আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য প্রত্যেক যুগেই নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হলেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি সাইয়্যেদুল মুরসালিন ও খাতামুল আম্বিয়া।
সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনের অন্যতম অলৌকিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো এই মিরাজ।
পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির দোহাই দিয়ে অনেকে নবীজীর মিরাজকে অস্বীকার করেন। তারা গতিবিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চান মানুষ জড়পদার্থ পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ তাকে তীব্রভাবে টেনে রাখে; সুতরাং মিরাজের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানীরা গতিবিজ্ঞানের সূত্র ধরেই বলেছেন, ‘মহাকাশে প্রতিটি গ্রহেরই নিজস্ব আকর্ষণ শক্তি আছে যারা প্রত্যকেই নিজের দিকে বস্তুকে টানতে থাকে। এ টানাটানির ফলে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে একটি ‘জিরো স্পেস’ আছে যেখানে কোনো আকর্ষণ বিকর্ষণ নেই। অতএব কোনো বস্তু যদি জিরো স্পেসে পৌঁছে তার আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
গতিবিজ্ঞানের মতে পৃথিবী থেকে কোনো বস্তুকে যদি প্রতি সেকেন্ডে মোটামুটি ৭ মেইল বেগে ঊর্ধ্বে নিক্ষেপ করা যায়, তা আর ফিরে আসবে না। আবার পৃথিবী থেকে যত ওপরে বস্তু যাবে তার ওজন তত কমতে থাকেব। পৃথিবীর ১ পাউন্ড ওজন ১২ হাজার মেইল ঊর্ধ্বে ১ আউন্স হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন ঘণ্টায় ২৫ হাজার মেইল বেগে ঊর্ধ্বে ছুটতে পারলে পৃথিবীর গতি থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। বিজ্ঞানীরা একে ‘মুক্তগতি’ বলে এ মুক্তগতির ফলেই মানুষের চাঁদে যাওয়া সম্ভব হয়েছে; মঙ্গলে যাই যাই করছে। এসব বিষয়াদি প্রমাণ করছে মিরাজ অবাস্তব কোনো যাত্রা ছিল না।