হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর ধরায় আবির্ভাবের দিনটি বিশ্ববাসীর জন্য অত্যন্ত পবিত্র, তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তায়ালা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে হজরত মুহাম্মদকে (সা.) এ জগতে প্রেরণ করেন। দুনিয়ার বুকে তার আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনির’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপ রূপে।
বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর ১৪৪৯তম সৌরবার্ষিকী আবির্ভাব দিবসে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উদযাপিত হয়েছে ‘মহান নবী দিবস’ বা ‘ইয়্যাউমুন্ নবী’।
এ উপলক্ষ্যে নবী দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় সকাল ১০টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দান থেকে ছেম্আ মিছিল সহকারে মোটর শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে এসে জমায়েত হয়।
মোটর শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা রাজাপুর দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন দলিলুর রহমান রাজাপুরী। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আকতার কামাল শাহ, নিজামুদ্দিন ছালেকী রাহে ভাণ্ডারী, আবুল কালাম শাহ, মো. আলী আকবর শাহ, আবুল হাশেম মাইজভাণ্ডারী, শফিকুর রহমান আরমান, আবদুল্লাহ আল রেজা, আল্লামা ফরিদুল আনোয়ার, হাকিম মাওলানা ইকবাল ইউসুফ, গোলাম মো. আবেদ, মো. হাসান শিকদার, অ্যাডভোকেট ফেরদৌস সেলিম।
পরে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা সভা চট্টগ্রাম দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন আল্লামা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা জি আ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, অশান্ত বিশ্বে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, জাতি-গোত্রে হানাহানি সব কিছুর মূলোৎপাটন করে বিশ্ব মানবতাকে শান্তির সুশীতল ছায়াতলে আচ্ছাদিত করতে নবী মুহাম্মদ (স.) এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই।