দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের বড় অংশই বয়সে তরুণ। মোট আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে না চাওয়া ও বাইরে বের হওয়ার কারণেই বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন তরুণ ও যুবকরা। একই সঙ্গে ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি আরও কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ শুরু থেকে বলা হচ্ছে তরুণদের তুলনায় বয়স্করাই সংক্রমণের বেশি ঝুঁকিতে। যদিও তা নাকচ করে দিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছিল, সাবধানতা না মানলে কোনো বয়সের মানুষই নিরাপদ নন।

কোভিড-১৯ এর বাংলাদেশ বাস্তবতায় দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে মোট শনাক্তের ২৭ শতাংশের বয়সই ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে। ঠিক পরের অবস্থানেই ত্রিশের ঘরে থাকা ব্যক্তিরা। প্রশ্ন ওঠছে, তরুণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার কথা থাকলেও তারাই কেনো আক্রান্তের শীর্ষে?

বিশেষজ্ঞদের মত, লকডাউন আর স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতাই অন্যতম কারণ। এছাড়া আক্রান্তদের একটি অংশ শ্রমিক, রয়েছেন শিক্ষার্থীও-এমন ধারণা দিলেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

তিনি বলেন, ঢাকা গাজীপুর বা নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। কারণ ওখানে বড় একটা অংশ জুড়ে শ্রমিকরা আছেন। শিক্ষার্থীরাও করোনা আক্রান্তের তালিকায় আছেন। তরুণদের আক্রান্তের হার বেশি হওয়ার কারণ তারা বেশি বেশি পরীক্ষা করাচ্ছে বলে।

বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, লকডাউন না মেনে তরুণরাই বাইরে বেরোচ্ছে বেশি তাই আক্রান্তও তারা বেশি হচ্ছে।

যদিও প্রাণহানিতে বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি-তবুও বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা, মৃত্যুঝুঁকির ঊর্ধ্বে নয় কেউই। এছাড়া তরুণরা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও।

নভেল করোনাভাইরাস কোভিড ১৯ এ যেকোনো বয়সের মানুষেরই সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যেসব নির্দেশনাগুলো দেয়া হচ্ছে, সেগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার মাধ্যমেই সম্ভব এ রোগের সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here