নিউজ ডেক্স: যুবলীগের নেতাকর্মীরাই উন্নত বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর গণসমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে যখন দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি, তখন বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ দুর্ভিক্ষ হবে না। সেজন্য এখন থেকেই প্রস্ততি নিতে হবে।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনোদিন যাতে দুর্ভিক্ষ না হয়, সেজন্য সব জমিতে চাষ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যদেরও বিরত রাখতে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মতো দুর্নীতিগ্রস্ত দলের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা শোভা পায় না। যাদের নেতা এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছে তাদের দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবে না।
এছাড়া যারা দেশের উন্নয়ন না দেখে সমালোচনা করে তাদের কিছুই বলার নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতারা কখনো ভেবেছিল বাংলাদেশের স্যাটেলাইট আকাশে উড়বে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়েই দেশকে স্বাবলম্বী করতে চায় আওয়ামী লীগ। অর্থনীতিকে গতিশীল করাই আমাদের লক্ষ্য।
যুবলীগ নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, যেহেতু ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন আর স্যাংশন, আমাদের আমদানি সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যুবলীগের নেতারা গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করতে হবে এবং অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ করতে হবে।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে গণসমাবেশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় দিকে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছান। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে এ সমাবেশের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেন জনসমুদ্র। নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দেন বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং নৌকার নামে।
রং-বেরংয়ের ব্যানার, ফেস্টুন আর প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহাসমাবেশে আসছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কর্মীদের মুখে জয়বাংলা স্লোগান আর মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত নগরীর রাজপথ।
বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত কর্মীদের ছিল স্বতন্ত্র ড্রেসকোড। যা মিছিল আর শোডাউনে বাড়তি শোভাবর্ধন করছে।
সংগঠনের প্রতি আবেগ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ছিল আগত কর্মীদের মুখে। নেতাকর্মীরা বলছেন, দেশের দুর্যোগ, দুর্বিপাকে সম্মুখপানে থাকার পাশাপাশি আগামী দিনে রাজপথে থেকে যেকোনো সহিংসতা রুখতে প্রস্তুত যুবলীগ।
এদিকে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের কিছু এলাকার সড়ক বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি রোড ডাইভারশন করে দেয়া হয়েছে