সিপিবি নেতৃবৃন্দরা বলেন, কালুরঘাটে সেতু নির্মাণ নিয়ে গত ১১ বছর ধরে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ একের পর এক কথা ফুলঝুঁড়ি ফুটিয়েছেন। এখন তিনি বলছেন ডিসেম্বর মাসে পদত্যাগ করবেন। এতো বছর কি করেছেন আপনি (সাংসদ)। ডিসেম্বরের দরকার কি, এখনই পদত্যাগ করেন। সংসদ আপনাদের, দেশ আপনাদের তবে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ নিয়ে গড়িমসি কেন?’
বক্তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন কালুরঘাটে শুধুমাত্র রেল সেতু করা হবে, এই সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। একটি মাত্র উপজেলার জন্য যদি সেতু করা সম্ভব না হয়, এতোদিন চীন-কোরিয়া সেতু করে দেবে বলে জনগণের প্রাণের দাবি নিয়ে উপহাস করেছেন কেন ? তিলে তিলে না মেরে একেবারে মেরে ফেলুন।’
বক্তব্যে আরো বলেন, ‘সেতু যদি করতে না পারেন তবে কালুরঘাট সেতুর ইজারা দেওয়া বন্ধ করে দেন। বৃট্রিশ আমলের সেতু রেখে আপনারা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছেন আর ভাবছেন মানুষ কিছুই বোঝে না। গরীবের টাকা আপনারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করবেন, মন চাইলে কোটিপতির কোটি কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করে দেবেন- তা হবে না।’
কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাড়ে সমাবেশ শেষে কালুরঘাট সেতু দিয়ে পদযাত্রা করে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব পাড়ে জমায়েত হন নেতৃবৃন্দরা। এ সময় হাজারো শ্রেণি পেশার মানুষ এ পদ যাত্রায় অংশ নেন।