নিজস্ব প্রতিবেদক :

বোয়ালখালী উপজেলার আভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত গাড়ী ভাড়া। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চললেও দেখার কেউ নেই। ফলে চালক ও যাত্রীদের মাঝে প্রতিনিয়ত ঘটছে হাতাহাতির ঘটনা। উপজেলার সবকটি আভ্যন্তরীন সড়কে যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। এসব অটোরিক্সা লোকাল যাত্রী পরিবহন করে আসছে। তবে ভাড়া নির্ধারণে নেই কোন নীতিমালা। ফলে অটোরিক্সা চালকরা নিজেদের ইচ্ছে মাফিক গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে যাত্রীসাধারণের কাছ থেকে। এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে নিত্য যাতায়াতকারীদের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়া টু গোমদন্ডী ফুলতল পর্যন্ত জনপ্রতি ৩০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ২০ টাকা। কানুনগোপাড়া থেকে গোলককানুর বাজার ২০ টাকার ভাড়া এখন ২৫ টাকা। কানুনগোড়া থেকে পটিয়া থানার মোড় পর্যন্ত ৪০ টাকার ভাড়া বর্তমানে নিচ্ছে ৫০ টাকা। এভাবে বুড়িপুকুর পাড় থেকে বেঙ্গুরা ২০ টাকা, গোমদন্ডী তুলাতল থেকে লালার দিঘীর পাড় ২৫ টাকা, গোমদন্ডী বুড়িপুকুর পাড় থেকে সৈয়দপুর বাইঘ্যার টেক ২৫ টাকা, শাকপুরা চৌমুহনী থেকে দাশের দিঘীর পাড় পর্যন্ত ২৫ টাকা ও উপজেলা সদর থেকে নগরীর রাস্তার মাথা পর্যন্ত জনপ্রতি ৩০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা। তবে গোমদন্ডী ফুলতল থেকে শাকপুরা চৌমুহনী ৫টাকা ও শাকপুরা চৌমুহনী থেকে পটিয়া বাদামতল পর্যন্ত ১০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। যা অন্যান্য সড়কে যাতায়াতের তুলনায় এ রুটে গাড়ীভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীসাধারণ।

অটোরিক্সায় যাতায়াতকারী ছাদেকুর রহমান সবুজ জানান,বোয়ালখালীতে গাড়ী ভাড়া নিয়ে কোন নীতিমালা নেই। চালকদের ইচ্ছে মতো দীর্ঘদিন ধরে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বক্কর বলেন, ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের বিষয়টি দীর্ঘদিনের। প্রশাসন অদৃশ্য কারণে নিশ্চুপ রয়েছে। এ দু:সময়েও গলাকাটা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে। চালকদের কাছে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দেয়া দরকার।

নগরীর বাসা থেকে বোয়ালখালীর কর্মস্থলে নিত্য যাতায়াতকারী আবুল ফজল জানান, একদিকে কালুরঘাট সেতুর যানজট, অন্যদিকে বাড়তি সিএনজি ভাড়া, আমাদের এ দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

কানুননগোপাড়া সিএনজি অটোরিক্সা চালক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আকতার বলেন, সমিতি ভাড়ার বিষয়ে কোন সিন্ধান্ত দেয়নি। লকডাউন ও সড়ক সংস্কারের কারণে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচলের কারনে ভাড়া বাড়িয়েছে। এখন বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল না করলেও অতিরিক্ত ভাড়া বর্তমানে আদায় করছে। সমিতির নির্বাচনের মেয়াদ পেড়িয়ে যাওয়ায় সমিতির কথাও মানছে না চালকরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here