জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৪ জন
অনলাইন ডেস্ক : বোয়ালখালীতে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল চট্টগ্রাম বোর্ডের ফলাফল থেকে ৮.৭৬ শতাংশ বেশি। এবারের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৭। উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ২০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৭৮৬ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪ জন। উপজেলায় শতকরা হারে সবচেয়ে ভাল ফলাফল করেছে হাজী মোহাম্মদ জানে আলম উচ্চ বিদ্যালয়, জিপিএ-৫ এ কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
পশ্চিম গোমদণ্ডী হাজী মোহাম্মদ জানে আলম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে কৃতকার্য হয়েছে ৮১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৭৮। কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জিপিএ-৫ এ প্রথম ও শতকরা হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। মোট ১৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৬৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৭ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৯। এ ধারাবাহিকতায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জ্যৈষ্ঠপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়। এতে ১২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১১৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫০।
এদিকে উপজেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৫ জন, পাসের হার ৪৫ দশমিক ৪৫। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইকবাল পার্ক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশগ্রহণ করে। কৃতকার্য হয়েছেন ৩২ জন, পাসের হার ৫৭ দশমিক ১৪। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আকুবদণ্ডী ওয়ারেছ মোহছেনা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪০ জন। কৃতকার্য হয়েছে ২৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫০।
এদিকে উপজেলায় সর্বাধিক পরীক্ষার্থী অংশ নেয় পশ্চিম গোমদ-ী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। পরীক্ষার্থী ছিল ৩৯০ জন, এতে কৃতকার্য হয়েছে ৩৩৬ জন, জিপিএ-৫ সংখ্যা ১ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৫। দ্বিতীয় অবস্থানে গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২৮৫ জন। কৃতকার্য হয়েছে ২৩৩ জন, জিপিএ-৫ সংখ্যা ১৫ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ৭৫। জিপিএ ৫-এ, এ বিদ্যালয়টি উপজেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল পশ্চিম কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়। পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৮৬ জন। এতে কৃতকার্য হয়েছে ১৪৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ শিক্ষার্থী। পাসের হার শতকরা ৭৭ দশমিক ৪২।
অন্যদিকে উপজেলায় সবচেয়ে কম পরীক্ষার্থী ছিল শাকপুরা শ্রী অরবিন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এতে পরীক্ষার্থী ৩০ জন। কৃতকার্য হয়েছে ২৭ জন, পাসের হার শতকরা ৯০। দ্বিতীয় অবস্থানে আহল্লা কড়লডেঙ্গা এফ আর এন হক উচ্চ বিদ্যালয়। এতে ৩১ জন পরীক্ষার্থী ছিল। কৃতকার্য হয়েছে ২৫ জন, পাসের হার শতকরা ৮১। কম সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পূর্ব গোমদণ্ডী আলহাজ বদরুচ মেহের উচ্চ বিদ্যালয়। পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪ জন। কৃতকার্য হয়েছে ২৮ জন, পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৫। একক বালিকা বিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফলাফল হয়েছে কানুনগোপাড়া মুক্তকেশী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৬২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৮।