মোহাম্মদ আলী
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক ও সমাজকর্মী আক্তার কামালের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার বড়ভাই প্রকৌশলী আবছার আমার সহপাঠী ব্ন্ধু ছিল। আমরা তখন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন করতাম। সে সুবাদে এই পরিবারের সাথে আমার একটা নিবির বন্ধন ছিল। আক্তার ও বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন করত।
১৯৭১ সালের ৮ আগস্ট বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন সা. সম্পাদক ফালান সাহার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ মিরশ্বরাইর মাস্তান নগর হয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্য আলকরণ থেকে শূভপূরের বাস যোগে রওয়ানা হয়।সেগ্রুপে ছিল সাতকানিয়ার মৃদুল গূহ,অপু চৌধুরী, বোয়ালখালীর আক্তার কামাল, আবুল মনসুর, আবুল মোমেন,আ. হামিদ ও ওসমান গনি। এই গ্রুপটি মিরশ্বরািই থানা চেকপোস্ট কৌশলে পার হয়ে গেলে ও কিছুদূর গিয়ে কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার স্হানীয় মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট মওলানা আজহার সোবহানের হাতে ধরা পরে। থানায় এনে তাদেরকে চরম নির্যাতন করে ও কোন তথ্য বের করতে না পারায় মৃদুল, ওসমান ও অপুকে ছাড়া আক্তার সহ বাকীদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই ভাবে সে দিন আক্তার সহ অন্যরা মৃত্যুর মুখথেকে দৈবক্রমে ফিরে আসে। বাকী ৩ জনকে স্হনীয় গ্রামের এক ছড়ার পার্শে দাঁড় করায়ে গুলি ওবেনেটের আঘাতে ঝাঁজরা করে পানিতে ফেলে দে। অপু ও সৈয়দ ওসমান গনি (আকুবদন্ডী) ঘটনাস্হলেই শহীদ হন। সৌভাগ্য ক্রমে মৃদুল গূহ(পরবর্তীতে চট্রগ্রাম জর্জ কোর্টের প্রতিথ যশা আইনজীবি) ১৭ টি বেনটের ক্ষত নিয়ে স্হানীয় জনগনের সহযোগীতা য় চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং সূস্হ হয়ে পূনরায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। জীবন বাজি রেখে সে দিন যারা এভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল তাদের অধিকাংশই শূধুমাত্র দলীয় পরিচয়ের কারনেই স্বিকৃতি পাননাই। দেশ মাতৃকার মুক্তি কামনায় নিবেদিত এই বীর সেনানীকে স্যলুট জানাই।
আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের মেঝ ভাই, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি,র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আক্তার কামাল চৌধুরী ২১ জুলাই ২০২১ তারিখ সকাল ৮.৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না ইলাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।