ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ভোর রাতে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় তূর্ণা নিশীথার চালক দায়ী বলে প্রাথমিক তদন্তে পেয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেল ক্রসিংয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি শ্যামলকান্তি দাশ জানান।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয় এবং পরে হাসপাতালে আরো ছয় জন মারা যায়। অর্ধশতাধিক আহত কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে তদন্তে তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল ‘উপেক্ষা করায়’ এ ঘটনা ঘটেছে বলে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সিলেট থেকে ছেড়ে উদয়ন এক্সপ্রেস যাচ্ছিল চট্টগ্রামে। আর তূর্ণা নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে যাচ্ছিল ঢাকায়। মন্দবাগে দুই ট্রেনের ক্রসিং হচ্ছিল।
“সিগন্যাল পেয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে প্রবেশ করছিল। নয়টি বগি লুপ লাইনে প্রবেশের পর দশম বগিতে হিট করে তূর্ণা নিশীথা। ওই ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি।”
সংঘর্ষের পর তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি উদয়নের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এর মধ্যে দুটি বগি ভীষণভাবে দুমড়ে মুচড়ে যায়। সেখানে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা।
দুর্ঘটনার পরপরই রেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট এবং পুলিশ সদস্যরাও যোগ দেন।
দুর্ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।