জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবিলায় অনেক দেশ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও উন্নত দেশের প্রতিশ্রুতি পেলেও সহায়তা পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য দায়ীদেরই বেশি দায়িত্ব পালন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০২০ (বিডিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজস্ব অর্থেই তহবিল গঠন করা হয়েছে বলেও উন্নয়ন সহযোগীদের জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে খুব বেশি শর্ত না দিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ ১৯৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হবে। দারিদ্র নিরসনে বিশ্বেও উদাহরণ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন করা দেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে গড়ে তুলতে গেলে যেমন একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দরকার, তেমনি একটি পরিকল্পনাও দরকার। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই একটি পরিকল্পনা থাকবে যে দেশটাকে তারা কীভাবে গড়তে চায়। সেভাবেই তারা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। আমরা সেই কাজটিই করেছি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সেটি ছিল ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। পাশাপাশি আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই ২০১০ থেকে ২০২০, এর মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে আমরা গড়তে চাই। এ লক্ষ্যে আমরা রূপকল্প ২০২১ প্রণয়ন করি। রূপকল্পে আমরা দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করি।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, না খেয়ে থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। সে লক্ষ্যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করে মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাওড়, চর ও পাহাড়ী এলাকায় আবাসিক স্কুল তৈরি করা হচ্ছে। যাতে শিশুরা সেখানে থেকে পড়াশুনা করতে পারে। কারিগরি শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি স্কুল করে দিচ্ছি। সাড়ে ৩ হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ই-গভর্নেন্স চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল ইউনিয়ন সেন্টার চালু করা হয়েছে। ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে মানুষ। লার্নিং এন্ড আর্নিং কমসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচি টেকসই করতে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ডউইগ স্কেফার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, এডিবির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. জুনিচি ইয়ামাদা, এছাড়া ৩০ থেকে ৪০টি উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ও দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

দুই বছর পর আবার হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম সম্মেলন (বিডিএফ)। এবারের সম্মেলনের শ্লোগান, ‘কার্যকর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন’। সম্মেলনে সরকার এবং দাতাগোষ্ঠীর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। গত ২৭ জানুয়ারি সাংবাদিকদের এসব জানান, ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ।

দুই বছর পর আবার হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম সম্মেলন (বিডিএফ)। এবারের সম্মেলনের শ্লোগান, ‘কার্যকর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন’। সম্মেলনে সরকার এবং দাতাগোষ্ঠীর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।

এবারের বিডিএফ সম্মেলন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here