জামালুপরের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের একান্ত সচিব মোহাম্মদ এনামুল হক। এদিকে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহমেদ কবীরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ও একজন নারীর আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই আহমেদ কবীরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে সেখানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের একান্ত সচিব মোহাম্মদ এনামুল হককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ওই ঘটনাকে অনৈতিক ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছেন। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাময়িক বরখাস্ত করা প্রাথমিক শাস্তি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত জেলা প্রশাসক ও নারী অফিস সহকারী দুজনের বিরুদ্ধেই চাকরির বিধি মেনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি ওই জেলা প্রশাসককে দেওয়া শুদ্ধাচার সনদও প্রত্যাহার করা হবে। যাতে এ ধরনের কাজ অন্য কেউ না করতে পারে। ’
এছাড়া একই সময়ে নিয়মিত কার্যক্রমের আওতায় চুয়াডাঙার জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসকে প্রত্যাহার করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সরকারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।