আলোকিত ডেক্স : ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে মাছ, মুরগী ও গবাদি পশুর খাবার। রাজধানীর হাজারীবাগে বিষাক্ত ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে পশু-পাখি ও মাছের খাবার তৈরির ছয়টি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময়, দুই হাজার ৮শ টন বিষাক্ত খাবার জব্দ করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার রাতে চালানো এই অভিযানে, ৬টি কারখানা সিলগালা এবং ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষাক্ত ট্যানারি বর্জ্য থেকে পোল্ট্রি খাবার তৈরি করছে এমন ৬টি কারখানায় যৌথ অভিযান চালায় প্রাণি ও মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তর এবং র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ হাজার ৮শ টন পোল্ট্রি খাবার জব্দ করার পাশাপাশি কারখানাগুলো সিলগালা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়, তাদের ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে, জরিমানা করা হয় ২৪ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘ট্যানারির বর্জ্যতে বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে, যা খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে ক্যান্সারসহ নানারকমের রোগ জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে।’ তিনি আরও জানান, মহামান্য হাইকোর্টের একটি আদেশ রয়েছে যাতে কোনোভাবেই ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য থেকে কোনো প্রকার পোল্ট্রি খাবার তৈরি করা যাবেনা।
পরবর্তীতে যে সমস্ত বাড়িতে ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মাছ-মুরগীর এসব বিষাক্ত খাবার তৈরি করা হবে সে সব বাড়ি বা জমির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়।