শেখ মুহাম্মদ ফোরকান কাদেরী
বোয়ালখালী পূর্ব জ্যৈষ্ঠপুরা গাউছিয়া কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ফতেয়ারখীল নিবাসী মুহাম্মাদ আনছারুল হক আলকাদেরী প্রকাশ দরবেশ আলী গত ১৭,ই জুন বুধবার দুপুর ১২টা ৩৫মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারনে নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে ৫ছেলে ১মেয়ে অসংখ্য শুভাকাঙ্খি রেখে মওলার ডাকে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ওনার ইন্তেকালে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বোয়ালখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাওলানা কাজী মাওলানা ওবাইদুল হক হক্কানী ও ইউনিয়ন গাউছিয়া কমিটির সাবেক সভাপতি আলহাজ মাওলানা মাহফুজুল হক আলকাদেরী ও গাউছিয়া কমিটি ৮নং শ্রীপুর খরন্দ্বীপ জ্যৈষ্ঠপুরা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আলহাজ ইস্কান্দর আলম দিদার ও সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ মোহাম্মদ ফোরকান কাদেরী।গাউছিয়া কমিটি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান ইমতিয়াজ ও মাওলানা রোকন উদ্দীন চৌধুরী। মাওলানা খায়রুল আমিন কাদেরী।রবিউল ইসলাম। আব্দুল আজিজ। আগভীর শোক প্রকাশ করেন। সাথে সাথে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট মরহুমের জান্নাতুল ফেরদৌসের আ’লা মকাম কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ওবায়দুল হক হক্কানী ও আমি গত দুইবছর আগের ফতেয়ারখীল হযরত খাজা গরীবের নেওয়াজ(রহ.)স্মরণে অনুষ্ঠিত সুন্নী কনফারেন্স উপস্থিত হওয়ার পূর্বে প্রায় শত বৎসরের কাছাকাছি দরবেশ আলী হুজুর কেবলা গাউসে যামান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রাঃ) এর ফয়েজপ্রাপ্ত বুজুর্গ মুরীদ ছিলেন। পূর্ব জৈষ্ট্যপুরা যেকোন অনুষ্টানে আমরা কনিকের জন্য যাওয়া হলেও উনাকে দেখে আসতাম, আলাপ করতাম। তিনি স্বপ্নদ্রষ্টা হয়ে হুজুর কেবলা (রাঃ) এর অনেক নির্দেশনা পালন করতেন।
মুহতারম কাজী ওবায়দুল হক হাক্কানী হুজুরের সাথে আলাপচারিতা হযরত দরবেশ আলী বলেছিলেন
“অনেক পেরেশানী নিয়ে মাতৃভূমি সন্দ্বীপ থেকে স্থানান্তরের প্রাক্কালে হুজুর কেবলা (রহ.)’র ইশারায় আমাকে এই এলাকাটি দেখালে, তখন দরবেশ আলী হুজুগ কেবলা(রহ) কে বলেছিল হুজুর! এলাকাটি পাহাড়ী জঙ্গল ও হাতীর পাল অবস্থানের জায়গা। বলা হল খামুস!! সাচ্চা মুরিদের ভয় নাই!।
আরো বলা হল এই এলাকা একদিন মনোরম পরিবেশের শহর গড়ে উঠবে”।
তথায় তিনি নির্ভয়ে বসতি স্থাপনের পর বাড়ীর অদুরে শুধু বাঁশের খুটি ও ছনপাতা দিয়ে একটি তৈয়্যবিয়া মসজিদ স্থাপন করে অনেকবার সেখানে এ’তেকাফ করেছেন এবং তথায় নির্ভয়ে এবাদত-বন্দেগী ও রাত্রি যাপন করতেন (সুবহানাল্লাহ)।
আল্লাহ তায়ালা সারা বিশ্বে হুজুর কেবলার সকল মুরিদানকে (দুনিয়া-আখেরাতে) নির্ভয়ে রাখুক! আমীন! ছুম্মা আমীন!! বেহুরমতে সৈয়্যদীল মুরছালীন!!