বাদল বলছি-
সভা বা সংসদ থেকে বলছি না, অদৃশ্য লােক থেকে বলছি। আমি নেই তবুও আমি শায়িত আছি বােয়ালখালীর মৃত্তিকায়। আমি আছি তােমাদের স্মৃতির মঞ্জুষায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি অবিরাম কথা বলেছি কালুরঘাট ব্রিজের জন্যে। তােমাদের ভালােবাসা নিয়ে সংগ্রাম করেছি ব্রিজের জন্যে। আমি মহান জাতীয় সংসদে বলেছিলাম-২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্রিজ নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত না হলে আমি পালামেন্ট বর্জন করবাে।বিধির কী বিচিত্র বিধান! নভেম্বর ২০১৯-এ আমার জীবন যাত্রার হলাে চির অবসান।
মুক্তিযুদ্ধে মরিনি কিন্তু কালুরঘাট সেতু নির্মাণ যুদ্ধে জয়ী হবার আগেই করবে চলে এলাম। যে ব্রিজ নিয়ে আমার দুর্বার দাবি ছিলাে সে ব্রিজের উপর দিয়ে আমার লাশ এসেছে।
আমার বিশ্বাস জমা রেখে এসেছি বঙ্গনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। আমার স্বপ্ন জমা আছে কর্ণফুলির তরঙ্গের কাছে। আমি নেই তাতে কী? বিশ্বনন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি পড়বে যেদিন কালুরঘাট ব্রিজ হবেই হবে, হবেই সেদিন।
নন্দিত নয়নে নতুন সেতু সবাই দেখবে সময়ে তােমরা যারা নতুন সেতু দেখবে বিস্ময়ে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিও মুক্ত হৃদয়ে আর আমার জন্য দোয়া দিও কবরের সামনে দাঁড়িয়ে।
তােমাদেরই আমি-
বাদল
বীর মুক্তিযােদ্ধা তিনবারের নির্বাচিত সাংসদ কিংবদন্তি বক্তা নন্দিত পার্লামেন্টারিয়ান
মরহুম মঈন উদ্দীন খান বাদল