চট্টগ্রামে রেলের পরিত্যক্ত জমিতে একশ শয্যার একটি মেডিকেল কলেজ ও পাঁচশ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ৬ একর জমিতে নতুন এই হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৬ কোটি টাকা, নির্মাণ কাজ হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলের যেসব জমি রয়েছে, তা রেলের উন্নয়নের জন্য এখন কাজে লাগবে না। সেই পরিত্যক্ত জমিগুলোর সদ্ব্যবহার কিভাবে করা যায়, তা চিন্তা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে পিপিপি গাইডলাইন অনুয়ায়ী চট্টগ্রামে পাঁচশ শয্যার একটি হাসপাতাল এবং একশ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করা হবে। আগামী দিনগুলোতে রেলের জমিগুলোতে এভাবে প্রকল্প নিয়ে ব্যবহার করব।
এ প্রকল্পের বাজেট কত ও হাসপাতালটি কোথায় হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের সিআরপির পাশেই ৬ একর জমিতে এই হাসপাতাল তৈরি করা হবে। এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ৪৮৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। পিপিপি’র আওতায় চুক্তির মেয়াদ হবে ৫০ বছর। এরপর হাসপাতালটি রেলের হয়ে যাবে।
রেলের বেদখল জমি নিয়ে কী করা হচ্ছে— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ দখলে থাকা সব জমি উদ্ধার করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। উদ্ধার করে একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আমরা নিয়ে আসতে চাই। জমি উদ্ধার করে সেসব স্থানে কাজ করা হবে যেন এ জমি থেকে পাওয়া অর্থ রেলের কাজে আসে।
দলীয় অফিসের ব্যানারে রেলের জায়গা দখল প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম বলেন, এগুলো কোনো কিছুই থাকবে না। দলমত নির্বিশেষে রেলের জায়গাগুলো রেলের অধীনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এগুলো কিভাবে ব্যবহার করা যায়, আমরা সেই চেষ্টায় রয়েছি। পিপিপির আওতায় বড় ধরনের কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া যায় কি না, সে সুযোগও তৈরি করছি।