সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কক্ষের বেঞ্চে বসেই মিড-ডে মিলের খাবার খেলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিলেটের ওই স্কুলে মিড-ডে মিলের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের অনুরোধ করেন, একসঙ্গে খেতে হবে। তারাও বসে গেলেন শিক্ষার্থীদের কাতারে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসে মন্ত্রী-উপমন্ত্রী যেন ফিরে গিয়েছিলেন তাদের স্কুলজীবনে! বিদ্যালয়ের সাদামাটা খাবার তাদের কতটুকু তৃপ্ত করতে পেরেছে, তা হয়তো জানা নেই। তবে শিক্ষার্থীরা যে তৃপ্ত হয়েছেন, তা প্রস্ফুটিত ছিল তাদের চোখে-মুখে।

তাই তো প্রিয় মেহমানদের যত্ন-আত্তি করতে ছাত্রীদের কেউ এসেছিলেন পানি নিয়ে। অনেকেই ছিলেন গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে। এ সময় তাদের চোখে-মুখে ছিলো আনন্দের ঝিলিক।

যদিও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বারবার বলছিলেন, ‘তোমরাও খেতে বসো।’ তবে কে শুনে কার কথা! ছাত্রীরা সেখানেই ছিলেন দাঁড়িয়ে। শিক্ষার্থীদের কাতারে খাবার খেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন, উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেলও।

খাবার শেষে বের হওয়ার সময় মমতাময়ী শিক্ষামন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন ছাত্রীরা। ডা. দীপু মনিও তাদের অনেকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন আশীর্বাদ করেন, ‘তোমরা জীবনে অনেক বড় হও’।

এদিকে উপমন্ত্রী নওফেল তার ফেসবুক পেজের টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট অঞ্চলের ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করার পরপরই ২০টাকার বিনিময়ে ‘মিড-ডে মিল’ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খাবার গ্রহণ করি।’

ছাত্রীদের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসে লাঞ্চ করেন শিক্ষামন্ত্রী-উপমন্ত্রী। উদ্বোধন হওয়া ১৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সিলেটে ২, মৌলভীবাজারে ৩, হবিগঞ্জে ৪ এবং সুনামগঞ্জের ৫টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সিলেট অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৬২২টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৬২টি, সুনামগঞ্জে ৬৮টি, মৌলভীবাজার জেলায় ১১৬টি এবং হবিগঞ্জ জেলায় ১৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে উপকৃত হচ্ছে ২ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here