বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এটি প্রবিত্র কোরআন মাজিদের সুরা নামল এর ৩০ নাম্বার আয়াত। এছাড়াও প্রবিত্র কোরআনের ১১৪ টি সুরার মধ্যে ১১৩ টি সুরার প্রথমে এ আায়াত পড়তে হয়। এবং অধিকাংশ মুফাস্সিরের মতে এটি সুরা ফাতিহার আয়াত। কারন আল্লাহ তায়ালা বলেন (হে নবী) “আমি আপনাকে ৭ আায়াত বিশিষ্ঠ একটি পুনাঙ্গ সুরা দান করেছি” আর এ ৭ আয়াত সুরা বলতে আল্লাহ সুরা ফাতিহা কে বুজিয়েছেন। তাহলে সুরা ফাতেহার আায়াত সংখা ৬ আর বিসমিল্লাহ…….. সহ আয়াত সংখ্যা হয় ৭।
সোলায়মান (আঃ) রানি বিলকিছের নিকট দেওয়া চিঠির শুরুতে এ আয়াত ব্যবহার করেছেন আর আল্লাহ তা’য়ালা প্রবিত্র কোরআন শরিফে এ আয়াত নাযিল করে আমাদের কে শিক্ষা দিলেন আমরাও যেন প্রত্যক ভালো কাজের শুরুতে এ আয়াত পাঠ করি।
এ ছাড়াও আল্লাহ তা’য়ালা বিসমিল্লাহ শব্দটি প্রবিত্র কোরআনে আরো অনেক যায়গায় ব্যবহার করেছেন যেমন প্রবিত্র কোরআন মাজিদ নাযিল কৃত প্রথম আয়াত সুরা আলাকের প্রথমে আল্লাহ বলেন ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক এখানেও আল্লাহ তায়ালা বলেন হে নবী আপনি পড়ুন আপনার প্রতিপালক এর নামে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন।
এখানেও আল্লাহ তায়ালা তার নামে পড়তে বল্লেন। মুসলমান রা প্রত্যক ভালো কাজের শুরুতে এ আায়াত পাঠ করার নির্দেশ হাদিস শরিফেও বহু প্রমান বিদ্যমান। এ আয়াতের অর্থ হলো পরম দয়াময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করলাম।
এ আয়াতের মধ্যে ৪ টি শব্দ ও ১৯ টি হরফ বা অক্ষর আছে।
১ম শব্দ হলো বিসমি অর্থ নামে।
২য় শব্দ হলো আল্লাহ যা আল্লাহর মুল নাম।
৩য় শব্দ হলো রহমান যা আল্লাহর বিশেষ গুনবাচক নাম অর্থ দয়াময়।
৪র্থ শব্দ হলো রহিম যা আল্লাহর আর একটি বিশেষ গুনবাচক নাম অর্থ দয়ালু।
কোন বান্দা যদি এ বাক্যটি পড়ে কোন ভালো কাজ করে তাহলে তার ঐ কাজে বরকত দ্বারা পরিপুর্ন হয়ে যায়।
এর বিশেষ একটি বৈশিষ্ট লক্ষ করা যায় যে এর মধ্যে ১৯ টি হরফ আছে তা কোরআনে মজিদে আল্লাহ সুরা নামলে ২বার ও সুরা তওবায় ব্যবহার না করে ১১৩টি সুরায় ১১৩ বার ব্যবহার করেছেন যাকে ১৯ হরফ দিয়ে ভাগ দিলে নিঃশেষ বিভাজ্য এটা কোরআনের বিশেষ বৈশিষ্ট নয় কি?
তবে আমাদের বাংলাদেশে ইদানিং কিছু মুসলমান বিসমিল্লাহ…… না লিখে পোষ্টারে, বেনারে, লিপলেটে ও অন্যান্ন সকল কাগজ পত্রে বিসমিল্লাহ না লিখে ৭৮৬ লিখেন। আমি তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই এটা আবিষ্কার করছেন গনিতিক বিষারদ বৈজ্ঞানিক পিথাগোরাস তার আবিষ্কার করেছেন হিন্দুদের জন্য তাতে অর্থ হয় হরে কৃষ্ন যদি বিসমিল্লাহ……. হতে হয় তাহলে তার তথ্য মতে ৭৮৮ হওয়া লাগবে তাই আমার অনুরোধ আমরা যেন তা না করি এমন কি আমরা বিসমিল্লাহ…….. ব্যবহার না করে যেন অন্য কোন শব্দ ব্যবহার না করি। বিস্তারিত আলোচনা করে শেষ করা যাবেনা।
তবুও চেষ্টা করব আরো লিখবার, আল্লাহ যেন আমাকে তৌফিক দান করেন, আমিন।
সূত্র- ইন্টারনেট।