বন চৌধুরী প্রবীর

কিংবদন্তি আছে হাজার হাজার বছর আগে এই শ্বাপদ সঙ্কুল গভীর অরণ্যে (করলডাঙ্গা পাহাড়ে) আশ্রম নির্মাণ করে মেধস মুনি নামের এক মহাযােগী গভীর আধ্যাত্ম সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। ঠিক সেই সময়ে সুরথ নামের এক রাজা রাজ্যহারা হয়ে এই বনে আসেন। একই সময়ে সমাধি নামের এক ব্যবসায়ী তাঁর আত্মীয়দের প্রতারণায় বিত্ত-বৈভব হারিয়ে এখানে আসেন। এই বনের মধ্যে উভয়ের পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। ঘুরতে ঘুরতে একদিন দুজনে মেধস মুনির আশ্রমে এসে পৌঁছেন। দুই বন্ধু মেধস মুনির কাছে তাদের দুর্ভাগ্যের কথা বর্ণনা করেন এবং দুর্ভাগ্যমুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেন। নিবিষ্টচিত্তে উভয়ের দুর্ভাগ্য-কাহিনী শােনার পরে মুনি তাদের কাছে দেবী দুর্গার সৃষ্টি কাহিনী ও তার অলৌকিক শক্তি কাহিনীর বর্ণনা দেন। শক্তিশালী দানবদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে দেবতারা স্বর্গ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। স্বর্গচ্যুত দেবতারা একত্রিত হয়ে একাগ্র ধ্যানে প্রত্যেকের নিজ নিজ শক্তি একীভূত করে অপূর্ব সুন্দরী, ত্রিনয়না, দশভূজা, অমিততেজা দেবীমূর্তি সৃষ্টি করেন। দেবতারা নিজ নিজ অস্ত্র অর্পণ করে দেবী চণ্ডীকে সজ্জিত করেন। দেবী দশ হাতে দশটি অস্ত্র নিয়ে সিংহবাহনে বসে যুদ্ধ করে সকল অসুর বধ করেন এবং দেবতাদের স্বর্গে পুনর্বাসিত করেন। দেবী চণ্ডী তাই দেবতাদেরও পূজনীয়া।

বলা হয় প্রাচীন এই মেধস মুনির আশ্রমে অনুষ্ঠিত সুরথ ও সমাধীর এই দূগাপূজাই পৃথিবীর প্রথম দূর্গাপূজা। বসন্তকালে এই পূজার নাম বাসন্তি পূজা।

ঋষি মেধস, সুরথ ও সমাধিকে দেবী দুর্গার পূজা করে তাঁর কৃপা প্রার্থনার জন্য পরামর্শ দিলেন । মুনি মেধসের কথামতাে আশ্রমচত্বরে উভয়ে দেবীর দশভূজা মূর্তি নির্মাণ করে, চৈত্র মাসের শুক্লা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত আরাধনা করে দেবীর অনুগ্রহ লাভ করেন। পরে সুরথ ও সমাধি হারানাে রাজ্য পুনরুদ্ধারে সক্ষম হন। বলা হয় প্রাচীন এই মেধস মুনির আশ্রমে অনুষ্ঠিত সুরথ ও সমাধির এই দুর্গা পূজাই পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপূজা। বসন্তকালের এই পূজার নাম বাসন্তী পূজা। এর অনেক পরে দেবীর কৃপায় রাবণ বধ করে সীতা উদ্ধারের জন্য রামচন্দ্র অসময়ে আশ্বিন মাসের শুক্লা ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। শরঙ্কালের এই পূজার নাম শারদীয়া পূজা। অকালবােধন নামেও এই পূজা পরিচিত।

চট্টগ্রামের মেধস মুনির আশ্রম
সন্ন্যাসী বেদানন্দ স্বামী

মেধস আশ্রমের সেকাল

পরিব্রাজক সন্ন্যাসী বেদানন্দ স্বামী ছিলেন একজন জাতিস্মর যােগীপুরুষ। ঘটনাচক্রে একদিন একটি পুথির একটি হেঁড়া পৃষ্ঠা থেকে দেবী দুর্গার প্রথম পূজাস্থল প্রাচীন মেধসমুনির আশ্রমের অবস্থান সম্পর্কে কিছু ইঙ্গিত পান।

এরপরে প্রাচীন মেধস আশ্রমের অবস্থান আবিষ্কারের জন্য তিনি উদগ্রীব হয়ে উঠেন। আশ্রম অবস্থান আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে তিনি হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করেন। উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম ও মধ্যভারত তন্নতন্ন অনুসন্ধান শেষে ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধামে এসে উপস্থিত হন। চন্দ্রনাথ ধামে বসেই তিনি যােগবলে মেধস আশ্রমের সঠিক অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পান।

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অগ্নিকোণে, চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলােমিটার দূরে বােয়ালখালী উপজেলার আহলা-করলডেঙ্গা পাহাড়ে এসে উপস্থিত হন বেদানন্দ। পুথিতে প্রাপ্ত ইঙ্গিতসমূহ পূঙ্খানুপুঙ্খরূপে মিলিয়ে তিনি নিঃসন্দেহ হন যে, এটাই তাঁর বহু আকাঙ্খিত পূণ্যভূমি প্রাচীন মেধস আশ্রম।

মেধস আশ্রম অনুসন্ধান ও আবিষ্কারের সময়ে তার সঙ্গী ছিলেন কানুনগােপাড়া গ্রামের অন্নদাচরণ সর্ববিদ্যা। সেসময় মেধস আশ্রমের অবস্থান এখনকার মতাে অরণ্যবর্জিত খােলামেলা পরিষ্কার ছিল না। এমনকি বছর পঞ্চাশেক আগেও আমাদের তরুণ বয়সে দেখেছি মেধস আশ্রমের সামনের বর্তমান কৃষি জমিগুলি ছিল অসংখ্য টিলা, ঢিবি, ঘন ঝােপঝাড় ও বৃক্ষে ঘেরা বনভূমি।

বর্তমান নির্মাণাধীন সীতা মন্দিরের স্থানটি ছিল ঘাের অরণ্যে ঢাকা । বড় বড় মহীরুহের শাখা-প্রশাখা ভেদ করে এখানের মাটিতে সূর্যের আলাের প্রবেশ ছিল প্রায় দুর্ভেদ্য। গাছে গাছে দেখা যেত বানর-হনুমান, উলুক ইত্যাদি। মাঝে মাঝে উঁকি দিত হরিণের পাল। অসংখ্য প্রাণীর আবাস ছিল স্থানটি। ছােট ঝরনার কুলকুল গান আর বৃক্ষশাখায় অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির ধ্বনিতে স্থানটি সব সময়ে মুখরিত থাকত। সেসময় আশ্রমসংলগ্ন ভূমির মালিক মহেন্দ্র চন্দ্র ঘােষাল, নীলকৃষ্ণ রায় ও অমরকৃষ্ণ সাহা ৬৮ একরের কিছু বেশি ভূমি ও পাহাড় দশভূজা দেবীর নামে দানপত্র করে দেন। পাহাড়ের ওপরে ছন, বাঁশ ও টিন দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেবীপূজা শুরু হয়। প্রথম পূজারী নিযুক্ত হন অন্নদাচরণ সর্ববিদ্যার বড় ভাই গৌরীশংকর স্মৃতিতীর্থ।

বেদানন্দ স্বামীজীর মেধস আশ্রম আবিষ্কার কাহিনী দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ও আলােড়ন সৃষ্টি হয়। তৎকালীন ভারতবর্ষের শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতমণ্ডলী, সরকারি কর্মকর্তাগণ, প্রত্নতাত্বিক, ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক, গবেষকসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ সরেজমিনে স্থান পরিদর্শন ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সকলেই এই স্থানকেই মেধস মুনির প্রাচীন আশ্রমস্থল হিসেবে স্বীকার করেন। এসব ব্যক্তিবর্গ হলেন-‘অ্যাটর্নি হীরেন্দ্র নাথ দত্ত, টাকির জমিদার যতীন্দ্রমােহন চৌধুরী, কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ, মহামহােপাধ্যায় যাদবেশ্বর তর্করত্ন, পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, তারেকশ্বরের তৎকালীন মােহান্ত মহারাজ, কোন্নগর ওঙ্কার মঠের নির্মলানন্দ দণ্ডীস্বামী।

একইভাবে মেধস আশ্রম আবিষ্কারের কথা বিশ্বাস করে বিভিন্ন সময়ে মন্দির নির্মাণকাজে সহযােগিতা করেছেন রেঙ্গুন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুরেন্দ্র মােহন সেন, কবি নবীন চন্দ্র সেন, কবিগুণাকর নবীনচন্দ্র দাশ, কবিরাজ দুর্গাদাস ভট্ট, হবিগঞ্জের মুন্সেফ রমেশ সেন ও ম্যাজিস্টেট শ্যামাচরণ সেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যাপক অটল বিহারী ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহের জমিদার রাজা জগৎ কিশাের আচার্য, ঢাকার উকিল আনন্দমােহন রায় ও ঈশ্বর চন্দ্র ঘােষ, কোলকাতার ডাক্তার প্রভাত চন্দ্র সেন, হাইকোর্টের উকিল চন্দ্রশেখর সেন, ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমােহন সেনগুপ্ত (দেশপ্রিয়), হাইকোর্টের বিচারপতি অমল চন্দ্র সেন ও উকিল। রমাপ্রসাদ মুখােপাধ্যায়সহ আরও অনেকে।

(সূত্র: মহাশক্তি পীঠ মেধসাশ্রম-অন্নদাচরণ সর্ববিদ্যা, বােধন-২০১২)।

মেধস আশ্রম আবিষ্কারের প্রথম দিন থেকে কানুনগােপাড়া গ্রামের অন্নদাচরণ সর্ববিদ্যা তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত (পঞ্চাশের দশকের শেষার্ধ) আশ্রমের দায়-দায়িত্ব একাই বহন করেন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে কাশিম বাজারের মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র নন্দী বর্তমান পাকা মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন। বার্মা সরকারের পুলিশ কর্মকর্তা যােগেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য একটি পিতলের নির্মিত দশভূজা দুর্গামূর্তি প্রতিষ্ঠিত করেন যা ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে লুঠ হয়ে যায়। এর আগে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর আশ্রমে দূরের ভক্তদের অনুদান বন্ধ হয়ে যায়। এই সংকটময় মুহূর্তে অন্নদাচরণের সহযােগী ছিলেন কানুনগােপাড়া গ্রামের বিজয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী ও উত্তরভূর্ষি গ্রামের অন্নদাচরণ চৌধুরী। তখন আশ্রম ছিল নিবিড় অরণ্যে ঢাকা। কানুনগােপাড়া গ্রামের অন্নদাচরণ সর্ববিদ্যা মেধস আশ্রম আবিষ্কারের প্রথম দিন থেকে তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত (পঞ্চাশের দশকের শেষার্ধ) আশ্রমের দায়-দায়িত্ব একাই বহন করেন।

এর মধ্যে ১৯২০ খিষ্টাব্দে কাশিম বাজারের মহারাজার প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী দশভূজা মন্দির, অন্য দুই পাহাড় শীর্ষে একটিতে সারােয়াতলী গ্রামের মুক্তাকেশী দেবী প্রতিষ্ঠিত মার্কণ্ডেয় শিব, অন্যটিতে উত্তরভূর্ষি গ্রামের অন্নদাচরণ চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত তারা দেবী-দুটি ছােট ছােট টিনের ঘরে পূজিত হতাে। এগুলিও ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।। এই সময় অন্নদাচরণ চৌধুরী মায়ের পূজার জন্য ৩০ আড়ি উপস্বত্বের ধানিজমি দান করেছিলেন। এই দানের দলিলও আছে। কিন্তু যতদূর জানি ১৯৭৮ সালে গঠিত কমিটি এই জমি কিংবা ধানের কোনাে হদিশ পাননি। এই জমি উদ্ধারের জন্য কয়েক বছর আগে স্থানীয় কিছু লােক সােচ্চার হলেও পৃষ্ঠপােষকতার অভাবে সাফল্য আসেনি।

মেধস আশ্রমের একাল

অন্নদাচরণ সর্ববিদ্যার মৃত্যুর পরে অন্নদাচরণ চৌধুরী ও তার উত্তরাধিকারীরা সত্তরের দশকের প্রায় শেষ পর্যন্ত আশ্রমের দায়িত্বে ছিলেন। আশ্রমের জন্য বিজয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী ও স্বামী। নির্মলানন্দ গিরি মহারাজের উদ্যোগে চট্টগ্রাম শহরে ১৯৭৮ সালে একটি সভায় মেধস আশ্রম উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য সর্বপ্রথম একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি গঠিত হয়।

মেধস মুনির আশ্রম
মেধস আশ্রমের পাশে অন্যান্য মন্দির- আবো

কমিটি নিম্নরূপ:

অধ্যক্ষ-স্বামী নির্মলানন্দ গিরি মহারাজ। সভাপতি-সাধনানন্দ রায় চৌধুরী। সহ সভাপতি-সুকোমল চৌধুরী, প্রবীর কুমার চৌধুরী, অঞ্জন দাশ। সাধারণ সম্পাদক-অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস। সহ সাধারণ সম্পাদক-বিজয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী ও অন্যান্যদের সদস্য করে একটি কমিটি গঠিত হয়।

এরপর শুরু হয় মেধস আশ্রমের উন্নয়ন। মেধস আশ্রমের প্রথম আবিষ্কারক স্বামী বেদনানন্দ হলেও মেধস আশ্রমের দ্বিতীয় আবিষ্কারকের মর্যাদা অশ্বিনী কুমার বিশ্বাসের। তিনি মেধস আশ্রমের জন্য শহরে থেকে একাই ভক্তদের থেকে অনুদান সংগ্রহ করেছেন। উন্নয়ন-পরিকল্পনা নিয়ে নিজ তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় এবং পাহাড়ে থেকে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছেন। তার এই কর্মযজ্ঞে সবসময় সঙ্গে ছিলেন বিজয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী ও নির্মলানন্দ গিরি মহারাজ।। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই তিন। জন মিলে মৃত মেধস আশ্রমের দেহে জীবনের স্পন্দন সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা পুরােনাে মন্দির সংস্কারসহ দ্বিতল যাত্রী ঘর, তিন কামরার পাকা ভােগঘর ও গােয়ালঘর, পাঁচ কামরার টয়লেট, দুটি প্রবেশ তােরণ, অসংখ্য সিঁড়ি, খাবার জলের পাকা পুকুর, নতুন শিবমন্দির নির্মাণ, পাহাড় রক্ষার নিরাপত্তাবেষ্টনিসহ বহু কাজ করেছেন।

 মেধস আশ্রম
সেকালের প্রবেশদ্বার

এই সময় প্রতি বছর আড়ম্বরের সাথে উত্তরায়ন সংক্রান্তি-উৎসব অনুষ্ঠিত হতাে। হঠাৎ বিজয়কৃষ্ণ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস প্রায় অসহায় হয়ে পড়েন। বয়সের কারণে ও শারীরিক অসুস্থতার জন্যে তাঁর পক্ষেও পাহাড়ে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাঁরা তিন জনই ছিলেন সমান বয়সী। অসুস্থ অশ্বিনী কুমারের মৃত্যুতে নির্মলানন্দও প্রায় একা হয়ে পড়েন। অশ্বিনী বাবুর মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে নির্মলানন্দও অকস্মাৎ অন্তর্হিত হলেন। পরবর্তী সময়ে মেধস আশ্রমে আরও কিছু উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হয়। এই কর্মযজ্ঞে যাদের অবদান রয়েছে তারা হলেন-মৃত অশ্বিনী বাবুর পুত্র ডা. ওম প্রকাশ, ডা. শ্রীপ্রকাশ, ইঞ্জিনিয়ার জয় প্রকাশ, জৈষ্ঠ্যপুরা গ্রামের অদুল চৌধুরী, শাকপুরা গ্রামের অমিত হােড়, কেলিশহর গ্রামের সুজিত চৌধুরী, করলডাঙ্গা গ্রামের সুধীর দাশ ও তাঁর ভাই, হরিপদ কানুনগাে ও তাঁর পুত্র অজয় কানুনগাে, বিপ্লব বসাক, উত্তর ভূর্ষি গ্রামের ডা. যামিনী রঞ্জন চৌধুরী, অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দাশ, শিক্ষক সলিল প্রিয় ভট্টাচার্য ও ভাস্কর শ্যামল আচার্য্য। আরও অনেকের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।

আশ্রমে বিভিন্ন সময়ে প্রচুর গাছ লাগানাে হয়েছে। এই সব গাছ যেমন আশ্রমের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে অনুরূপ সম্পদও সৃষ্টি করছে। এখানে বর্তমানে শােভা পাচ্ছে শিব মন্দির, চণ্ডী মন্দির, তারাকালী মন্দির, সীতা মন্দির, ও বাংলাদেশের একমাত্র কামাখ্যা মন্দির। এই মন্দিরগুলাে মেধস আশ্রমের সৌন্দর্য ও আকর্ষণ বাড়িয়েছে বহুগুণ। সব শেষে বলা যায়, মেধস আশ্রম এখন অনেকটাই আপন মেরুদণ্ডের ওপরে স্থিতিশীল। প্রতিদিন অনেক ভক্তের আসা-যাওয়া। নানা মন্দির ও ভাষ্কর্যে সাজিয়ে মেধস আশ্রমকে একটি পর্যটন তীর্থরূপে প্রতিষ্ঠা করা গেলে এখানে দূর-দূরান্ত থেকে আরও অনেক মানুষের সমাগম হবে ।

তথ্যসূত্র- মুহাম্মদ শামসুল হক সম্পাদিত ইতিহাসের খসড়া সেপ্টেম্বর- অক্টোবর ২০১৫

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here