কালবেলা’র সৌজন্যে
খেলার মাঠে তো অনেকবারই জিতেছেন সাকিব আল হাসান। এবার ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডারের। প্রথমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন তিনি। মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী হয়েছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার পর পেশাদার খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় সংসদ সদস্য হওয়াদের মধ্যে সাকিব দ্বিতীয়। এবারের নির্বাচনে সাকিব ছাড়াও প্রথমবার অংশ নিয়ে জিতেছেন বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
এবারের নির্বাচনে বাড়তি নজর ছিল সাকিবের দিকে। বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরে ব্যাপক প্রচার চালাতে দেখা যায় তাকে। ভোটারদের সাড়াও পেয়েছেন সেভাবেই। ১৫২ কেন্দ্রের ফলের ভিত্তিতে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয়ী হন তিনি। নড়াইল-২ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নৌকার প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাশরাফী। তিনি ১৪৭ আসনে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে আবারও বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। ১৮৯ কেন্দ্রে ফলের ভিত্তিতে তিনি ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোটে জয়ী হন। তবে ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী তার নির্বাচনী আসন খুলনা-৪-এ বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন। রাত সোয়া ১০টায় পাওয়া ৫২ কেন্দ্রে তথ্য অনুযায়ী তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৮৯ ভোট; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে তখনো ১৩ হাজার ৯২৭ ভোটে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তবে আরেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিততে পারেননি।
ভোটের মাঠে বরাবরের মতো সফল হয়েছেন বর্তমান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আহাদ আলী সরকার ও বীরেন শিকদার। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, আ হ ম মুস্তফা কামাল, বোর্ডের সাবেক পরিচালক গাজী গোলাম দস্তগীর জয়লাভ করেন। ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে জিতেছেন সালমান এফ রহমান।