়েম হয়। এর রাজধাী ছিল সামেরিয়া, বর্তমানে নাবলুসে অবস্থিত। উত্তর এলাকার ইসরাইল নামক রাষ্ট্রে প্রথম থেকেই শিরক, মূর্তি পূজা, জুলুম-অত্যাচার ও লজ্জাহীনতা বেড়ে যেতে থাকে। এ অবস্থায় এ রাষ্ট্রের শাসক ‘আখীআব’ লেবাননের মুশরিক রাজ কন্যা ইযবেলকে বিয়ে করে। তার প্রভাবে পড়ে ‘আখীআব’ ও মুশরিক হয়ে যায়। স্ত্রী ইযবেলের কথামত সে রাজধানী সামেরিয়ায় ‘বাআল’ দেবতার মন্দির ও বলির বেদী তৈরী করে এবং এক আল্লাহকে বাদ দিয়ে ‘বাআল’ দেবতার পূজা প্রচলনের চেষ্টা চালায়।
বংশ পরিচয়
তিনি হারুন এর বংশধর। তাঁর পিতৃপরস্পরা হলো, ইলিয়াস ইবন য়াসীন ইবন ফিলহাস ইবন আয়যার ইবন ইমরান ইবন হারুন। আথবা ইলিয়াস ইবন আযির ইবন আয়যার ইবন হারুন। আল্লামা তাবারির মতে তিনি হলেন, আল-য়াসা এর চাচাতো ভাই। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ বলেন, ইদরিস নবী হলেন ইলিয়াস নবী। তিনি মনে করেন একটি তার আসল নাম, অন্যটি তার উপাধি। কিন্তু তার এ মত ঠিক না। কেননা কুরআনে উভয়ের নাম আলাদা আলাদা করে এসেছে। ইলিয়াস নবী নুহ নবী ও ইবরাহিম নবীর বংশ থেকে এসেছিলেন। অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে, ইদরিস নবী নুহ নবীর আগে আগমন করেছিলেন বলে মত দিয়েছেন।
নবুওত ও দাওয়াত
অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও মুফাসসিরের মতে ইলিয়াস নবী সিরিয়ার অধিবাসদের হেদায়েতের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। তিনি নবুওত লাভের পর স্বীয় সম্প্রদায়কে বাআল মূর্তির পূজা করা থেকে নিষেধ করেন। তাঁর সময় ফিলিস্তিনে বনী ইসরাইলের শাসক ছিল বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে ‘আখিয়ার’ এবং আরবি ইতিহাসে ‘আজিব’ বা ‘উজব’ বা ‘আখিআব’। তার স্ত্রী ইযাবিল ছিল দুষ্কর্মপরায়ণা। ঠিক এ সময় হযরত ইলিয়াস (আ) এর আবির্ভাব ঘটে। তিনি এসব পাপ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। লোকজনকে তিনি এ মূর্তি পূজার অপকারিতা বুঝাতে থাকেন। তিনি বাদশাহ ‘আখীআবকে তার অন্যায় কাজকর্মের জন্য সাবধান করে দেন। তিনি বাদশাহকে বললেন: তুমি এসব অন্যায় বন্ধ না করলে তোমার রাষ্ট্রে আর এক বিন্দু বৃষ্টিও হবে না। আল্লাহর নবীর কথাই সত্য প্রমাণিত হলো। সেখানে সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত বৃষ্টি হলো না। এমন অবস্থায় বাদশাহ ইলিয়াস (আ)-কে খুঁজে আনলেন এবং বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দো’আ করতে বললেন। এ সময় হযরত ইলিয়াস (আ) ‘বা’ল’ দেবতা এবং মহান আল্লাহর পার্থক্য মানুষের সামনে প্রকাশ করতে চাইলেন। তিনি বললেন: একটি প্রকাশ্য সভায় ‘বা’ল’ দেবতার পূজারীরা তাদের দেবতার নামে কুরবানি করবে এবং আমি আল্লাহর নামে কুরবানি পেশ করবো। গায়েবী আগুন এসে কুরবানিকে পুড়িয়ে ফেলবে সেই সত্য পথের অনুসারী। ‘আখীআব’ প্রস্তাবটি মেনে নিল। সুতরাং কোহে করমশ বা কারমেল পর্বতে ‘বা’ল’ দেবতার চারশত বা আটশত পূজারী এবং হযরত ইলিয়াস (আ) হাজার হাজার লোকের সামনে কুরবানী পেশ করলেন। গায়েবী আগুন এসে হযরত ইলিয়াসের (আ) কুরবানি পুড়িয়ে ফেললো, সবাই তাঁর প্রভুর সত্যতা মেনে নিল। কিন্তু ‘বা’ল’ দেবতার পূজারিরা শিরকে রয়ে গেলো। ইলিয়াস (আ) পূজারীদেরক কায়শুন উপত্যাকায় হত্যা করলেন। এরপর তিনি দো’আ করলেন, প্রচুর বৃষ্টি হলো। এতে প্রমাণ হলো একমাত্র আল্লাহই সত্যিকার ক্ষমতার অধিকারী। তিনিই সব ইবাদত পাওয়ার যোগ্য। আর হযরত ইলিয়াস (আ) তাঁরই প্রেরিত নবী।
এই ঘটনার পর রাজা ‘আখীআব’ তার স্ত্রী ইযবেলের প্ররোচনায় হযরত ইলয়াসের শত্রু হয়ে গেল। সে শপথ করল: ‘বা’ল’ দেবতার পূজারীদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে ইলিয়াসকেও সেভাবে হত্যা করবে। এ অবস্থায় হযরত ইলিয়াস দেশ ছেড়ে অপর রাষ্ট্র ইয়াহুদিয়ায় বা সিনাই মরুভূমির সিনাই পর্বতে গিয়ে আশ্রয় নিলেন এবং কয়েক বছর পর্যন্ত সেখানেই কাটালেন। ঐ সময় তিনি আল্লাহর কাছে দো’আ করে বলতেন: ‘হে আল্লাহ, বনী ইসরাইলরা তোমার হুকুম-আহকাম পরিত্যাগ করেছে। তোমার নবীদের হত্যা করেছে। তোমার নবীদের মধ্যে এখন আমিই শুধু বেঁচে আছি। তারা আমাকেও হত্যা করতে চায়। এ সময়েই বায়তুল মাকদাসের ইয়াহুদী রাষ্ট্রের শাসক য়াহুরাম ইসরাইলের বাদশাহ আখীআবের মেয়েকে বিয়ে করে। ফলে তার রাজ্যেও শিরক ও ‘বা’ল’ দেবতার পূজা শুরু হয়। হযরত ইলিয়াস (আ) য়াহুরামের কাছে পত্র লিখে তাকেও সাবধান করে দেন। কিন্তু তারা কেউই তাঁর কথায় কান দিলো না। সেখানকার রাজা য়াহুরামও তাঁর কথা শুনলো না। অবশেষে ইলিয়াস নবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তাদের ওপর আল্লাহর গযব নেমে আসে। বিদেশীরা য়াহুরামের রাজ্যের উপর হামলা করে তাকে হত্যা করে এবং স্ত্রীকে বন্দী করে নিয়ে যায়। কিছুদিন পর সেও কঠিন পেটের পীড়ায় মারা যায়। এর কয়েক বছর পর হযরত ইলিয়াস (আ) আবার ইসরাইলে ফিরে গিয়ে ‘আখীআব’কে সাবধান করে দেন। তার মৃত্যুর কিছুদিন পর হযরত ইলিযাস (আ) আকাশে উত্তোলিত হয়। হযরত ইলিয়াস (আ) সারা জীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি মানুষের কল্যাণ কামনা করেছেন। আর একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেননি।
ইলিয়াস নবী ও ইউনুস নবীর মার মাঝে ঘটনা
ইলিয়াস নবী চল্লিশ দিন চল্লিশ রাত ভ্রমণ করার পর এক পাহারে আত্মগোপন করেন। তিনি নবী পাহাড়ে আত্মগোপনে থাকার পর বের হয়ে এক নারীর গৃহে আশ্রয় নিলেন। এই নারী ছিলেন ইউনুস নবীর মা। সেখানে তিনি ছয় মাস আত্মগোপন করে থাকেন। ইউনুস নবীর মাতা অর্থ-সম্পদ দিয়েও তাঁকে সাহায্য করে। এতেও ইলিয়াস নবী আত্মগোপনে থাকতে পারছিলেন না। তিনি আবার পাহাড়ে চলে যান। এদিকে শিশু ইউনুস নবী ইন্তেকাল হয়, তখন তার মা অত্যন্ত ব্যকুল হয়ে ইলিয়াস নবীকে খুঁজতে থাকে। অবশেষে তাঁকে পেয়ে বসে। তখন তাঁকে বলে, আপনি চলে আসার পর, ইউনুস ইন্তেকাল করেছে। আমার উপর এক মহাবিপদ পড়েছে। আপনি দো‘আ করুন যাতে আমার ছেলে জীবিত হয়। আমি তাকে দাফন করি নাই, শুধু কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছি। ইলিয়াস নবী বললেন, আল্লাহ পাক আমাকে এ ব্যপারে ক্ষমতা দেননি। তখন স্ত্রীলোকটি বেশি করে ক্রন্দন করতে লাগলেন। ইলিয়াস নবী স্ত্রীলোকটির প্রতি সহানুভূতিশীল হলেন এবং তার বাড়িতে গেলেন। ইলিয়াস নবী আল্লাহর কাছে দো‘আ করলেন, আল্লাহ শিশু ইউনুসকে জীবিত করে দিলেন।
ইলিয়াস নবী ও আল-য়াসা নবীর মার মাঝে ঘটনা
একবার তিনি এক স্ত্রীলোকের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন। তার পুত্রের নাম ছিল আল-য়াসা। আল-য়াসা ছিল খুব অসুস্থ। তাঁর দো‘আয় সে সুস্থ হলো। সেই স্ত্রী লোকটি তাঁর উপর ঈমান আনলো এবং তাঁর সাথে থাকতে লাগল।
-
ইলিয়াস গুহায় ইলিয়াস নবীর ভাস্কর্য, কার্মেল পর্বত, ইসরাইল
-
ইলিয়াস গুহা, কার্মেল পর্বত,ইসরাইল
ইলিয়াস ভাস্কর্য
ইলিয়াস নবীর ভাস্কর্য সেন্ট ইলিয়াস ক্যাথেড্রালে, আলেপ্পো, সিরিয়া
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ইলিয়াস নবীর ভাস্কর্য তৈরী করা হয়েছে।
হযরত ইলিয়াস নবী জীবিত আছেন কি, না
তাফসিরে মাযহারিতে আছে, হযরত ইলিয়াসকে অগ্নি অশ্বে আরোহন করে আকাশে তুলে নেয়া হয় এবং তিনি হযরত ঈসার মত জীবিত আছেন। ইবন আসাকির বলেন, চারজন নবী জীবিত আছেন। দু’জন দুনিয়াতে এবং দু’জন আসমানে। দুনিয়ার দু’জন হচ্ছে ১. হযরত ইলিয়াস (আ.), যিনি স্থলভাগের দায়িত্বে আছেন। ২.হযরত খিজির (আ.) যিনি জলভাগের দায়িত্বে আছেন। এরা দু’জন প্রতি হজের সময় একত্র হন। আর আসমানের দু’জন হচ্ছে, ১.হযরত ইদরিস(আ.) ও ২.হযরত ঈসা (আ.)।
হযরত ইলিয়াস দিবস
2শে আগস্ট, খ্রিস্টানরা নবী ইলিয়াসের পরব উদযাপন করে। তিনি যিশু খ্রিস্টের জন্মের আগে 9ম শতাব্দীতে বসবাস করতেন। ইলিয়া নামের অর্থ “প্রভুর শক্তি”, যা তার সমগ্র জীবনকে নির্ধারণ করে।
“একজন দেবদূতের দেহে, ভাববাদীদের ভিত্তি, খ্রীষ্টের আগমনের দ্বিতীয় অগ্রদূত, মহিমান্বিত এলিয়া, উচ্চ থেকে ইলিশাকে অসুস্থতা দূর করতে এবং কুষ্ঠরোগীদের পরিষ্কার করার জন্য অনুগ্রহ পাঠিয়েছিলেন। তাঁর কাছে এবং যারা তাঁকে শ্রদ্ধা করেন তাদের কাছে , সে জিলিন্যাকে একত্রিত করে। আমাদের ঈশ্বরের মহান কাজের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক এবং ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ, মহান নামের ইলিয়া, আপনার হুইসেলব্লোয়ারদের কাছে আপনি জলপথের মেঘ স্থাপন করেছেন। আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন, মানবজাতির একমাত্র প্রেমিক”
হযরত ইলিয়াস আ. হযরত ইলিয়া রা.
হযরত ইলিয়াস (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টের জন্মের 900 বছর আগে গিলিয়েডের থেসফিয়া (টেসবিয়া)। পিতামাতারা তাদের ছেলেকে যে নাম দিয়েছিলেন (ইলিয়া মানে “আমার ঈশ্বর যিহোবা”) তার পুরো জীবন নির্ধারণ করেছিল। শৈশবকাল থেকেই তিনি নিজেকে ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন, প্রান্তরে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং প্রার্থনা এবং কঠোর উপবাসে থাকতেন। সেই সময়ে, ইস্রায়েলের রাজা আহাব, যিনি মানুষকে মূর্তি (বাল) উপাসনা করতে আহ্বান করেছিলেন। রানী ইজেবেলও মূর্তিপূজার ভক্ত ছিলেন। ইসরায়েলি সাহসীদের মধ্যে যারা এই ইলিয়াসের বিরোধিতা করেছিল। তিনি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করেছিলেন, মানুষকে অনুতপ্ত হতে এবং এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার লোকেদের আধ্যাত্মিক মৃত্যু দেখে, ইলিয়া রাজাকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন, যদি তিনি তার জ্ঞানে না আসেন তবে মানুষের জন্য দুর্যোগের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। রাজা যখন নবীর কথায় কান দেননি, তখন তিন বছরের খরা শুরু হয়, যা দেশে দুর্ভিক্ষ নিয়ে আসে। এবং শুধুমাত্র পবিত্র নবী ইলিয়াসের প্রার্থনার মাধ্যমে, তৃষ্ণার্ত পৃথিবীতে আবার বৃষ্টি পড়ল।
ইলিয়াস মূর্তিপূজারীদের কাছ থেকে অনেক তাড়না পেয়েছিলেন। যখন তিনি মারা যেতেন, তখন তিনি জানতে পারলেন যে ঈশ্বর তাকে জীবিত অবস্থায় স্বর্গে নিয়ে যাবেন। এবং তাই এটি ঘটেছে. এলিয়ার সঙ্গী এবং অন্যান্য সাক্ষীরা একটি জ্বলন্ত রথ দেখতে পান এবং ফেরেশতারা সেইন্টকে স্বর্গে তুলে নেয়। আইকন চিত্রশিল্পীরা ইলিয়াকে এভাবেই চিত্রিত করেছেন – চারটি ডানাযুক্ত ঘোড়া দ্বারা সজ্জিত একটি জ্বলন্ত রথে, তিনি স্বর্গে আরোহণ করেন।
যীশু খ্রিস্টের পার্থিব জীবনের সময়, ইলিয়াসের অলৌকিক ঘটনাগুলি স্মরণ করে, ইহুদিরা ঈশ্বরের পুত্রকে একজন নবী হিসাবে উপলব্ধি করেছিল। এবং তাবর পর্বতে প্রভুর রূপান্তরের সময়, ইলিয়া, মোশির সাথে, প্রভুর সাথে কথা বলেছিলেন। ছুটির দিনে, সেন্ট এলিজাকে ব্যাখ্যা করা হয় “একজন শারীরিক দেবদূত, ভাববাদীদের দুর্গ, খ্রিস্টের আগমনের দ্বিতীয় অগ্রদূত…”
লোক প্রথা এবং উদযাপনের ঐতিহ্য
আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রাচীনকালে এই ছুটি উদযাপন করেছিলেন। এটা জানা যায়, বিশেষ করে, নেস্টরের ইতিহাস থেকে যে প্রাক-খ্রিস্টীয় যুগে কিয়েভ এলিজা নবীর সম্মানে একটি গির্জা নির্মিত হয়েছিল। খ্রিস্টীয় যুগে, ইলিয়াসের দিনে এবং তার পরে এক সপ্তাহের মধ্যে, ধর্মীয় মিছিলবৃষ্টি বা পরিষ্কার আবহাওয়ার জন্য প্রার্থনা সহ ইলিয়াস চার্চে। আইকন চিত্রশিল্পীরা চিত্রিত করেছেন যে নবী ইলিয়াস জ্বলন্ত চাকা সহ একটি রথে বসে আছেন, চারপাশে জ্বলন্ত মেঘে ঘেরা এবং চারটি ডানাওয়ালা ঘোড়া দ্বারা সজ্জিত। ইলিয়াকে স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে লোকেরা মনে করেছিল। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি খরার ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হন এবং একই সাথে প্রার্থনার সাথে বৃষ্টির মেঘ ডাকেন। সুতরাং, জনপ্রিয় কল্পনায়, ইলিয়া একটি শক্তিশালী, কঠোর, নিষ্ঠুর, কিন্তু একই সাথে উদার সাধু হিসাবে উপস্থিত হয়।
জনপ্রিয় বিশ্বাস অনুসারে, ইলিয়া থান্ডারার পেরুনের উত্তরসূরি। অনেক লোক প্রবাদ এর সাথে যুক্ত:
হযরত ইলিয়াস আ
“ইলিয়া পর্যন্ত, মেঘ বাতাসের সাথে যায়, এবং ইলিয়া বরাবর – বাতাসের বিরুদ্ধে”
“বজ্রধ্বনি, তারপর ইলিয়া স্বর্গীয় সেতু বরাবর একটি জ্বলন্ত রথে চড়ে।”
একটি কিংবদন্তি আছে যে যখন রাক্ষসরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, তখন তিনি ইলিয়াসকে স্বর্গ থেকে মন্দ আত্মাদের তাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই থেকে, সেন্ট এলিজা রাক্ষসদের তাড়া করছেন, তাদের দিকে জ্বলন্ত তীর নিক্ষেপ করছেন: বজ্রপাত এবং বজ্রপাত। যদি এই সময়ে বজ্রপাত কুঁড়েঘরকে জ্বালায়, তবে কৃষকরা বিশ্বাস করেছিল যে এই আগুন নিভানো যাবে না এবং বলেছিলেন: “যেমন ঈশ্বর এটিকে জ্বালিয়েছেন, মানুষ এটি নিভবে না।”
পুরানো দিনে, একটি বিশ্বাস ছিল যে ইলিয়ার পরে আর সাঁতার কাটা সম্ভব ছিল না। “ইলিয়ার পরে, শুধুমাত্র একটি শূকর গোসল করে,” কৃষকরা বলেছিল। মানুষ বিশ্বাস করত এই দিনে জল ঠান্ডা হয়ে যায়। জল হঠাৎ ঠান্ডা হওয়ার একটি কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল যে ইলিয়া আকাশ জুড়ে ঘোড়ায় চড়ে এবং থেকে দ্রুত রানঘোড়াগুলির মধ্যে একটি একটি ঘোড়ার নাল হারায়, যা জলে পড়ে এবং সেই অনুযায়ী জল আরও ঠান্ডা হয়। সুতরাং, লোকেরা বলল: “ইলিয়া যখন আসবে, তখন সে পচা করবে।”
নবী ইলিয়াসের জীবন
যাই হোক, জনপ্রিয় কল্পনায়, সেন্ট এলিজা শুধুমাত্র একজন শাস্তি দেবতাই ছিলেন না, কৃষকদের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন। সব পরে, ক্যালেন্ডার গ্রীষ্ম এই দিনে শেষ হয়. শীতকালীন রাই এবং গম বপন শুরু হয়। অতএব, কৃষকরা এই ছুটির অপেক্ষায় ছিল এবং বলেছিল: “ইলিয়ার টেবিলে নতুন রুটি আছে।”
নবী ইলিয়াসের জীবন
ইলিয়া জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টের জন্মের 900 বছর আগে গিলিয়েডের থেসফিয়া (টেসবিয়া)। বাবা-মা তাদের ছেলেকে যে নাম দিয়েছিলেন (ইলিয়া মানে “প্রভুর শক্তি”) তার পুরো জীবন নির্ধারণ করেছিল। শৈশবকাল থেকেই তিনি নিজেকে ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন, প্রান্তরে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং প্রার্থনা এবং কঠোর উপবাসে থাকতেন। সেই সময়ে, ইস্রায়েলের রাজা আহাব, যিনি মানুষকে মূর্তি (বাল) উপাসনা করতে আহ্বান করেছিলেন। রানী ইজেবেলও মূর্তিপূজার ভক্ত ছিলেন। ইসরায়েলি সাহসীদের মধ্যে যারা এর বিরোধিতা করেছিল তারা ছিলেন এলিজা। তিনি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করেছিলেন, মানুষকে অনুতপ্ত হতে এবং এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কাক ইলিয়াকে খাওয়ায়
ইলিয়াস আহাবের কাছে এসেছিলেন এবং ঈশ্বরের নামে তাকে ঘোষণা করেছিলেন: “তোমার অধার্মিকতার জন্য, আমার প্রার্থনা ছাড়া এই বছরগুলিতে বৃষ্টি বা শিশির হবে না।” এবং তাই এটি ঘটেছে. শুরু হল ভয়ানক খরা; এমনকি ঘাসও পুড়ে গিয়েছিল এবং দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছিল। ইলিয়া, ঈশ্বরের ইচ্ছায়, বসতি স্থাপন
সেন্ট ইলিয়াস
একটি স্রোতের ধারে মরুভূমি, যেখানে দাঁড়কাকরা তাকে রুটি এবং মাংস এনেছিল এবং সে স্রোতের পানি পান করেছিল (1 শ্যাম. 17:3-6)।
যখন স্রোত শুকিয়ে যায়, ঈশ্বর নবীকে নির্দেশ দেন সিডনের পৌত্তলিক নগর সারেপ্টায় একজন দরিদ্র বিধবার কাছে যেতে এবং তার মধ্যে বসবাস করতে। এই বিধবা, যিনি তার ছেলের সাথে থাকতেন, তার কাছে মাত্র এক মুঠো আটা এবং সামান্য তেল অবশিষ্ট ছিল। সারেপ্টায় পৌঁছে, ইলিয়া তাকে তার জন্য একটি কেক বেক করার আদেশ দিয়েছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে প্রভু পৃথিবীতে বৃষ্টি না দেওয়া পর্যন্ত ময়দা এবং মাখন কমবে না। মহিলাটি ঈশ্বরের নবীকে বিশ্বাস করেছিল এবং তিনি তাকে যা বলেছিলেন তা করেছিলেন। ময়দা আর মাখন কমেনি। অচিরেই এই বিধবার ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা গেল। নবী ইলিয়াস তার জন্য ঈশ্বরের কাছে তিনবার প্রার্থনা করেছিলেন, এবং ছেলেটি জীবিত হয়েছিল (1 শ্যাম. 17 17-2-4)।
সাড়ে তিন বছর ধরে চলল খরা। ইলিয়াস, ঈশ্বরের আদেশে, আবার আহাবের কাছে আসেন এবং কারমেল পর্বতে ইস্রায়েলের লোকদের একত্রিত করার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানান। আহাব যখন লোকদের জড়ো করলেন, তখন এলিয় বললেন, “তোমার দুষ্টতাই যথেষ্ট। সত্য ঈশ্বরকে জানুন। আমরা বালের উদ্দেশে বলি দেব, আর আমি প্রভু ঈশ্বরের উদ্দেশে বলি, কিন্তু আগুন জ্বালাব না। যিনি স্বর্গ থেকে আগুন পাঠান শিকারের কাছে তিনিই প্রকৃত ঈশ্বর। সবাই রাজি হল।
বাল দেবতার পুরোহিতরা প্রথম বলি উৎসর্গ করত। তারা একটি বেদী প্রস্তুত করে, তার উপর একটি বাছুর রাখল এবং সারাদিন তার চারপাশে ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং চিৎকার করল: “বাল, আমাদের কথা শুনুন!” কিন্তু কোন উত্তর ছিল না। সন্ধ্যা হয়ে এলো। তারপর ইলিয়াস একটি বেদী প্রস্তুত করলেন, তার চারপাশে একটি খাদ খনন করলেন, বেদীতে কাঠ এবং বাছুর রাখলেন এবং বলির উপর জল ঢেলে দেওয়ার আদেশ দিলেন যাতে খাদটি পূর্ণ হয়। তারপর ইলিয়া প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে ফিরে গেল। এবং অবিলম্বে প্রভুর আগুন স্বর্গ থেকে নেমে এল, এবং কেবল কাঠ এবং বলিদানই পুড়িয়ে ফেলল না, বরং জল, খাদ এবং যে পাথরগুলি থেকে বেদী তৈরি হয়েছিল তাও ধ্বংস করে দিল। সমস্ত লোক ভয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল এবং চিৎকার করে বলল: “প্রভুই সত্য ঈশ্বর, প্রভুই সত্য ঈশ্বর!” এবং ইলিয়াস বালের সমস্ত ভাববাদীদের ধ্বংস করেছিলেন (1 স্যাম। 18:36-40)।
এরপর ইলিয়াস পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে লাগলেন। সমুদ্র থেকে বাতাস বয়ে গেল, আকাশে বড় বড় মেঘ দেখা দিল এবং বৃষ্টি শুরু হল।
আহাবের স্ত্রী রাণী ইজেবেল, অলৌকিক ঘটনা সত্ত্বেও, ইলিয়াসকে অত্যাচার করতে থাকেন কারণ তিনি বালের সমস্ত যাজককে হত্যা করেছিলেন। ইলিয়াস মরুভূমিতে লুকিয়েছিলেন। তার কাছে মনে হয়েছিল যে তিনি একাই ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন এবং তাই তারা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এবং তিনি সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত ছিল. কিন্তু প্রভু তাকে উত্সাহিত করেছিলেন, যখন এলিয় হোরেব পর্বতের গুহায় রাত্রিযাপন করেছিলেন তখন তাকে দেখা দিয়েছিলেন।
ঈশ্বরের কণ্ঠ তাকে বলল: “ইলিয়া! বেরিয়ে এসে প্রভুর সামনে পাহাড়ে দাঁড়াও।”
এবং তারপর একটি বড় ফুঁ, প্রবল বাতাসপর্বত ছিন্ন এবং পাথর চূর্ণ. কিন্তু প্রভু সেই বাতাসে ছিলেন না। পরবর্তীকালে, একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, কিন্তু প্রভু ভূমিকম্পেও ছিলেন না।
পরবর্তীকালে, আগুন দেখা দেয়, কিন্তু প্রভু আগুনের মধ্যেও ছিলেন না। সব পরে একটি স্থির বায়ু নিঃশ্বাস, এবং প্রভু আছে. প্রভু ইলিয়াসকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে এখনও সাত হাজার লোক ছিল যারা মূর্তিগুলির কাছে মাথা নত করেনি এবং তিনি তাদের মধ্যে ভাববাদী ইলিশাকে উত্থাপন করবেন, যাকে তিনি অভিষেক করার আদেশ দিয়েছিলেন।
প্রভুর চেহারা এলিয়াকে দেখিয়েছিল যে প্রভু কেবল একজন শক্তিশালী বিচারক নন, শাস্তি দেন, কিন্তু একজন করুণাময়, দয়ালু পিতাও। এই ঘটনাটিও ছিল যীশু খ্রীষ্টের পৃথিবীতে আগমনের এক প্রকার, যিনি বিচার এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বরং আনন্দ করতে এবং মানুষকে বাঁচাতে হাজির হয়েছিলেন।
ইলিয়াস, ঈশ্বরের নির্দেশ অনুসারে, ইলিশাকে একজন ভাববাদী হিসাবে অভিষিক্ত করেছিলেন, যিনি পরে তাঁর শিষ্য হয়েছিলেন। একদিন, যখন তারা একসাথে হাঁটছিল, তখন ইলিয়াস ইলীশাকে বললেন, “যখন আমি তোমার সাথে থাকি, তুমি যা চাও আমাকে জিজ্ঞাসা করো।”
হযরত ইলিয়াসের জীবনী
ইলিশা উত্তর দিলেন: “তোমার মধ্যে যে আত্মা আছে, তা আমার উপর দ্বিগুণ হোক।” ইলিয়াস বললেন: “আপনি কি চাচ্ছেন, এবং যদি আপনি দেখতে পান কিভাবে আমি আপনার কাছ থেকে নেওয়া হবে, আপনি পাবেন।” তারা চলল। হঠাৎ অগ্নিদগ্ধ ঘোড়া সহ একটি অগ্নি রথ আবির্ভূত হল এবং এলিয়াস ঘূর্ণিঝড়ে স্বর্গে ছুটে গেলেন। ইলিশা, এটা দেখে চিৎকার করে বললেন: “আমার পিতা, আমার পিতা, ইস্রায়েলের রথ এবং তার অশ্বারোহী!” (2 Sam. 2:11-12)।
নবী ইলিশার কথার অর্থ হল যে পবিত্র নবী ইলিয়াস তার প্রার্থনার মাধ্যমে ইস্রায়েলের রাজ্যকে ইস্রায়েলের সমস্ত সেনাবাহিনীর চেয়ে ভাল শত্রুদের থেকে রক্ষা করেছিলেন – এর রথ এবং অশ্বারোহী। এই সময়ে, ইলিয়াসের একটি চাদর, অর্থাৎ একটি চাদর, ইলীশায়ের পায়ে পড়ল। ইলিশা এটি তুলে নিয়েছিলেন এবং এর সাথে ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিগুণ উপহার পেয়েছিলেন। (দেখুন: 1 স্যাম। 16-19; 2 স্যাম। 1-2, 1-15)।
ইলিয়াস মূর্তিপূজারীদের কাছ থেকে অনেক তাড়না পেয়েছিলেন। আইকন চিত্রশিল্পীরা আরোহণের সময় ইলিয়াকে চিত্রিত করেছেন – চারটি ডানাযুক্ত ঘোড়া দ্বারা সজ্জিত একটি জ্বলন্ত রথে, তিনি স্বর্গে আরোহণ করেন।
যীশু খ্রিস্টের পার্থিব জীবনের সময়, ইলিয়াসের অলৌকিক ঘটনাগুলি স্মরণ করে, ইহুদিরা ঈশ্বরের পুত্রকে একজন নবী হিসাবে উপলব্ধি করেছিল। এবং তাবর পর্বতে প্রভুর রূপান্তরের সময়, ইলিয়া, মোশির সাথে, প্রভুর সাথে কথা বলেছিলেন। ছুটির ট্রপরিয়াতে, এলিয়াহকে “একজন শারীরিক দেবদূত, ভাববাদীদের দুর্গ, খ্রিস্টের আগমনের দ্বিতীয় অগ্রদূত…” হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
অর্থোডক্স আধ্যাত্মিকতায় এলিজা [সম্পাদনা। এড কোড]
ইলিয়া অর্থোডক্স আধ্যাত্মিকতার একটি অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব – এখন অনেক গীর্জা এবং শিশুরা তার নাম গ্রহণ করে: “ইলিয়া”।
সেন্ট এলিজা শ্রদ্ধেয় এবং একজন রোল মডেল:
তার অলৌকিক কাজ, যেমন ঈশ্বরের সাথে কথোপকথন
তার তপস্যা, অর্থাৎ, মরুভূমিতে বাস করার জন্য ঈশ্বর গ্রহণ করেছিলেন, শুধুমাত্র কাক দ্বারা আনা খাবার খেয়েছিলেন;
তার ভবিষ্যদ্বাণী, উদাহরণস্বরূপ, ঈশ্বরের কথা শোনার জন্য শাসকদের তাদের অবিচার, তাদের অবিশ্বস্ততা এবং জনগণের প্রতি তাদের নিপীড়নের জন্য নিন্দা করার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল;
তার অর্থোডক্সি, উদাহরণস্বরূপ, সেই প্রকৃত ঈশ্বরকে অনুসরণ করা এবং অন্যান্য দেবতার উপাসনার বিরোধিতা করা;
তার একটি অলৌকিক কর্মক্ষমতা, উদাহরণস্বরূপ, দুর্ভিক্ষের সময় খাদ্য সরবরাহ করা, মৃতদের পুনরুত্থিত করা;
দরিদ্র, বিধবা এবং এতিমদের জন্য তার উদ্বেগ;
তাকে জীবিত অবস্থায় ঈশ্বর স্বর্গে নিয়ে গিয়েছিলেন একটি জ্বলন্ত রথে;
পবিত্র রূপান্তরে মশীহের সাথে তার সাক্ষাৎ (ম্যাট 17:1-8)।
হযরত ইলিয়াস দিবস
পবিত্র নবী ইলিয়াসের দিনটি 2 আগস্ট পালিত হয়. সেই দিন থেকে ইউক্রেনে তথাকথিত চড়ুই রাত রয়েছে – বজ্রপাত এবং বজ্রপাতের সাথে রাতের বজ্রপাত। যখন বজ্রপাত হয়, তখন লোকেরা কুকুর এবং বিড়ালকে তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে, কারণ এই প্রাণীদের মধ্যে, জনপ্রিয় কুসংস্কার, মন্দ আত্মা এলিয়াহ থেকে লুকিয়ে রাখতে পারেন.
বজ্রপাতের সময় চিত্রগুলির আগে, পুরানো লোকেরা একটি পবিত্র মোমবাতি জ্বালানোর পরামর্শ দেয়। এটি বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এটি বজ্রপাত থেকে বাড়িটিকে রক্ষা করবে। এবং যদি বজ্রপাত ঘরে আগুন দেয়, তবে পুরানো দিনে লোকেরা এই আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেনি, কারণ এটি অনুমিতভাবে ঈশ্বর নিজেই প্রদাহ করেছিলেন, যার অর্থ সাধারণ মানুষএবং শুধু এটা নিভিয়ে.
এই সাধকের স্মৃতির দিনে ঐতিহ্যগতভাবে বৃষ্টি হয়। তাকে আশীর্বাদ করা হয়, এবং আপনি যদি তাকে ধৌত করেন তবে আপনি রোগ এবং কুষ্ঠরোগ থেকে নিরাময় হতে পারেন।
এই দিন থেকে, মাঝারি তাপ সেট করা হয়, দিনের আলোর ঘন্টা ছোট হয় এবং রাত দীর্ঘ হয়।
2 শে আগস্টের পরে, তারা সাঁতার কাটা বন্ধ করে, কারণ তারা বলে “ইলিয়া জল ঠান্ডা করেছে”, বা “ইলিয়ার আগে, লোকটি স্নান করে এবং ইলিয়া থেকে সে জলকে বিদায় জানায়।” হঠাৎ করে পানি শীতল হওয়ার একটি কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যে, ইলিয়া আকাশ জুড়ে ঘোড়ায় চড়ে, এবং দ্রুত দৌড়াতে ঘোড়ার একটি ঘোড়ার শু হারিয়ে যায়, যা পানিতে পড়ে যায় এবং সেই অনুযায়ী পানি আরও ঠান্ডা হয়।
শরতের আগমনের প্রথম লক্ষণগুলি উপস্থিত হয়, যথা, রাত এবং দিনের তাপমাত্রার মধ্যে একটি লক্ষণীয় পার্থক্য। এই দিনে, প্রথম ফসল থেকে গৌরবময় রুটি বেক করা হয়েছিল, যা পরিবারের জ্যেষ্ঠ থেকে কনিষ্ঠ সদস্য পর্যন্ত কঠোরভাবে কাটা হয়েছিল এবং বিতরণ করা হয়েছিল।
মৌমাছি পালনকারীরা সেদিন আমবাত পরিষ্কার করেছিল এবং শিকারীরা নেকড়েদের প্রথম যাত্রা করেছিল। ইলিয়াসের দিনটি শিকারের সূচনা, যেহেতু সেই দিন থেকে, প্রাণী, বিশেষত, নেকড়ে গর্ত, বনে খোলা হয়েছিল।
সেন্ট এলিজার দিনে লোক লক্ষণ
যদি সকালে মেঘলা হয়, তবে বপন তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত এবং একটি ভাল ফসল আশা করা যেতে পারে
যদি দুপুরে মেঘলা থাকে, তবে বপন মাঝারি, এবং যদি সন্ধ্যায়, বপন দেরিতে হয় এবং ফসল খারাপ হয়।
সারাদিন রোদ থাকে – ভালো না।
এলিজা বৃষ্টি বাতাসের পিছনে এবং বিপরীতে যায় – যেমন নবীর আদেশ, এবং তার পরে – শুধুমাত্র বাতাসের সাথে।
ইলিয়া পাস – পচা জন্য অপেক্ষা করুন.
ইলিয়াতে, গ্রীষ্ম দুপুরের খাবারের আগে এবং শরৎ বিকেলে।
ইলিনের দিন থেকে, রাত দীর্ঘ, এবং জল ঠান্ডা।
পবিত্র নবী ইলিয়াস
পবিত্র নবী ইলিয়াস হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ভাববাদীদের একজন, যিনি পৃথিবীতে পরিত্রাতা খ্রীষ্টের আগমনের 900 বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হযরত ইলিয়াস তাবর পর্বতে খ্রিস্টের রূপান্তরের মহিমা দেখেছিলেন (ম্যাট. 17:3; মার্ক 9:4; লুক 9:30)। ওল্ড টেস্টামেন্টে তিনিই প্রথম একজন অলৌকিক কাজ করেছিলেন মৃতদের পুনরুত্থান(1 রাজা 17:20-23) এবং নিজেকে স্বর্গে জীবিত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, এইভাবে খ্রিস্টের আসন্ন পুনরুত্থান এবং মৃত্যুর আধিপত্যের সাধারণ ধ্বংসের পূর্বাভাস দেয়। অনুতাপের জন্য তার প্রবল আহ্বান এবং ভয়ঙ্কর নিন্দার কথা বলা হয়েছিল তার সমসাময়িকদের, তার দেশবাসীদের প্রতি, যারা অশ্লীলতা এবং মূর্তিপূজায় নিমজ্জিত ছিল। খ্রিস্টের দ্বিতীয় আগমনের আগে পৃথিবীর বাসিন্দাদের দ্বারা একই অভিযোগ এবং অনুশোচনার আহ্বান শোনা যাবে, যখন অনেকে, সত্যিকারের বিশ্বাস এবং ধার্মিকতা থেকে বিচ্যুত হয়ে বিভ্রান্তি এবং পাপের অন্ধকারে বাস করবে। ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং নিউ টেস্টামেন্ট চার্চ উভয়েই, পবিত্র নবী ইলিয়াস তাঁর বিশ্বাসের অটল দৃঢ়তা, কুমারী জীবনের অনবদ্য কঠোরতা এবং ঈশ্বরের মহিমার জন্য তাঁর জ্বলন্ত উদ্যোগের জন্য সম্মানিত। তাকে প্রায়শই “মহিলাদের দ্বারা জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ” এর সাথে তুলনা করা হয়, প্রভুর অগ্রদূত এবং ব্যাপ্টিস্ট জন, যিনি “এলিয়ার আত্মা ও শক্তিতে” এসেছেন বলে কথিত আছে (লুক 1:17)।
পবিত্র নবী ইলিয়াস খ্রিস্টপূর্ব দশম শতাব্দীতে গিলিয়েডের থেসভিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি হারুনের বংশ থেকে লেভি গোত্র থেকে এসেছেন। সাইপ্রাসের সেন্ট এপিফানিয়াস থেকে আমাদের কাছে নেমে আসা একটি কিংবদন্তি অনুসারে, যখন এলিজা জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন তার পিতা আউলস দেখেছিলেন যে কীভাবে উজ্জ্বল ফেরেশতারা শিশুর সাথে কথা বলে, তাকে আগুনে ঢেলে দেয় এবং জ্বলন্ত শিখা দিয়ে লিখেছিল।
পবিত্র নবী ইলিয়াস প্রকৃতপক্ষে বিশ্বাস এবং ধার্মিকতার একজন উত্সাহী ব্যক্তি ছিলেন, নিজেকে এক ঈশ্বরের কাছে নিবেদিত করেছিলেন। এটি ইলিয়াসের নাম দ্বারা নির্দেশিত, যা হিব্রু (এলিয়াহু) থেকে অনুবাদ করা হয়েছে “আমার ঈশ্বর যিহোবা।”
থেকে তরুণ বছরসেন্ট এলিজা মরুভূমি কারমেল পর্বতে প্রত্যাহার করেছিলেন, যেখানে তিনি আধ্যাত্মিকভাবে বেড়ে ওঠেন এবং শক্তিশালী হয়েছিলেন, কঠোর উপবাস, প্রার্থনা এবং চিন্তাভাবনার মধ্যে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। প্রথমত, এলিজা পাপীদের অনুশোচনায় পরিণত করার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। ঈশ্বরের ধ্যান করতে ভালবাসতেন, তিনি প্রায়শই মরুভূমিতে নীরবতার জন্য অবসর নিতেন, যেখানে তিনি তাঁর কাছে একটি উষ্ণ প্রার্থনায় দীর্ঘ সময়ের জন্য ঈশ্বরের সাথে কথা বলেছিলেন, তাঁর দিকে জ্বলতে থাকেন, একজন সেরাফিমের মতো, জ্বলন্ত ভালবাসায়। এবং ইলিয়াস নিজেই ঈশ্বরের দ্বারা প্রিয় ছিলেন, যেহেতু ঈশ্বর তাদের ভালবাসেন যারা তাকে ভালবাসেন: এলিয় যা কিছু চেয়েছিলেন ঈশ্বরের কাছে, তিনি পেয়েছেন।
তার ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মন্ত্রণালয় ইস্রায়েলের রাজা আহাবের (874-853) শাসনামলে পড়ে।
রাজা সলোমনের মৃত্যুর পর (931 খ্রিস্টপূর্ব), রাজ্যটি দুটি রাজ্যে বিভক্ত হয়েছিল: ইহুদি– জেরুজালেমে এর রাজধানী সহ এবং ইসরায়েলি – এর রাজধানী সামরিয়াতে। এবং যদি জুডিয়াতে পূর্বের ধার্মিকতা কিছুটা সংরক্ষিত হয়, তবে ইস্রায়েল রাজ্যটি খুব দ্রুত পৌত্তলিক দেবতাদের সেবা করার জন্য পিতাদের বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হয়েছিল।
রাজা আহাবের স্ত্রী, ফিনিশিয়ান ইজেবেল, একজন পৌত্তলিক হওয়ার কারণে, নিবিড়ভাবে বালের মূর্তির সাধনা রোপণ করেছিলেন। তিনি মূসার ধর্মকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন এবং বালের ধর্মকে ইস্রায়েলের রাষ্ট্রীয় ধর্মে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। ইজেবেল তার স্বামীকে পৌত্তলিক ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি করান। তার আদেশে, যিহোবার বেদীগুলি ধ্বংস করা হয়েছিল এবং তাঁর দাসদের হত্যা করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র:
বাল– এটি ঝড়, বৃষ্টি, উর্বরতা এবং শারীরিক লালসার কানানাইট (ফিনিশিয়ান) দেবতা। বাল এবং তার স্ত্রী আস্টার্টের সম্প্রদায়ের সাথে ছিল “পবিত্র পতিতাবৃত্তি”, বর্বরতা এবং রাতের উদ্যম (কিছু সাম্প্রদায়িকদের মতো) অশ্লীল চিত্রে ভরা বিশেষ গ্রোভগুলিতে (এগুলি তথাকথিত “ম্যাটজেব” বা সূক্ষ্মভাবে “উচ্চতা”। বাইবেলের সিনোডাল অনুবাদ)। রাস্তায়, পৌত্তলিক ধর্মযাজকরা, যাদের মধ্যে অনেকেই নপুংসক ছিলেন, উচ্চ কণ্ঠে (আমাদের সমকামী গায়কদের মতো) ছন্দময় স্তোত্র গেয়েছিলেন যা শ্রোতাদের আনন্দের দিকে নিয়ে যায়। বালের উপাসনা অকপট “পশুর” জীবনযাত্রায় পৌঁছেছে, যার মধ্যে রয়েছে গ্রুপ সেক্স, অজাচার (বাল, পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তার বোনের সাথে সম্পর্ক ছিল), যৌনতা (একটি গাভীর সাথে বালের যৌন সংসর্গের একটি চিত্র রয়েছে)।
পবিত্র নবী ইলিয়াস, সত্য ঈশ্বরের মহিমার জন্য উদগ্রীব, তীব্রভাবে বর্ধিত মূর্তিপূজা এবং নৈতিক উদারতার জন্য একটি শক্তিশালী এবং সাহসী অভিযুক্ত হিসাবে জনসেবায় পা দিয়েছিলেন। ঈশ্বরের পাপী লোকেদের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তর প্রয়োজন, এবং কঠোর হৃদয়ের ইস্রায়েলীয়দের ভালোর জন্য এমন আকাঙ্ক্ষা ছিল না জেনে, ভাববাদী এলিয় ঈশ্বরের মহিমা এবং মানুষের পরিত্রাণের জন্য খুব ঈর্ষান্বিত ছিলেন। তিনি ইস্রায়েলীয়দের সাময়িকভাবে শাস্তি দেওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে চেয়েছিলেন, যাতে অন্ততপক্ষে এই ধরনের উপায়ে তাদের দুষ্টতা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু একই সময়ে জেনে যে প্রভু, তাঁর জনহিতৈষী এবং দীর্ঘসহিষ্ণুতায়, শাস্তি দিতে দ্রুত ছিলেন না, এলিজা, তাঁর জন্য তাঁর মহান উদ্যোগে, ঈশ্বরকে অনুরোধ করার সাহস করেছিলেন যে তিনি, এলিজা, আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। দয়াময় প্রভু, স্নেহময় পিতার মতো, তাঁর প্রিয় বান্দাকে দুঃখ দিতে চাননি।
ইলিয়াস রাজার কাছে এসেছিলেন এবং এই বিভ্রান্তিতে তাকে নিন্দা করেছিলেন যে তিনি, ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে ত্যাগ করে, ভূতদের কাছে নিজেকে প্রণাম করেছিলেন এবং তার সাথে সমস্ত লোক ধ্বংসের দিকে আকৃষ্ট হয়েছিল। রাজা তার উপদেশে কান দেননি দেখে, পবিত্র নবী ঘোষণা করেছিলেন যে ইস্রায়েলীয়দের অন্যায়ের শাস্তি হিসাবে দীর্ঘকাল বৃষ্টি বা শিশির থাকবে না এবং এই বিপর্যয় কেবলমাত্র নবীর প্রার্থনার মাধ্যমে শেষ হবে: ” ইস্রায়েলের জীবিত সদাপ্রভুর কসম, যাঁর সামনে আমি দাঁড়িয়ে আছি! এই বছরগুলিতে শিশির বা বৃষ্টি হবে না, আমার কথা ছাড়া। (1 রাজাবলি 17:1) এই কথা বলে, এলিয় আহাবকে ছেড়ে চলে গেলেন, এবং ভাববাদীর কথা অনুসারে, একটি খরা শুরু হয়েছিল: এক ফোঁটা বৃষ্টি বা শিশির মাটিতে পড়েনি। খরার ফলস্বরূপ, সম্পূর্ণ ফসল ব্যর্থ হয়েছিল এবং দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছিল।সাড়ে তিন বছর ধরে ইসরায়েলের মানুষ তাপ, খরা ও দুর্ভিক্ষে ভুগছিল।
কিন্তু এই সব ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে এতটা ঘটেনি, কিন্তু ইলিয়াস নবীর ঈশ্বরের মহিমার জন্য উদ্যোগের কারণে ঘটেছে। পরম করুণাময় এবং জনহিতৈষী প্রভু, তাঁর অপরিমেয় কল্যাণের জন্য, মানুষের বিপর্যয় এবং প্রাণীদের মৃত্যু দেখে, পৃথিবীতে বৃষ্টি পাঠাতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু তিনি ইলিয়াসের সিদ্ধান্ত পূর্ণ করার জন্য তা করা থেকে বিরত ছিলেন, এবং যাতে নবীর কথাগুলি মিথ্যা হতে না পারে: “আমার কথা ছাড়া এই বছরগুলিতে শিশির বা বৃষ্টি হবে না।”যে এই কথা বলেছিল সে ঈশ্বরের জন্য এতটাই উদ্যমে জব্দ হয়েছিল যে সে নিজেকেও রেহাই দেয়নি, কারণ সে ঈশ্বরের সাথে যুদ্ধরত অনুতাপহীন পাপীদের ক্ষমা করার চেয়ে ক্ষুধায় মরতে পছন্দ করেছিল।
নবী নিজেই, ঈশ্বরের আদেশে, তার সহকর্মী উপজাতিদের ক্রোধ এবং আহাবের অত্যাচার থেকে খোরাথের স্রোতের কাছে একটি নির্জন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, যেখানে প্রতিদিন সকালে এবং প্রতি সন্ধ্যায় কাকরা তাকে খাবার – রুটি এবং মাংস এনেছিল।
কাক ইলিয়াসকে খাওয়ায়। গ্রাফিক্স। জুলিয়াস স্নোর ভন করোলসফেল্ড
প্রায় এক বছর পরে, যখন খোরাথের স্রোত শুকিয়ে যায়, তখন প্রভু নবী ইলিয়াসকে সিডনের সারেপ্টার ছোট ফিনিশিয়ান শহরে এক দরিদ্র বিধবার কাছে পাঠান, যিনি তার পরিবার সহ, খুব প্রয়োজন ছিল। নবী ইলিয়াস, বিধবার বিশ্বাস এবং সদগুণ পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তাকে শেষ ময়দা এবং মাখন থেকে তার জন্য রুটি বেক করার আদেশ দিয়েছিলেন। বিধবা আদেশটি পূরণ করেছিল, এবং তার আত্ম-অস্বীকার পুরস্কৃত হয়নি: নবীর মতে, দুর্ভিক্ষ এবং খরার সমস্ত সময়ে এই বাড়িতে আটা এবং তেল অলৌকিকভাবে ক্রমাগতভাবে পূরণ করা হয়েছিল।
ইলিয়াস বিধবার মৃত ছেলেকে পুনরুত্থিত করেন। জুলিয়াস স্নোর ভন করোলসফেল্ড
ভিতরেশীঘ্রই প্রভু বিধবার বিশ্বাসের একটি নতুন পরীক্ষা পাঠালেন: তার ছেলে মারা গেল। অসহায় দুঃখে, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে নবী এলিয়ার পবিত্রতা, তার পাপপূর্ণ জীবনের সাথে বেমানান, ছেলেটির মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে, পবিত্র নবী তার মৃত পুত্রকে কোলে নিয়েছিলেন এবং তিনবার তীব্র প্রার্থনার পর তাকে পুনরুত্থিত করেছিলেন (1 রাজা 17:17-24)।
তিন বছরের খরার পর, প্রভু দুর্যোগের সমাপ্তি ঘোষণা করার জন্য আহাবের কাছে সেন্ট এলিজাকে পাঠিয়েছিলেন। একই সময়ে, নবী রাজাকে “বিশ্বাসের পরীক্ষা” করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কারমেল পর্বতে, ভূমধ্যসাগরের উপকূলে, ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দা এবং বালের সমস্ত যাজকরা জড়ো হয়েছিল। যখন দুটি বেদী তৈরি করা হয়েছিল, তখন সেন্ট এলিজা বালের পুরোহিতদেরকে তাদের দেবতাদের কাছে স্বর্গ থেকে বলিদানের জন্য আগুনের নিন্দা করার জন্য প্রার্থনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পুরোহিতরা সারাদিন প্রার্থনা করেছিল, কিন্তু আগুন ছিল না। তারপর পবিত্র নবী ইলিয়াস আদেশ দিয়েছিলেন যে তার দ্বারা প্রস্তুত করা বেদীটিকে প্রচুর পরিমাণে জল ঢেলে দেওয়া হবে, যাতে এটি বেদীর চারপাশে খাদটি পূর্ণ করে। তারপর তিনি সত্যিকারের ঈশ্বরের কাছে আন্তরিক প্রার্থনার সাথে ফিরে গেলেন এবং সাথে সাথে স্বর্গ থেকে আগুন নেমে এল এবং কোরবানী এমনকি পাথরের বেদী এবং তার চারপাশের জল পুড়িয়ে দিল। এটা দেখে লোকেরা ভয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল এবং চিৎকার করে বলল: “সত্যিই প্রভু ঈশ্বর!”(1 কিংস 18:39)। নবী ইলিয়াস বালের যাজকদের বন্দী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তাদের কিসভ স্রোতে হত্যা করেছিলেন। দরবেশের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে, আকাশ খুলে গেল এবং বৃষ্টি শুরু হল।
ভাববাদী এলিয়, কারমি পর্বতে যা ঘটেছিল তার পর, ইস্রায়েল ঈশ্বরের দিকে ফিরে আসবে বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু প্রকৃত বিশ্বাসের পুনরুদ্ধার হয়নি।ইজেবেলের কঠিন হৃদয় ক্রোধে জ্বলে ওঠে এবং সে বালের পুরোহিতদের নির্মূল করার জন্য এলিয়াহকে হত্যা করার হুমকি দেয়। দুর্বল-ইচ্ছাপূর্ণ আহাব, যিনি একটি ভয়ঙ্কর চিহ্ন থেকে অনুতপ্ত হয়েছিলেন, তিনি তার স্ত্রীর পক্ষ নিয়েছিলেন।
ভাববাদী ইলিয়াসকে জুডিয়ার দক্ষিণে বের্শেবাতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রভু একজন দেবদূতের দৃষ্টি দিয়ে সাধুকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, যিনি তাকে খাবার দিয়ে শক্তিশালী করেছিলেন এবং তাকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণে যেতে আদেশ করেছিলেন। এলিজা পবিত্র সিনাই পর্বতের দিকে দৌড়ে যান, যেখানে মূসা একবার তার বিখ্যাত আইন পেয়েছিলেন। নবী ইলিয়াস 40 দিন এবং 40 রাত ধরে হেঁটেছিলেন এবং হোরেব পর্বতে পৌঁছে তিনি একটি গুহায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। দুষ্টতা নির্মূল করার জন্য তার সমস্ত প্রচেষ্টা তার কাছে অসহায় বলে মনে হয়েছিল: “ইতিমধ্যেই যথেষ্ট, প্রভু, আমার জীবন নিয়ে নিন, কারণ আমি আমার পিতৃপুরুষদের চেয়ে ভাল নই” (1 রাজা 19:4)। ইলিয়াস, হতাশায়, ঈশ্বরের সাথে তার মিশনের ব্যর্থতা এবং ইস্রায়েলের “ব্যর্থ” ইতিহাস সম্পর্কে কথা বলেন: আমি একা রয়ে গেছি, কিন্তু তারা আমার জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য খুঁজছে” (1 কিংস 19:10)।
প্রভু এক বিশেষ দর্শনে আবার তাকে আরও করুণাময় হওয়ার জন্য ডাকলেন। কামুক চিত্রগুলিতে – একটি ঝড়, একটি ভূমিকম্প এবং আগুন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মন্ত্রণালয়ের অর্থ তাঁর কাছে প্রকাশিত হয়েছিল। এই দর্শনগুলির বিপরীতে, প্রভু একটি স্থির বাতাসের নিঃশ্বাসে তাঁর কাছে আবির্ভূত হয়েছিলেন, এটি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে পাপীদের হৃদয় নরম হয় এবং ঈশ্বরের করুণার ক্রিয়া দ্বারা আরও অনুতাপের দিকে ফিরে যায়। একই দর্শনে, প্রভু নবীর কাছে প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করার ক্ষেত্রে একা নন: ইস্রায়েলে আরও 7,000 লোক রয়েছে যারা বালের সামনে হাঁটু নত করেনি। তাকে অবশ্যই দেশে ফিরে আসতে হবে এবং ইলিশার ব্যক্তির মধ্যে তার উত্তরাধিকারী বেছে নিতে হবে, যিনি বিশ্বাসের জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছেন তা সম্পূর্ণ করবেন।
ঈশ্বরের আদেশে, নবী ইলিয়াস আবার ইস্রায়েলে গিয়েছিলেন ইলিশাকে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মন্ত্রণালয়ে পবিত্র করতে।
আরও দুবার পবিত্র নবী ইলিয়াস ইস্রায়েলের রাজাদের দরবারে এসেছিলেন। প্রথমবার আহাবকে নাবোথের অবৈধ হত্যা এবং তার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের বরাদ্দের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল (1 রাজা 21)। নবীর তিরস্কার শুনে আহাব অনুতপ্ত হন এবং নিজেকে নত করেছিলেন এবং এর জন্য ঈশ্বর তাঁর ক্রোধকে নরম করেছিলেন। দ্বিতীয়বার – আহাব এবং ইজেবেলের পুত্র নতুন রাজা আহজিয়াকে নিন্দা করা, কারণ তিনি তার অসুস্থতায় সত্য ঈশ্বরের দিকে নয়, আকারন মূর্তির দিকে ফিরেছিলেন। এই ধরনের অবিশ্বাসের জন্য পবিত্র ভাববাদী অহজিয়াকে তার অসুস্থতার মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং শীঘ্রই ভাববাদীর বাণী সত্য হয়েছিল (2 রাজা 1)।
ঈশ্বরের মহিমার জন্য তার অগ্নিময় আধ্যাত্মিক উদ্যোগের জন্য, ভাববাদী এলিয়াসকে একটি জ্বলন্ত রথে স্বর্গে জীবিত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল: “হঠাৎ একটি আগুনের রথ এবং আগুনের ঘোড়াগুলি উপস্থিত হয়েছিল, এবং তাদের উভয়কে আলাদা করে দেয়, এবং এলিয় ঘূর্ণিঝড়ে স্বর্গে ছুটে যান” (2 কিংস 2:11)। তাঁর শিষ্য ইলিশা এই আরোহণ প্রত্যক্ষ করেছিলেন এবং রথ থেকে পড়ে যাওয়া আবরণটি সহ ( বাইরের পোশাক) সেন্ট ইলিয়াসের একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উপহার পেয়েছিলেন নবী ইলিয়াসের চেয়ে দ্বিগুণ বড়।
ইলিয়াস আগুনের রথে স্বর্গে আরোহণ করেন। জুলিয়াস স্নোর ভন করোলসফেল্ড
তারপর, প্রভুর রূপান্তরে, তিনি নবী মূসার সাথে একত্রে হাজির হন এবং যীশু খ্রীষ্টের সামনে হাজির হন, তাবোর পর্বতে তাঁর সাথে কথা বলেন। ওল্ড টেস্টামেন্টের দুটি সর্বাধিক প্রামাণিক ব্যক্তি আইন এবং নবীদের মূর্ত করে – পবিত্র ধর্মগ্রন্থের দুটি প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।
বাইবেলের ঐতিহ্যে, ইলিয়াস হলেন ওল্ড টেস্টামেন্টের দুজন সাধুদের একজন যারা পৃথিবীতে মৃত্যু দেখেননি, কিন্তু যীশু খ্রিস্টের আগমনের আগেও স্বর্গে ভূষিত হয়েছিলেন। বাইবেল অনুসারে, তার আগে শুধুমাত্র এনোক, যিনি বন্যার আগে বেঁচে ছিলেন, জীবিত অবস্থায় স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল (জেন. 5:24)। অতএব, পুনরুত্থানের কিছু আইকনে, কেউ এলিজা এবং হনোককে স্বর্গের দরজায় দেখতে পাবে, প্রাচীন ধার্মিকদের সাথে দেখা করবে, নরকের ভাঙা দরজা দিয়ে খ্রিস্টের নেতৃত্বে।
খ্রীষ্টের পুনরুত্থান
আইকন-পেইন্টিং ঐতিহ্য প্রায়শই পবিত্র নবী ইলিয়াসকে একটি জ্বলন্ত রথে স্বর্গে আরোহণের চিত্রিত করে।
নবী ইলিয়াস জ্বলন্ত রথে স্বর্গে আরোহণ করছেন
চার্চের ঐতিহ্য অনুসারে, নবী ইলিয়াস, পূর্বপুরুষ এনোকের সাথে, যাকেও জীবিত স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল (জেনারেল 5:24), পৃথিবীতে খ্রিস্টের দ্বিতীয় আগমনের অগ্রদূত হবেন। সাড়ে তিন বছর ধরে, সেন্টস এনোক এবং এলিজা অনুতাপ প্রচার করবেন এবং অনেক অলৌকিক কাজ করবেন। তাদের প্রচারের মাধ্যমে তারা মানুষকে সত্যিকারের বিশ্বাসে পরিণত করবে। তাদেরকে কর্তৃত্ব দেওয়া হবে, যেমনটি ভাববাদী এলিয়ার পার্থিব জীবনে ছিল, “… আকাশ বন্ধ করুন, যাতে তিনি তাদের ভবিষ্যদ্বাণীর দিনে না যান” (Rev. 11:5)। তাদের প্রচারের সাড়ে তিন বছর পরে, খ্রীষ্টশত্রু তাদের সাথে যুদ্ধ করবে এবং তাদের হত্যা করবে, কিন্তু ঈশ্বরের শক্তিতে তারা সাড়ে তিন দিনের মধ্যে উঠবে একটি চিহ্ন হিসাবে যে মিথ্যা ও সহিংসতার আধিপত্য শেষ হওয়ার আগে। পৃথিবী স্বল্পস্থায়ী হবে (Rev. 11:11)।
রাশিয়ান অর্থোডক্স লোকেরা সর্বদা পবিত্র নবী ইলিয়াসের স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সাথে আচরণ করেছে। তিনি আমাদের জাতীয় ইতিহাসের প্রাক-খ্রিস্টীয় যুগে স্লাভদের দ্বারা সম্মানিত ছিলেন।
কিয়েভ, X শতাব্দীতে নবী ইলিয়াসের চার্চ
কিইভের প্রথম গির্জাটি প্রিন্স ইগরের রাজত্বকালে (AD 945) পবিত্র নবী এলিয়াকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। প্রধান কনস্টান্টিনোপলে, যেখানে 10 শতক পর্যন্ত গ্রীক সম্রাটদের সেবায় অনেক ভারাঙ্গিয়ান-রাশিয়ান ছিল, সেখানে একটি গির্জাও নবী ইলিয়াসের নামে নির্মিত হয়েছিল, যা বাপ্তিস্মপ্রাপ্ত রাশিয়ান লোকেদের জন্য ছিল, যেমনটি চুক্তি থেকে জানা যায়। কিয়েভের মানুষ এবং 944 সালে গ্রীকরা।
988 সালে রাশিয়ার বাপ্তিস্মের পরে ইলিনস্কি মন্দিরদেশ জুড়ে বহু জায়গায় স্থাপন করা শুরু. পবিত্র নবী ইলিয়াসের মধ্যে, বিশ্বাসী রাশিয়ান লোকেরা প্রাচীন কাল থেকেই ফসলের পৃষ্ঠপোষক সাধককে শ্রদ্ধা করে, তাই, বিশেষ উদ্যম এবং ভালবাসার সাথে, তারা আশীর্বাদের জন্য প্রার্থনার সাথে তাঁর স্মৃতির দিনে ঈশ্বরের সাধুর কাছে ফিরে আসে। নতুন ফসল।
***
“নবী এলিয়াসের জীবন আমাদের শেখায় যে সত্যিকারের নবীরা কেমন ছিলেন, ঈশ্বরের দ্বারা একটি বিশেষ মন্ত্রণালয়ে, একটি বিশেষ মিশনে – ঈশ্বর সম্পর্কে লোকেদের কাছে ঘোষণা করার জন্য ডাকা হয়েছিল৷ নবীরা নির্যাতিত হয়েছিল:“একজন ভাববাদীর নিজের দেশে কোন সম্মান নেই” (জন 4:44) , -অর্থাৎ তিনি কোথায় প্রচার করেন, বোঝা যায় না। সমস্ত নবীদের শত্রু এবং দুষ্টুচিন্তা ছিল, যারা তাদের মৃত্যু কামনা করেছিল। সমস্ত লোকের মতো, নবীদেরও তাদের দুর্বলতা ছিল, এবং তারা সবসময় তাদের জন্য অর্পিত অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন মিশনে সক্ষম ছিল না – যারা এই সাক্ষ্য শুনতে চায় না তাদের কাছে ঈশ্বর সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য।
আমরা অন্যান্য নবীদের জীবন সম্পর্কে পড়ি, আমরা শিখি যে প্রভু যখন তাদের ডেকেছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ অস্বীকার করেছিলেন। একজন বলেছিলেন যে তিনি খুব কম বয়সী ছিলেন, অন্যজন – জোনাহ – সাধারণত ঈশ্বরের মুখ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন, বুঝতে পেরেছিলেন যে ঈশ্বরের দ্বারা তাকে অর্পিত মিশনটি পূরণ করার শক্তি তার নেই। ভাববাদী এলিয় হতাশায় ঈশ্বরের কাছে মৃত্যু চেয়েছিলেন। কিন্তু নবীগণ সর্বদা ঈশ্বরের অনুগ্রহে শক্তিশালী ছিলেন , তাদের পরিচর্যায় তারা ঈশ্বরের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে এসেছিল, তাদের ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতায় তাঁর সাথে দেখা হয়েছিল।
মানব ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ঈশ্বর মানুষের কাছে নবীদের পাঠিয়েছেন যাতে মানুষ তাদের কাছ থেকে সত্যের বাণী শুনতে পায় যাতে তারা অলৌকিক কাজের মাধ্যমে ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং ঈশ্বরের শক্তির সাক্ষ্য দেয়৷ এবং সমস্ত যুগে নবীরা দুর্বল মানুষ ছিলেন – ঠিক আপনার এবং আমার মতো। তাদের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মিশন তাদের প্রাকৃতিক মানবিক ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে, এবং তারা নির্ভর করছে না নিজস্ব বাহিনীঈশ্বরের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। তারা আধ্যাত্মিক শক্তিবৃদ্ধি জন্য ঈশ্বরের জিজ্ঞাসা কঠিন মুহূর্তযখন তারা লোকেদের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়েছিল, যখন শত্রুরা তাদের মৃত্যু খুঁজছিল তখন নির্যাতিত হয়েছিল। এবং প্রভু রহস্যজনকভাবে পবিত্র আত্মার অনুগ্রহে তাদের শক্তিশালী করেছিলেন।”
মেট্রোপলিটন হিলারিয়ন (আলফিভ)
2শে আগস্ট, অর্থোডক্স চার্চ ঈশ্বরের ভাববাদী এলিজাকে স্মরণ করে – রাশিয়ার প্রিয় সাধুদের একজন, যার নাম হিব্রুতে “(Yahweh) আমার ঈশ্বর” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে৷ “থমাস” ম্যাগাজিনের উপাদানে এই নাম সহ নবী ইলিয়াস এবং অন্যান্য সাধুদের সম্পর্কে পড়ুন।
সেন্ট ইলিয়াস নবী
ইস্রায়েলকে জুদাহ এবং ইস্রায়েল রাজ্যে বিভক্ত করার কিছুক্ষণ পরে, ইস্রায়েলের রাজারা সত্য ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। রাজা আহাব এবং তার স্ত্রী ইজেবেল মূর্তিপূজক ছিলেন। তারা বালকে বলি উৎসর্গ করেছিল এবং লোকেদেরকে এতে প্ররোচিত করেছিল। নবী ইলিয়াস রাজাকে প্রভুর ইচ্ছা ঘোষণা করেছিলেন: আহাবের দুষ্টতার জন্য, ইস্রায়েল একটি বড় খরা ভোগ করবে।
তিন বছর ধরে সারা দেশে বৃষ্টি হয়নি, মানুষ ক্ষুধায় মরছে। কিন্তু আহাবের হৃদয় বধির ছিল। দীর্ঘকাল ধরে, এলিয় মরুভূমির একটি ঝরনায় রাজার কাছ থেকে লুকিয়ে ছিলেন। প্রতিদিন কাক তার কাছে মাংস ও রুটি নিয়ে আসত। যখন বসন্ত শুকিয়ে যায়, প্রভু এলিজাকে ফোনিসিয়াতে, সারেপ্টা গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি এক দরিদ্র বিধবার বাড়িতে বসতি স্থাপন করেন। ইলিয়াসের প্রার্থনার মাধ্যমে, খরার সময় তার ঘরে ময়দা শেষ হয়নি।
একদিন বিধবার ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা গেল। ইলিয়াস ছেলেটিকে নিয়ে গেলেন, তাকে তার ঘরে শুইয়ে দিলেন এবং তার উপরে নত হয়ে ঈশ্বরকে তিনবার ডাকলেন… – এবং ছেলেটি জীবিত হল।
তিন বছর পর এলিয় আবার আহাবের কাছে এলেন। তিনি ইস্রায়েলের লোকদের পাহাড়ের উপরে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিলেন। কয়েক হাজার লোক এবং বালের 850 পুরোহিত জড়ো হয়েছিল। ইলিয়াস দুটি বেদী তৈরি করার আদেশ দিয়েছিলেন: একটি বালের উদ্দেশ্যে, অন্যটি সত্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। সারাদিন বালের পুরোহিতেরা তাদের দেবতার কাছে চিৎকার করেছিল, কিন্তু আকাশ ছিল নীরব।
তারপর ইলিয়াস তার বেদী তৈরি করলেন, একটি বলি স্থাপন করলেন, চারপাশে একটি খাদ খনন করার আদেশ দিলেন এবং বলিদান এবং কাঠের উপর জল ঢেলে দেওয়ার আদেশ দিলেন। নবীর প্রার্থনায়, স্বর্গ থেকে আগুন নেমে আসে এবং বলিদান, জ্বালানী, জল, এমনকি পাথর পুড়িয়ে দেয়। লোকেরা চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল: “সত্যিই প্রভু ঈশ্বর এক
এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন ঈশ্বর নেই!”
তারপর আকাশ খুলে বৃষ্টি শুরু হলো।
আহাবের অনুতাপ সত্ত্বেও, তার স্ত্রী ইজেবেল নবীকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন। ইলিয়াস জুডিয়ায় পালিয়ে যান। নবী চল্লিশ দিন হাঁটলেন এবং হোরেব পর্বতে পৌঁছে একটি গুহায় বসতি স্থাপন করলেন। এখানে, একটি ভয়ানক ঝড়, একটি ভূমিকম্প এবং একটি অগ্নিশিখার পরে, প্রভু নিজেই শোকার্ত এলিয়াসের কাছে “একটি শান্ত বাতাসে” আবির্ভূত হয়েছিলেন।
ঈশ্বরের গৌরবের জন্য তার উদ্যোগের জন্য, নবী এলিয়াহকে জীবিত স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর শিষ্য, ভাববাদী ইলিশা, একটি জ্বলন্ত রথে স্বর্গে এলিয়ার আরোহণ প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
ইলিয়াস নামে অন্যান্য বিখ্যাত সাধু
পবিত্র ক্যালেন্ডারে অর্থডক্স চার্চইলিয়াস নামে 30 টিরও বেশি সাধু। তাদের অনেকেই নতুন শহীদ।
মুরোমেটস এর রেভারেন্ড এলিয়াহ, গুহা
চার্চ এই সাধুকে গুহার সন্ন্যাসী ইলিয়াস হিসাবে পূজা করে। লোককাহিনী তাকে চেনে মহাকাব্য নায়কইলিয়া মুরোমেটস।
ইলিয়া মুরোমেটস। ভিক্টর ভাসনেটসভ। “হিরোস” পেইন্টিংয়ের টুকরো। 1881-1898
ইলিয়া মুরোমেটস 12 শতকে বাস করতেন। তিনি চেরনিহিভ অঞ্চলের ছিলেন এবং তিনি সত্যিই একজন শক্তিশালী যোদ্ধা ছিলেন। জীবনের শেষ দিকে, ইলিয়া সন্ন্যাসী হন কিয়েভ-পেচেরস্ক লাভরা. 1643 সালে তিনি একজন সাধু হিসাবে সম্মানিত হন।
1988 সালে, ইউক্রেনীয় এসএসআর-এর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কমিশন মুরোমেটসের সেন্ট এলিজার ধ্বংসাবশেষগুলির একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্রদ্ধেয় ছিলেন শক্তিশালী মানুষ, এর উচ্চতা ছিল 177 সেমি, যা মধ্যযুগের জন্য বেশ উচ্চ ছিল।তিনি মেরুদণ্ডের রোগের লক্ষণ দেখিয়েছিলেন (জন্ম থেকে 33 বছর বয়স পর্যন্ত মহাকাব্য এলিজা নড়াচড়া করতে পারেননি) এবং অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন।
আজ, গুহাগুলির এলিয়াসের ধ্বংসাবশেষ কিয়েভ-পেচেরস্ক লাভরার কাছের গুহাগুলিতে বিশ্রাম পেয়েছে।
ইলিয়া মুরোমেটস – প্রধান চরিত্ররাশিয়ান বীরত্বপূর্ণ মহাকাব্যের 53টির মধ্যে 15টি প্লট। নায়কের শোষণ- ঐতিহ্যগত প্লটজনপ্রিয় লুবোক। ইলিয়া মুরোমেটসের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্র হল ভিক্টর ভাসনেটসভের চিত্রকর্ম “বোগাটাইরস” (1881)।
1. নবী ইলিয়াস ওল্ড টেস্টামেন্টের সর্বশ্রেষ্ঠ নবীদের একজন। রূপান্তরের সময়, প্রেরিতরা খ্রীষ্টকে মূসা এবং এলিয়ার সাথে কথা বলতে দেখেন।
2. অ্যাপোক্যালিপসের দ্রষ্টা বলেছেন যে নবী এলিয়াহ পৃথিবীতে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের অগ্রদূত হবেন এবং খ্রীষ্টবিরোধীদের দাসদের কাছ থেকে মারা যাবেন।
3. “স্রোতে” নবী ইলিয়াসের মন্দির – রাশিয়ার প্রথম মন্দির। এটি 944 সালে প্রিন্স ইগর এবং বাইজেন্টিয়ামের মধ্যে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নবী ইলিয়াসের গির্জায়, বাপ্তাইজিত ভারাঙ্গিয়ানরা চুক্তির শর্তাবলী মেনে চলার শপথ করে।
4. ইলিঙ্কা অন্যতম প্রাচীনতম রাস্তাগুলিমস্কো। এটি রেড স্কোয়ার থেকে ইলিনস্কি গেট স্কোয়ার পর্যন্ত নিয়ে যায়। ইলিনস্কি থেকে প্রাপ্ত রাস্তার নাম মঠইলিয়াস নবী পাথর গির্জা সঙ্গে XVI শতাব্দী. 1626 সালে অগ্নিকাণ্ডের পরে মঠটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল, গির্জাটি একটি প্যারিশ হয়ে ওঠে এবং আজও বিদ্যমান রয়েছে।
5. রাশিয়ায় ইলিয়া নামটি বেশ প্রচলিত ছিল। তার কাছ থেকে আসা উপাধি ইলিন, 18 শতকে ইতিমধ্যেই বেশ সাধারণ। উদাহরণস্বরূপ, ক্যাপ্টেন 1ম র্যাঙ্ক দিমিত্রি ইলিন ছিলেন চেসমে নৌ যুদ্ধের (1770) নায়কদের একজন। আর রুশ ধর্মীয় দার্শনিক ইভান ইলিন সারা বিশ্বে পরিচিত।
6. Ilyin দিন – সবচেয়ে বিখ্যাত রাশিয়ান এক লোক ছুটির দিন. পৌত্তলিকরা যখন খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিল, তখন অনেক লোক রীতিনীতি “চার্চ” হয়েছিল, খ্রিস্টানদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। সুতরাং, উদাহরণস্বরূপ, পৌত্তলিক বিদায় শীতকালে প্রবেশ করেছিল অর্থোডক্স ঐতিহ্যমাসলেনিতসার মতো – লেন্ট শুরু হওয়ার আগে একটি প্রস্তুতিমূলক পনির সপ্তাহ। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল নবী ইলিয়াসের স্মৃতির দিনে।
7. “পিটার এবং পল ঘন্টার গতি কমিয়ে দিয়েছিলেন, এলিয় ভাববাদী দুজনকে টেনে নিয়ে গেলেন” এই কথাটির সাথে পবিত্র শাস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। আসল বিষয়টি হল 2 আগস্টের পর থেকে দুই ঘন্টা আগে অন্ধকার হতে শুরু করে।
8. হযরত ইলিয়াসকে বায়ুবাহিত সৈন্যদের পৃষ্ঠপোষক বলে মনে করা হয়। এই পূজাটি নবীর স্মৃতির দিন এবং এয়ারবর্ন ফোর্সের দিনের ক্যালেন্ডার কাকতালীয় থেকে তৈরি হয়েছিল: 2 আগস্ট, 1930 সালে ভোরোনজের কাছে মস্কো সামরিক জেলার অনুশীলনে, প্রথম প্যারাট্রুপাররা অবতরণ করেছিল। অনেক প্যারাট্রুপার নবী ইলিয়াসের কাছে তাদের “পেশাদার” রক্ষক হিসাবে প্রার্থনা করে।
2শে আগস্ট, চার্চ ওল্ড টেস্টামেন্টের অন্যতম শ্রদ্ধেয় সাধু পবিত্র নবী ইলিয়াসের স্মৃতি উদযাপন করে।
অর্থোডক্স এবং ইন উভয় ক্ষেত্রেই কেবল সর্বাধিক শ্রদ্ধেয় সাধুদের একজন নয় ক্যাথলিক চার্চ. নবী ইলিয়াস অন্যতম বিখ্যাত মানুষেরামানবজাতির ইতিহাসে। তিনি কেবল খ্রিস্টান এবং ইহুদি ধর্মেই নয়, পরবর্তীকালে প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায় এবং ইসলামেও সম্মানিত এবং পৌত্তলিক ধর্মেও তাঁর চিত্রের চিহ্ন রয়েছে।
আমরা সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ করেছি মজার ঘটনানবী ইলিয়াস সম্পর্কে।
1. নবী ইলিয়াসের অজানা নাম
আমরা নবী ইলিয়াসের উৎপত্তি সম্পর্কে, তার বংশতালিকা সম্পর্কে কিছুই জানি না, এমনকি তার নামটিও সঠিক নাম নাও হতে পারে।
হিব্রুতে “এলিয়াহু” এর অর্থ হল “প্রভু আমার ঈশ্বর।” একটি মতামত রয়েছে যে বালের পুরোহিতদের সাথে সংঘর্ষের সময় নবী নিজের জন্য এই নামটি নিয়েছিলেন।
2. এক ঈশ্বরের প্রচারক
আধুনিক ইলিয়াস, ইস্রায়েলের রাজা, আহাব এবং তার স্ত্রী ইজেবেল মূর্তিপূজক ছিলেন: তারা পৌত্তলিক দেবতা বালকে বলিদান করেছিলেন (জিজেবেল ফোনিশিয়ানদের থেকে এসেছেন যারা তাকে উপাসনা করতেন এবং তিনি নিজেই একজন পুরোহিত ছিলেন) এবং জনগণকে এতে প্ররোচিত করেছিলেন। ইলিয়াস খোলাখুলিভাবে রাজা এবং রানীর নিন্দা করেছিলেন, এইভাবে পরবর্তীদের ঘৃণা অর্জন করেছিলেন।
মূর্তিপূজায় রাজার অধ্যবসায়ের শাস্তি হিসাবে, প্রভু দেশে তাপ পাঠান। তিন বছর ধরে আকাশ থেকে বৃষ্টি বা শিশিরও পড়েনি। খরা শুধুমাত্র এলিয়ার প্রার্থনায় থেমে গিয়েছিল, যা বালের পুরোহিতদের লজ্জিত করেছিল।
নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে এটি ঘটেছে.
ইলিয়াস ইস্রায়েলের লোকেদের এবং বালের যাজকদের কারমেল পর্বতে জড়ো করেছিলেন এবং দুটি বেদি স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন – ঈশ্বর এবং বাল – এবং তাদের উপর উত্সর্গ করেন, কিন্তু তাতে আগুন দেননি। বাল যদি তার শিকারকে স্বর্গ থেকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়, তাহলে তিনিই প্রকৃত ঈশ্বর। প্রভু যদি সত্য ঈশ্বর হন তিনি।
বাল, অবশ্যই, তার বলিদান “গ্রহণ করেননি”। ঈশ্বর শুধু বলিদানই নয়, কাঠ, পাথরের বেদী, এমনকি জল দিয়ে খাদও পুড়িয়ে দিয়েছিলেন, যা এলিয়ার আদেশে বেদীটিকে ঘিরে রেখেছিল।
ইস্রায়েলের লোকেরা অনুতপ্ত হয়েছিল এবং ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করেছিল এবং এলিয়াহ ব্যক্তিগতভাবে বালের সমস্ত যাজকদেরকে হত্যা করেছিলেন যারা মানুষকে কলুষিত করেছিল। এর পরে, তিনি বৃষ্টির জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন এবং প্রভু তাঁর প্রার্থনা বিবেচনা করেছিলেন৷
3. আকাশে বাস করুন
পবিত্র ঐতিহ্য অনুসারে, মানবজাতির ইতিহাসে কেবলমাত্র তিনজনকে জীবিত স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে: প্রেরিত জন, এনোক এবং এলিজা।
এবং যদি Enoch সম্পর্কে সম্ভব হয় বিভিন্ন ব্যাখ্যা(জেনেসিস বইয়ের 5 তম অধ্যায়ে, পার্থিব জীবন থেকে তার প্রস্থান সম্পর্কে অস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে: “তিনি চলে গিয়েছিলেন, কারণ ঈশ্বর তাকে নিয়েছিলেন”), এবং আমরা জন সম্পর্কে শুধুমাত্র ঐতিহ্য থেকে জানি, তারপর বাইবেল বিশেষভাবে বলে নবী ইলিয়াস: “হঠাৎ আগুনের একটি রথ এবং আগুনের ঘোড়াগুলি আবির্ভূত হল, এবং তাদের উভয়কে আলাদা করে দিল, এবং এলিয় ঘূর্ণিঝড়ে স্বর্গে ছুটে গেলেন” (2 রাজা 2:11)।
4. ইলিয়াস – খ্রীষ্টের অগ্রদূত
মালাখির ভবিষ্যদ্বাণীর উপর ভিত্তি করে চার্চের ঐতিহ্য অনুসারে: “দেখুন, প্রভুর মহান ও ভয়ানক দিন আসার আগে আমি আপনার কাছে এলিয়াহ নবী পাঠাব” (ম্যাল. 4:5), ভাববাদী এলিয় এর অগ্রদূত হয়ে উঠবেন। পৃথিবীতে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন এবং খ্রীষ্টের প্রচারের জন্য তাকে হত্যা করা হবে, এর ফলে জন ব্যাপ্টিস্টের ভাগ্যের পুনরাবৃত্তি হবে, যিনি ত্রাণকর্তার অগ্রদূত হিসাবে “এলিয়ার আত্মা এবং শক্তিতে” এসেছিলেন (“এলিয়াকে অবশ্যই প্রথমে আসতে হবে এবং সবকিছুর ব্যবস্থা করতে হবে ; কিন্তু আমি তোমাদের বলছি যে এলিয় ইতিমধ্যেই এসেছেন, এবং তারা তাকে চিনতে পারেনি, কিন্তু তার সাথে ইচ্ছামত করেছে, তাই মানবপুত্র তাদের দ্বারা কষ্ট পাবে” (ম্যাট. 17:11-12), খ্রীষ্ট বলেছেন)।
এলিজা যে খ্রীষ্টের অন্যতম বার্তাবাহক তা তার অলৌকিক কাজ দ্বারা প্রমাণিত হয়। রাজা আহাব এবং ইস্রায়েলের লোকেদের পাপের কারণে খরার সময়, তিনি সীডনের জারিফথ থেকে একজন বিধবার বাড়িতে বসতি স্থাপন করেছিলেন, জন্মসূত্রে একজন পৌত্তলিক – ঠিক যেমন খ্রিস্ট ইস্রায়েলের ধ্বংসপ্রাপ্ত লোকেদের কাছে এসেছিলেন, কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন, পৌত্তলিকদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।
বিধবার ঘরে, ইলিয়াস তার একমাত্র পুত্রকে পুনরুত্থিত করেছিলেন, যে অসুস্থতায় মারা গিয়েছিল – ঠিক যেমন খ্রিস্ট তার পার্থিব জীবনে মৃতদের পুনরুত্থিত করবেন।
বিধবার ঘরে আরেকটি অলৌকিক ঘটনা – যখন নবী সেখানে ছিলেন, জগে তেল ফুরিয়ে যায়নি এবং ময়দা শেষ হয়নি – সেই রুটি এবং মাছের অলৌকিক ঘটনাটি অনুমান করে যা দিয়ে প্রভু তাঁর কথা শোনেন তাদের খাওয়ান।
5. ইলিয়াস – খ্রীষ্টের কথোপকথন
গসপেল সাক্ষ্য দেয় যে এলিয়াহ নবীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এই সত্যের দ্বারা যে শুধুমাত্র তিনি এবং মূসা তাবোরে তাঁর রূপান্তরের সময় খ্রীষ্টের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে সম্মানিত হয়েছিলেন।
এই দুই ভাববাদীকে কেন খ্রীষ্ট কথোপকথনের জন্য বেছে নিয়েছেন তার বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে।
প্রথমত, মোজেসের মতো এলিজারও ঈশ্বরের সাথে সরাসরি যোগাযোগের অভিজ্ঞতা ছিল: মূসা ঈশ্বরের কাছ থেকে আইন পেয়েছিলেন, এবং একজন ব্যক্তির জন্য যতটা সম্ভব সর্বশক্তিমানের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন – তিনি “ঈশ্বরের পিঠ” দেখেছিলেন (প্রস্থান, 33) ) ইলিয়াস তাঁর আহ্বানে ঈশ্বরের সামনে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন, “তাঁর চাদরে মুখ ঢেকে” (1 কিংস, 19)।
সেন্ট জন ক্রিসোস্টম ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন: “একজন যিনি মারা গেছেন এবং অন্যজন যিনি এখনও মৃত্যু অনুভব করেননি” খ্রীষ্টের সামনে হাজির হয়েছিলেন যাতে দেখান যে তিনি “জীবন ও মৃত্যুর উপর ক্ষমতা রাখেন, স্বর্গ ও পৃথিবীর উপর শাসন করেন।”
6. ইহুদী ধর্মে এলিয়াহ
মাশিয়াচ (মসীহ) এর অগ্রদূত হিসাবে নবী ইলিয়াহুর ঐতিহ্য প্রাচীন, প্রাক-খ্রিস্টান ইহুদি ধর্মে বিদ্যমান ছিল এবং এটি এখনও সংরক্ষিত আছে। তদুপরি, এটা বিশ্বাস করা হয় যে মশীহের আগমনের আগে এলিজা কেবল পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না, তবে তাকে রাজ্যে অভিষিক্ত করবেন (যেহেতু অন্য কোনও ইঙ্গিত থাকতে পারে না, একজন নবীর মাধ্যমে ঈশ্বরের দ্বারা সরাসরি ছাড়া, পরবর্তীতে একজন বৈধ রাজার জন্য। রাজবংশের একটি শতাব্দী-পুরোনো বিরতি)।
ইহুদি ঐতিহ্য আরও দাবি করে যে এলিয়াহু পেসাচ (মিশর থেকে প্রস্থানের একটি স্মৃতি) সাথে দেখা করা প্রতিটি পরিবারের বাড়িতে যান – তাই, আচারের পাসওভারের খাবারের সময়, একটি গ্লাস নবীর জন্য টেবিলে রেখে দেওয়া হয়।
7. ইসলামে ইলিয়াস
ইসলামী ঐতিহ্যে হযরত ইলিয়াসকে ইলিয়াস নামে ডাকা হয়। তার জীবনী সংক্ষিপ্তভাবে নবীর বাইবেলের জীবনী পুনরাবৃত্তি করে: তিনি এক ঈশ্বরের উপাসনা করতে শিখিয়েছিলেন, বাল মূর্তি পূজা করার জন্য শাস্তি পেয়েছিলেন।
কোরানের কিছু ব্যাখ্যাকারী এবং ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করেন যে ইদ্রিস (এনোক), খিদর (নবী – মূসার শিক্ষক, এছাড়াও অমর; বাইবেলে কোন উপমা নেই) – ইলিয়াসের অন্যান্য নাম। ইসলামে খ্রিস্টধর্ম এবং ইহুদি ধর্মে এলিজার চিত্রে এমবেড করা কোনো এস্ক্যাটোলজিকাল অর্থ নেই। কিন্তু তাকে জীবিত অবস্থায় বেহেশতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এমন বিশ্বাসও ইসলামে আছে- এটা বিশ্বাস করা হয় যে তিনি খিদরের সাথে পৃথিবী ভ্রমণ করেন।
পরবর্তী ইসলামী সাহিত্য এবং কিংবদন্তীতে, ইলিয়াস সাধারণত অর্ধ-মানব, অর্ধ-ফেরেশতা হয়ে ওঠে।
8. লোককাহিনীতে ইলিয়াস
এলিজার ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, স্বর্গ তিন বছরের জন্য বন্ধ ছিল এবং তার নিজের প্রার্থনার মাধ্যমে পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত হয়েছিল, এলিজা প্রায়শই প্রাক-খ্রিস্টীয় স্বর্গীয় দেবতাদের সাথে যুক্ত। এই সমিতিগুলির শেষ ভূমিকাটি স্বর্গে যাওয়ার ভাববাদীর চিত্র দ্বারা অভিনয় করা হয়নি – একটি জ্বলন্ত রথে।
ইতিমধ্যেই খ্রিস্টীয় যুগে, পঞ্চম শতাব্দীতে, কবি সেডুলিয়াস গ্রীক সূর্য দেবতা হেলিওসকে এলিয়ার নামের সাথে যুক্ত করেছিলেন, বিশেষ করে যেহেতু এই দুটি নামই শব্দের খুব কাছাকাছি (গ্রীক ট্রান্সক্রিপশনে “এলিজা” নামটি “ইলিয়াসের মতো শোনায়) “)।
ভিতরে স্লাভিক ঐতিহ্যপৌত্তলিক দেবতা-বজ্রবিদ পেরুনের কিছু কাজ ইলিয়াস নবীর চিত্রে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এবং কোমি জনগণ তাদের দেবতাদের প্যান্থিয়নে এলিজাকে সম্পূর্ণরূপে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল: এলিয়াহ নবীকে ডেমিয়ার্জ দেবতাদের একজনের সহকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তার গুণাবলী হল চকমক এবং চকমকি, যার সাহায্যে তিনি বজ্র ও বজ্রপাত তৈরি করেন।
9. অর্থোডক্স রাশিয়ায় নবী ইলিয়াসের পূজা
রাশিয়ায় ভাববাদী ইলিয়াসের পূজা তার বাপ্তিস্মের আগেও ব্যাপক ছিল। প্রিন্স ইগরের শাসনামলে কিয়েভে নির্মিত প্রথম মন্দিরটি নবী এলিজাকে উৎসর্গ করা হয়েছিল।
তার বাপ্তিস্মের পরে, তিনি একটি মন্দির তৈরি করেছিলেন, যা তার জন্মভূমি ভিবুটি (পসকভ অঞ্চল) গ্রামে নবী এলিজাকেও উত্সর্গ করেছিলেন।
10. নবী ইলিয়াস কার পৃষ্ঠপোষক?
2শে আগস্ট – “বায়ুবাহী বাহিনীর দিবস”। নীল বেরেটের যোদ্ধারা তাদের ছুটির দিনটি ব্যাপকভাবে উদযাপন করে, এবং তাদের মধ্যে যারা অর্থোডক্স বলে দাবি করে তারা গর্বের সাথে মনে করে যে একই দিনে চার্চ নবী ইলিয়াহকে স্মরণ করে। অতএব, ইন সম্প্রতিনবী ইলিয়াসকে ক্রমবর্ধমানভাবে বায়ুবাহিত সৈন্যদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
এই ধরনের ক্যালেন্ডার প্রতীকবাদের সাথে কোন ভুল নেই, বিশেষ করে যেহেতু নবীর অনেক অলৌকিক ঘটনা ওল্ড টেস্টামেন্টে যুদ্ধের মতো ছিল। একই সময়ে, মূল জিনিসটি ভুলে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ: ভাববাদী এলিজা প্রভুর প্রতি বিশ্বস্তদের পৃষ্ঠপোষক সন্ত, কারণ তিনি নিজেই সমস্ত পরিস্থিতিতে তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন, তিনি হারিয়ে যাওয়াদেরও একজন পরামর্শদাতা। , কারণ তিনি হারিয়ে যাওয়া মানুষকে তার অলৌকিক কাজ দিয়ে আলোকিত করেছেন, তিনি একটি পবিত্র জীবনের উদাহরণও বটে, কারণ তিনি বিবাহিত না হয়ে পবিত্রতার সাথে জীবনযাপন করেছিলেন …
তিনি তার নিজস্ব উপায়ে প্রত্যেকের কাছাকাছি। অতএব, নবী ইলিয়াস, যাঁর থেকে আমরা সহস্রাব্দে বিচ্ছিন্ন হয়েছি, তিনি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় সাধুদের একজন।
বাইবেলের শব্দভান্ডারে “নবী” শব্দটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এবং সাধারণত দুটির সাথে যুক্ত হয় ঐতিহাসিক কাঠামো. এই হল মূসা এবং এলিয়। মূসার সাথে, সবকিছু পরিষ্কার বলে মনে হচ্ছে – তিনি ইস্রায়েলের জনগণকে দাসত্ব থেকে বের করে এনেছিলেন, এবং সাধারণভাবে ইহুদিদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন এবং শতাব্দী ধরে তার পিছনে একটি চিহ্ন রেখে গেছেন। কিন্তু ইলিয়াসের সাথে, সবকিছু পরিষ্কার নয়। তিনি লেখালেখিতে নিয়োজিত ছিলেন না, এবং তিনি জনসাধারণের নেতৃত্ব দেননি, এবং তিনি ছিলেন না, যেমনটি তারা আজ বলবে, একজন সমাজকর্মী।
আলেকজান্ডার ইভানভ (1806-1858)। মরুভূমিতে ইলিয়াস নবী।
এবং তবুও, কেন ইহুদী, খ্রিস্টান এবং ইসলামের দ্বারা এলিয়াহ এত উচ্চতর? দেখা যাচ্ছে যে তার মন্ত্রকের প্রধান জিনিসটি ছিল বিশ্বাস – এমন বিশ্বাস, যা, ইহুদি ইতিহাসের একটি নির্ধারক মুহুর্তে, এই লোককে সত্য ধর্ম রক্ষা করার অনুমতি দেয়। ইলিয়াসের জীবন একটি উদাহরণ যে কিভাবে প্রভু, একজন ব্যক্তির শক্তি দ্বারা, একটি সমগ্র জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন।
… রাজা সলোমনের মৃত্যুর পর একক রাষ্ট্র, ইহুদি জনগণের বারোটি উপজাতিকে একত্রিত করে, দুটি রাজ্যে বিভক্ত হয়েছিল – জুডাহ এবং ইস্রায়েল। এর অল্প সময়ের মধ্যেই, ইস্রায়েলের রাজারা সত্য ঈশ্বরকে সম্মান করা থেকে সরে পড়ে এবং তাদের লোকেদের কলুষিত করে মূর্তি পূজা করতে শুরু করে। কিন্তু প্রভুকে উপহাস করা হয় না, এবং আহাব এবং তার পৌত্তলিক স্ত্রী ইজেবেলের রাজত্বকালে, ঈশ্বরের ইচ্ছার আনুগত্য করে, একজন মহান উদ্যমী এবং তাঁর মহিমা এবং ক্ষমতার সাক্ষী, এলিয়া থিসবিটিয়ান, ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তার প্রচার শুরু করেছিলেন যখন ফিলিস্তিনের কোটি কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র সাত হাজার মানুষ তাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বস্ত ছিল। ইলিয়াস যেকোন মুহুর্তে ইজেবেলের আদেশে নিহত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন, যিনি ইস্রায়েলের সমস্ত ঈশ্বরের নবীদের ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু, প্রভুর প্রতি বিশ্বাসে পরিপূর্ণ, তিনি কখনই তার প্রধান জীবন আহ্বান থেকে বিচ্যুত হননি – তার স্বদেশীদেরকে সত্য ঈশ্বরের উপাসনায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
সম্পর্কিত উপাদান
প্রকৃত নবী কারা? তাদের মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য কী? ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উপহার চার্চ মধ্যে সংরক্ষিত করা হয়েছে? ভবিষ্যত সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী কি বাইবেলে এনক্রিপ্ট করা আছে?
…একদিন আহাবের প্রাসাদে একজন অপরিচিত লোক এলো। এটি একটি লম্বা, মধ্যবয়সী লোক ছিল। মরুভূমির রোদে ঝলসে যাওয়া এবং গরম বাতাসে ঝলসে যাওয়া তাঁর বর্ণময়, মহৎ মুখটি ঘন ঝোপঝাড় দাড়িতে শোভিত ছিল। লম্বা চুলকাঁধের নীচে একটি ঘন আবরণ পড়ে. সজীব কালো চোখ আহাবের দিকে তাকাল, যার উজ্জ্বল চেহারা কথোপকথকের আত্মার গভীরে প্রবেশ করেছিল। রাজার কোন কথার জন্য অপেক্ষা না করেই আগন্তুক বলে উঠল:
“আমি সেই জীবন্ত ঈশ্বরের শপথ করে যাকে আমি সেবা করি!” এই বছরগুলিতে শিশির বা বৃষ্টি হবে না, আমার কথা ছাড়া।
আহাব এই ধরনের কথায় এতটাই আঘাত পেয়েছিলেন যে তিনি নীরব হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। যখন দর্শনার্থী চলে যেতে শুরু করলেন, রাজা তার বিভ্রান্তি কাটিয়ে উঠলেন, জিজ্ঞাসা করলেন:
– তুমি কে?
“আমি এলিয়াহ থিসবাইট, সত্য ঈশ্বরের নবী। যাকে আপনি ভুলে গেছেন, মূর্তি পূজা করে এবং আপনার লোকেদের আধ্যাত্মিক মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, – লোকটি উত্তর দিয়েছিল এবং দ্রুত দূরে চলে গিয়ে গ্যালারির গভীরতায় অদৃশ্য হয়ে গেল …
… যখন পূর্বাভাসিত খরা শুরু হয়, এবং দুর্ভিক্ষ এবং পানির অভাব শুরু হয়, তখন ইলিয়াস, ঈশ্বরের আদেশ পালন করে, পূর্ব প্যালেস্টাইনের খোরাথের উত্সে যান। সেখানে কাকরা সাধুকে খাওয়াত, সকাল-সন্ধ্যায় তাকে রুটি এবং মাংস আনত। কিন্তু শীঘ্রই বসন্ত শুকিয়ে গেল, এবং তারপর প্রভু ইলিয়াসকে পশ্চিমে সিডন শহরের কাছে সারেপ্টুর ফিনিশিয়ান গ্রামে যেতে নির্দেশ দিলেন।
“ওখানে থাক, বিধবা তোমাকে খাওয়াবে,” ঈশ্বর তাকে বললেন।
নির্দেশিত স্থানে পৌঁছে, নবী গ্রামের গেটে একজন দরিদ্র মহিলার সাথে দেখা করলেন, যিনি কাঠ সংগ্রহ করছিলেন। তৃষ্ণা ও ক্ষুধায় কষ্ট পেয়ে এলিয়া তাকে পানি ও রুটি আনতে বললেন। কিন্তু সে ড
“আমি আপনার কাছে শপথ করছি যে আমার কাছে এক মুঠো ময়দা ছাড়া কোনো পেস্ট্রি নেই। এখানে, আমি আগুনের কাঠ নেব এবং নিজের এবং আমার ছেলের জন্য শেষ কেকটি সেঁকব। খেয়ে মরে যাক।
নবীর কথা সত্য হলো। ময়দা এবং তেলের মজুদ শেষ হয়নি এবং মহিলাটি কেবল নিজেকে এবং তার ছেলেকে নয়, সেন্ট এলিয়াকেও অবাধে খাওয়াতে পারতেন, যিনি খরার শেষ অবধি তার বাড়িতে থাকতেন।
একদিন বিধবার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তিনি কিছুক্ষণ তার বিছানায় শুয়ে ছিলেন এবং শীঘ্রই মারা যান। দরিদ্র মায়ের দুঃখ দেখে এবং ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাসকে শক্তিশালী করতে চেয়ে, এলিয়াস ছেলেটিকে নিয়ে গিয়ে তার ঘরে শুইয়ে দিয়েছিলেন এবং তার উপরে নত হয়ে ঈশ্বরের কাছে তিনবার চিৎকার করেছিলেন: “প্রভু, আমার ঈশ্বর! তার আত্মা এই ছেলেটির কাছে ফিরে আসুক!” প্রভু নবীর প্রার্থনা শুনেছিলেন: ছেলেটি জীবিত হয়েছিল এবং তার মায়ের কাছে ফিরে গিয়েছিল। সুতরাং, ঈশ্বরের বিধান অনুসারে, ওল্ড টেস্টামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, একজন মৃত ব্যক্তির পুনরুত্থানের অলৌকিক ঘটনাটি সম্পাদিত হয়েছিল …
… অনেক মাস ধরে খরা স্থায়ী হয়েছে, সমস্ত গাছপালা ধ্বংস করেছে, জলাশয়গুলি শুকিয়ে গেছে এবং গবাদিপশু ও প্রাণীদের মৃত্যুর জন্য ধ্বংস করছে। খরার তৃতীয় বছরে, প্রভু ইলিয়াসকে বললেন:
“যাও এবং আহাবকে দেখাও, আমি পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত করব।”
রাজার পথে, ইলিয়াস ওবদিয়া নামে একজন ধার্মিক ব্যক্তির সাথে দেখা করেছিলেন যিনি আহাবের প্রাসাদে সেবা করতেন। ইলিয়াস তাকে বললেন:
“আহাবকে জানতে দাও যে আমি এখানে আছি।”
রাজকীয় ক্রোধের ভয়ে ওবাদিয়া দীর্ঘদিন এটি করতে রাজি হননি। কিন্তু ইলিয়াস তাকে আশ্বস্ত করলেন এবং শীঘ্রই রাজা নিজেই নবীর কাছে এলেন।
আপনি কি ইস্রায়েলের লোকদের বিব্রত করছেন? আহাব বলেন, তিনি এলিয়ার কাছে গিয়েছিলেন।
“এটা আমি নই যে তাকে বিভ্রান্ত করি, কিন্তু আপনি এবং আপনার বাবার পুরো বাড়ি। তুমি মূর্তি পূজা কর এবং জীবন্ত ঈশ্বরকে ভুলে গেছ, ইলিয়াস সাহসের সাথে উত্তর দিয়েছিলেন। “তোমাদের সমস্ত যাজকদের একত্র কর এবং তাদের কারমেল পর্বতে নিয়ে যাও। সেখানে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব।
নির্ধারিত দিনে কয়েক হাজার মানুষ পাহাড়ের নিচে জড়ো হয়। একটি পৃথক দল ছিল আটশো পঞ্চাশজন পৌত্তলিক যাজক যারা প্রধান মূর্তি – বাল-এর সেবা করত। রাজা নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
আপনি কতক্ষণ উভয় হাঁটু লম্পট হবে? ইলিয়াস লোকদের বললেন. – যদি প্রভু সত্য ঈশ্বর হয়, তাহলে তাকে অনুসরণ করুন, এবং যদি বাল, তাহলে তাকে অনুসরণ করুন। – এবং, পুরোহিতদের দিকে ফিরে, তিনি ভয়ঙ্করভাবে চিৎকার করলেন:
আপনি অনেক আছে, এবং আমি একজন. আসুন বলি বলি: আপনি – বাল, আমি – প্রভু ঈশ্বরের কাছে। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের নিচে আগুন জ্বালাবো না। তুমি বালকে ডাক, আর আমি সর্বশক্তিমান প্রভুর নামে ডাকব। যে দেবতা তার উত্তর দেবেন এবং স্বর্গ থেকে আগুন নামিয়ে দেবেন, তিনিই সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। সকলকে জানতে দিন যে সত্য ঈশ্বর কে!
এলিয়ার প্রস্তাব লোকেদের সন্তুষ্ট করেছিল এবং পুরোহিতদেরকে বালকে তাদের বলি উৎসর্গ করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। তারা একটি বেদী তৈরি করেছিল, কাঠ তৈরি করেছিল, বাছুরটিকে জবাই করেছিল এবং স্বর্গের কাছে প্রার্থনা করে চিৎকার করতে শুরু করেছিল: “ওহ, বাল, আমাদের শোন!”। কিন্তু তাদের প্রার্থনা নিষ্ফল ছিল: আকাশ নীরব ছিল, এবং শিকার কাঠের উপর শুয়ে থাকে। সন্ধ্যা অবধি, পুরোহিতরা চিৎকার করে, ছুরি দিয়ে নিজেদেরকে ছুরিকাঘাত করে, শ্যামানিক নাচের মধ্যে খিঁচুনি দিয়েছিল, কিন্তু স্বর্গ থেকে কোনও উত্তর ছিল না।
– যথেষ্ট. এখন সরে যাও যাতে আমিও প্রভু ঈশ্বরের উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করতে পারি,” ইলিয়াস যাজকদের বললেন। এবং, সাধারণ মানুষের দিকে ফিরে তিনি বলেছিলেন:
– আমার কাছে এসো.
তারপর তিনি বারোটি পাথরের একটি বেদী তৈরি করলেন, তার উপর কাঠ এবং একটি জবাই করা বাছুর রাখলেন, বেদীর চারপাশে একটি খাদ খনন করলেন এবং যজ্ঞটিকে প্রচুর পরিমাণে জল দিয়ে জল দিলেন, যা নীচে প্রবাহিত হয়ে খাদটি ভরাট করে। এই সব করার পরে, ইলিয়াস প্রার্থনা করতে শুরু করলেন:
– প্রভু, আব্রাহাম, আইজ্যাক এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর! আমার কথা শোন, প্রভু, এখন আগুনে আমার কথা শুনুন! এই লোকে জানুক তুমিই ঈশ্বর। এবং আপনি তাদের হৃদয় আপনার দিকে ঘুরিয়ে দেবেন!
এবং তারপরে প্রভু একটি অলৌকিক ঘটনা দেখিয়েছিলেন: স্বর্গ থেকে একটি বিশাল অগ্নিশিখা নেমে এসেছিল এবং বাছুর, জ্বালানী কাঠ, বেদী এবং এমনকি জল যা দিয়ে এলিয় শিকারের উপর জল ঢেলেছিল তা ধ্বংস করেছিল। আগুনে পুড়ে গেছে সবকিছু।
লোকেরা ভয়ে তাদের মুখের উপর পড়ে, ঈশ্বরের প্রশংসা করে এবং পুনরাবৃত্তি করে: “প্রভুই সত্য ঈশ্বর!”
“আপনি বাড়ি যেতে পারেন,” এলিয় আহাবকে বললেন। “খাও এবং পান কর, কারণ আমি ইতিমধ্যে বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
একথা বলে সাধক পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করলেন এবং ঈশ্বরের কাছে বৃষ্টির দান প্রার্থনা করতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পরে, আকাশের পশ্চিম অংশে একটি ছোট মেঘ দেখা দেয়, যা আরও বড় হতে থাকে। এবং এখন ভয়ঙ্কর ধূসর মেঘ আকাশ ঢেকেছে, একটি প্রবল বাতাস বয়ে গেল এবং ভারী বৃষ্টি পড়ল, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আর্দ্রতা দিয়ে ক্লান্ত জমিকে পুষ্ট করে …
… নবী ইলিয়াসের পার্থিব জীবনের শেষ দিনগুলি ঘনিয়ে আসছিল। একদিন প্রভু তাকে বললেন:
“আবেল-মেহোলু গ্রামে যান এবং সেখানে আপনি সাফাতোভের ছেলে ইলিশাকে পাবেন। ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মন্ত্রণালয়ের জন্য তাকে অভিষিক্ত করুন এবং আশীর্বাদ করুন, কারণ তিনি আপনার শিষ্য এবং আপনার পরে আপনার উত্তরাধিকারী হবেন।
ইলিশা সানন্দে এলিয়াকে অনুসরণ করেছিলেন এবং তার অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হয়েছিলেন। একদিন তারা জর্ডানে এলো। আমি সরাতে হয়েছে বিপরীত ব্যাংক, এবং এই জায়গায় কোন ক্রসিং ছিল না. ইলিয়াস তার চাদরটা নিয়ে পানিতে আঘাত করলেন। জল তাঁর সামনে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, এবং তিনি, ইলীশা সহ, শুকনো তলদেশ দিয়ে অন্য দিকে চলে গেলেন। ছাত্র ও শিক্ষক বিদায় জানাতে লাগলেন।
প্রভু আমাকে শীঘ্রই নিয়ে যাবেন। জিজ্ঞাসা করুন আমরা ভাগ করার আগে কি করতে হবে?
“পিতা, আপনার মধ্যে যে শক্তি, এবং আপনার কাছে যে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উপহার রয়েছে, সেগুলি আমার উপর দ্বিগুণ হোক।
আপনি যা জিজ্ঞাসা করেন তা করা সহজ নয়। কিন্তু তুমি যদি দেখে যে আমি তোমার কাছ থেকে কিভাবে কেড়ে নেব, তাহলে তোমার চাওয়া পূরণ হবে।
তাই তারা হেঁটে কথা বলল। হঠাৎ, জ্বলন্ত ঘোড়া সহ একটি জ্বলন্ত রথ উপস্থিত হল এবং একটি ঘূর্ণিবায়ুতে ঈশ্বরের মহান নবীকে স্বর্গে নিয়ে গেল। ইলিশা, তার পরামর্শদাতার দৃষ্টি অনুসরণ করে চিৎকার করে বলল:
– পিতা! ইসরায়েলের রথ ও তার অশ্বারোহী বাহিনী! প্রভুর জন্য আপনার কাজ, প্রার্থনা এবং উত্সাহ দিয়ে, আপনি রাজকীয় রথ এবং সৈন্যদের চেয়ে ইস্রায়েলের লোকদের বেশি সাহায্য করেছিলেন!
দুঃখের সাথে, ইলিশা বিচ্ছেদের জায়গা ছেড়ে চলে গেলেন। কিন্তু তারপরে তিনি মাটিতে তার শিক্ষকের পোশাকটি দেখতে পেলেন, যা এলিয়াহ রথ থেকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন একটি চিহ্ন হিসাবে যে তিনি তার শিষ্যকে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। ইলিশা কৃতজ্ঞতার সাথে তার চাদরটি তুলেছিলেন এবং কখনও এটির সাথে আলাদা হননি। ইলিয়াসের আত্মা ইলীশার উপর বিশ্রাম নিল…
তথ্যসূত্র
- ↑ Cline, Austin। “Biography of Elijah, Old Testament Prophet”। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০।
- ↑ Swayd, Samy (২০১৫)। Historical Dictionary of the Druzes। Rowman & Littlefield। পৃষ্ঠা 77। আইএসবিএন9781442246171।
since Elijah was central to Druzism, one may safely argue that the settlement of Druzes on Mount Carmel had partly to do with Elijahʼs story and devotion. Druzes, like some Christians, believe that Elijah came back as John the Baptist
- ↑ “হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম| ছোটদের নবী-রসূল -১ | পাঠাগার”। www.pathagar.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০৩।
- ↑ সুরা আনআম, আয়াত : ৮৫।
- ↑ যোহন লিখিত সুসমাচারম ১ : ২১, পৃ. ১৫৮।
- ↑ সুরা সাফফাত, আয়াত : ১২৩-১৩২।
- ↑ কাসাসুল কুরআন, হিফযুর রহমান, খ. ২, পৃ. ২৪৩-২৪৬।
- ↑ সিরাত বিশ্বকোষ, সম্পাদনা পরিষদ, ইফাবা, ২০০১খৃ. খ. ২, পৃ. ২৪৫-২৪৭।
- ↑ সুরা সাফফাত, আয়াত : ১২৫।
- ↑ বাইবেল, রাজাবলী ১৯ : ১-১৩।
- ↑ সিরাত বিশ্বকোষ, সম্পাদনা পরিষদ, খ. ২, পৃ. ২৪৯।
- ↑ তাফসির নূরুল কুরআন, মাওলানা আমীনুল ইসলাম, খ. ২৩, পৃ. ১৪৬-১৪৮।
- ↑ তাফসির মাযহারি, ছানাউল্লাহ পানিপথি, খ. ১০, পৃ. ৫২-৬৪।
- ↑ Smith, William Robertson; Cook, Stanley Arthur (১৯১১)। “Elijah“। চিসাম, হিউ। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 9 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 273–274।
- ↑ সিরাত বিশ্বকোষ, সম্পাদনা পরিষদ, খ. ২, পৃ. ২৫৫-২৫৬।
- ↑ সিরাত বিশ্বকোষ, সম্পাদনা পরিষদ, খ. ২, পৃ. ২৫৭।
- ↑ Pirḳe R. El. xxix.