নিজস্ব প্রতিবেদক: শুদ্ধ শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় একজন মানুষ সমাজ জাগরণে ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বোধন সে লক্ষ্যে দায়বদ্ধতায় কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার থিয়েটার ইনিস্টটিউট মিলনায়তনে বোধন আবৃত্তি স্কুলের অনন্য ৫১ আবর্তনের সমাবর্তনে অতিথিরা এসব কথা বলেন। অসৎ সঙ্গ ঠেকাতে এবং মনের ভেতর শুদ্ধ জাগরণ তৈরি করতে সংস্কৃতি চর্চা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

শুরুতে বোধন আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি সোহেল আনোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা ও সনদপত্র প্রদান পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, শিল্পী কাবেরী সেনগুপ্তা ও বোধনের প্রশিক্ষণ সম্পাদক সঞ্জয় পাল।

এরপর শুরু হয় একক পরিবেশনা। শিক্ষার্থী তিথি চৌধুরী আবৃত্তি করেন পুর্ণেন্দু পত্রীর ‘যে টেলিফোন আসার’ কবিতাটি। এরপর কখনো দ্রোহ-দুঃখ, প্রেম-ভালোবাসায়, কখনো বর্তমানের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের স্খলন মুহূর্ত পংক্তির উচ্চারণে রুক্ষ পরিবেশ প্রখরতায় ভারী হতে থাকে। এ পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থী রিমঝিম দে, মনিকা তালুকদার, শহীদুল ইসলাম, শাহাজাহান আবিদ, হিতৈষী চাকমা, প্রজ্ঞা বড়ুয়া, ইভান পাল, অনন্য দেবী, সিদরাতুল মুনতাহা, নীলাচল চৌধুরী, ফারহানা হক, নার্গিস ফাতেমা, শামিমা আকতার, রিতু সাহা, তাসলিলা আকতার, রূপন দে, সিনথিয়া হোসেন, দিব্য জ্যোতি বড়ুয়া, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

সাজেদুল আনোয়ার ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের গ্রন্থণা ও নির্দেশনায় বৃন্দ প্রযোজনা ‘আঁধার কেটে ফুটুক আলো’তে অংশ নেয় অনন্য ৫১ আবর্তনের শিক্ষার্থীরা। শান্তুনু মিত্র ও কান্তার সঞ্চালনায় শেষ পরিবেশনায় ছিল ছোটদের অংশগ্রহণে বৃন্দ প্রযোজনা ছেলেবেলার ছড়া। আবৃত্তিশিল্পী সঞ্জয় পালের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় অংশ নেন- প্রশিক্ষণার্থী রাফিয়াতুন সানজানা রিহা, সুষ্মী অধিকারী, সৃষ্টি ভৌমিক, মুন দাশ, তানিশা চৌধুরী, পূর্ণ বিশ্বম, সূপ্তি দাশ, উন্মে ইকরা, সাকওয়ান মুনতাসির, মৌকথা বড়ুয়া, সৌম্য দাশ, অর্ক ভৌমিক, প্রযুক্তা বড়ুয়া, ইন্দ্রনীল বড়ুয়া, আছতা বড়ুয়া ও নিষিকা দত্ত। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ অক্টোবর থিয়েটার ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে ও ৩০ অক্টোবর ফুলকিতে বোধনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে রণজিৎ রক্ষিত স্মরণানুষ্ঠান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here