নিজস্ব প্রতিবেদক

বিগত বিএনপি আমল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে ১০ হাজার ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (শাওন) প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে দেশের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কতজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হয়েছে তাও জানতে চান।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন। ২০০২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের নাম বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল, যাচাই-বাছাই করে প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক গেজেট বাতিল করা হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন অন্তর্ভুক্তি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম বাতিল সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী উল্লেখ করেন। নোয়াখালী-৩ আসনের সরকার দলীয় মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১৭০০ সদস্যের পরিবারকে সরকার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ১৩টি পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বাকি সম্মাননার ক্রেস্টগুলোতে মূল্যবান ধাতু রৌপ্য দ্বারা নির্মিত স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি থাকায় তা নিরাপত্তা হেফাজতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকে সুরক্ষিত ভোল্টে রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রেস্ট প্রাপকের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হবে ডিজিটাল সনদ

সরকার দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ (স্থায়ী সনদ) এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডিজিটাল সনদ তৈরি সম্পন্ন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে একযোগে বিতরণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here