করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা লকডাউনের পর এবার পাশের লোহাগাড়া উপজেলাকেও লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে লোহাগাড়া উপজেলা লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার রাত ৯টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লোহাগাড়া উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালীন কেউ লোহাগাড়ায় প্রবেশ কিংবা বের হতে পারবেন না।

এর আগে দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সাতকানিয়া উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই-আলমের সই করা ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাতকানিয়া উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

গত ১১ এপ্রিল সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমসা ইউনিয়নের ইছামতি আলিনগর গ্রামে ৬৯ বয়সী এক বৃদ্ধের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। যদিও ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার সময় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা যান।

এরপর ১২ এপ্রিল ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষায় সাতকানিয়ার আরও ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। আক্রান্ত দুই ব্যক্তির বয়স যথাক্রমে ৩২ ও ১৯।

সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় সাতকানিয়ার আরও ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। তারা সবাই পশ্চিম ঢেমসা ইউনিয়নের ইছামতি আলিনগর গ্রামের। আক্রান্তদের বয়স যথাক্রমে ৩১, ৩০, ২৭, ২৫ ও ২৭।

চট্টগ্রামের মোট ২৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৮ জনই সাতকানিয়ার হওয়ায় সাতকানিয়াকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘হটস্পট’ হিসেবে বিবেচনায় নেয় প্রশাসন।

বুধবার সকালে করোনা ভাইরাসের ‘সোশ্যাল ট্রান্সমিশন’ এড়াতে সাতকানিয়া উপজেলা লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

একইদিন রাতে সাতকানিয়ার পাশের উপজেলা লোহাগাড়াকেও লকডাউনের ঘোষণা এলো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here