মোঃ মাহবুব উল আলম
শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র কালাম: ‘মাইজভাণ্ডার শরিফ ইয এ্যান ওস্যান। যেমন-তেমন ভাববেন না। প্রাচ্যের বায়তুল মোকাদ্দাস। সকল জাতির মিলন কেন্দ্র।’ বস্তুতঃপক্ষে এই দরবার মানুষের কেবল শারীর-জাহেরী সম্মিলন কেন্দ্র নয়, মনোজগতের বিভিন্ন অভিব্যক্তি, চিন্তাচেতনারও সমাবেশ কেন্দ্র। মহাসাগরে যেমন সমুদয় বস্তু মিশে একাকার হয়ে বিশেষ প্রকারের পরিশুদ্ধ দ্রব্যে পরিণত হয়, তেমনি মাইজভাণ্ডাররূপ আধ্যাত্মিক মহাসাগরে এসে সকল মন্দ পরিশোধিত হয়, ভালো আরো-ভালো হয়। এক পরম পবিত্রতাবোধ সবাইকে একসূত্রে গ্রথিত করে।
নৈর্ব্যক্তিক গবেষণা-সিদ্ধ এই গ্রন্থে মাইজভাণ্ডারী বেলায়তে মোতলাকা তথা সার্বজনীন নৈকট্যসূত্রে সংযুক্তির অভিন্ন মঞ্চে ভাববাদ, বস্তুবাদ, অধ্যাত্মবাদ, আস্তিক্য ও নাস্তিক্যবাদ ইত্যাকার দর্শন ধারণাকে পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে সংস্থাপন করে গ্রীক তথা পাশ্চাত্য দর্শন, প্রাচ্য তথা ভারতীয়-পারসিক দর্শন, মুসলিম তথা ইসলামী জাহেরী-বাতেনী দর্শনকে আলোকসন্ধানী মানুষের সামনে পেশ করা হয়েছে। মাইজভাণ্ডারী বেলায়তের সামাজিক-তাত্ত্বিক বাস্তুভিটা সার্বজনীন রবুবিয়াত বা পালনবাদী জীবনবাদী দর্শনের রূপকল্পও বর্ণিত হয়েছে, যা বিশ্বমানবিক জাগতিক ঐক্য, শান্তি ও প্রগতির সাধক ও কর্মীদের বিভেদবিহীন সম্মিলিত সমাবেশের শতরঞ্জ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য। এছাড়া এ গ্রন্থ মানুষ-মন-জীবন ও বস্তুকে পাণ্ডাত্য দর্শনের মানদণ্ডে অবলোকন করার অভ্যস্ত আবহের বিপরীতক্রমে প্রাচ্যদর্শন, মুসলিম দর্শনের আলোকে অধ্যয়নের আবেদনও ধারণ করে। দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, অধিবিদ্যা, ইসলাম ধর্মের মৌলিক সমাজ-সাধনা ও বিশ্ববীক্ষা সম্পর্কে আধুনিক | শিক্ষার্থীরা এ ‘গ্রন্থ থেকে প্রশস্ততর সংহত সুবিন্যস্ত পূর্ণাঙ্গ মানবিক চিন্তা ও গবেষণার মাল-মশালা পাবেন বলে আশা করা যায়।
আরো পড়ুন :
https://alowkitaboalkhali.com/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%b9%e0%a6%95-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82/