নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর সাথে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শহীদ এই মুক্তিযোদ্ধার ৪৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ৪ আগস্ট।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে তিনি উপজেলার কধুরখীলের খোকার দোকান এলাকায় পাকবাহিনীর ওপর গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিলেন। ওইদিন পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেই সংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সালের ৪ আগস্ট পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ৬৯এর ছাত্র মিছিলে অগ্রনীভূমিকা পালন করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।সরাসরি যুক্ত ছিলেন তৎকালীন প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।

সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্মমতা ও এদেশীয় সহযোগীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রেনেড ছুড়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এ গেরিলা যোদ্ধা।

দেশ স্বাধীনের পর তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বিদ্যাপীঠ কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনকে নামকরণ করা হয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ মিলনায়তন। ইকবাল পার্কের নাম পরিবর্তন এনে করা হয়েছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ পার্ক। এছাড়া একটি সড়কের নামকরণ করা হয় এই মহান বীর শহীদের নামে।

তবে লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকলেও শহীদ গেজেটে এখনো আসেনি এই বীরের নাম।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের ভাগ্নে মোজাম্মেল হক এরশাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের সনদ সংশোধনের জন্য গত ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন পাঠানো হয়। ওই পত্রের আলোকে সমাজসেবা কার্যালয়ের ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি এক সভায় সাময়িক সনদপত্রে নাম সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রটি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৭ মার্চ অগ্রবর্তী করলে ওই বছরের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, এছাড়া অনলাইনে গেজেটভূক্তির আবেদন এবং সম্মানীভাতা মঞ্জুরীর আবেদনও করা হয়েছে পরিবার পক্ষ থেকে। এর আগেও ২০১০ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের নাম গেজেটভূক্তি ও সনদের নাম সংশোধনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রানালয় বরাবরে আবেদন করা হয়েছিল।

তবে কার্যকরী পদক্ষেপ ও বারবার আবেদন করেও কোনো সদুত্তর পাননি এ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। সম্পতিকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সুপারিশ সহকারে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় বরাবর আরো একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের নাম গেজেটভুক্তি ও সনদ সংশোধনের জন্য যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here