বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে মুক্তিকামী মানুষের দিশারী । যতদিন এ পৃথিবী থাকবে ততদিন তার আদর্শ চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৮৫তম আত্মাহুতি দিবস পালন উপলক্ষে দিশারী খেলাঘর আসরের পাঠচক্রে সভায় বক্তারা এ কথা বলেন ।

২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে বোয়ালখালী উপজেলা সদরে খেলাঘরের অস্থায়ী কার্যালয়ে আসরের সহ সাধারণ সম্পাদক নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাঠচক্রে বক্তব্য রাখেন খেলাঘর বোয়ালখালী উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল । বিপ্লবী প্রীতিলতার সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন আসরের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, সদস্য সানজিদা আকতার লিজা, সাব্বিনা আকতার ।

সভায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী মাষ্টার দা সুর্যসেন, বীরকন্যা প্রীতিলতাসহ সকল বীর সেনানীদের স্মৃতি বিজড়িত ইউরোপিয়ান ক্লাবকে জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়।

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে শুরু হয় ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ’। বিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নি পুরুষ মাস্টারদা সূর্য সেনের নির্দেশে পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব পান বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার।

১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রীতিলতার নেতৃত্বে ১৫ জনের বিপ্লবী দল ইউরোপিয়ান ক্লাবে আক্রমণ চালায়। প্রীতিলতা হুইসেল বাজিয়ে আক্রমণের নির্দেশ দেন। গুলি আর বোমার আঘাতে পুরো ক্লাব কেঁপে উঠেছিল। ইংরেজ অফিসাররা রিভলবার নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। মিসেস সুলিভান নামে একজন ইংরেজ নিহত হয়। আরও চারজন পুরুষ এবং সাতজন ইংরেজ মহিলা আহত হয়। আক্রমণ শেষে বিপ্লবী দলের সাথে কিছুদূর এগিয়ে যান দলনেতা প্রীতিলতা। তার পর পটাশিয়াম সায়নাইড পানে আত্মাহুতি দেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here