নিজস্ব প্রতিবেদক :

বোয়ালখালীতে হাতির আক্রমণের নিহতদের পরিবার পাবেন ১ লাখ টাকা করে সরকারিভাবে দেওয়া হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থরা পাবেন ক্ষতি পূরণ। রবিবার দুপুরে নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দিয়েছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

হাতির আক্রমণে নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন।

তিনি বলেন, রবিবার হাতির আক্রমণে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে সরকারি সহায়তা প্রদানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদফতরের বিশেষজ্ঞদল ও বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ এ ব্যাপারে যৌথভাবে কাজ করছেন। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া পুনরায় এ দূর্ঘটনা না হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাদের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের ক্ষতি নিরুপণ করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে।

বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে উপজেলার কধুরখীল, চরণদ্বীপ ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে হাতির আক্রমণে ৩জন নিহত হন। নিহতরা হলেন, চরণদ্বীপ ইউনিয়নের চাঁদেরহাট পূর্ব সৈয়দ নগর এলাকার জাকের হোসেন (৬৫), কধুরখীল ইউনিয়নের মধ্যম কধুরখীল শরীফ পাড়ার আবু তাহের মিস্ত্রী (৬৫) ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকার আব্দুল মাবুদ (৬০)।

এ ঘটনায় বোয়ালখালী জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহতদের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে লোকালয়ে তান্ডব চালিয়ে হাতির পালটি জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের দিকে চলে গেছে।

গত শনিবার ভোর থেকে সাত থেকে নয়টি হাতির একটি পাল পূর্ব কধুরখীল ইউনিয়নে অবস্থান নিয়েছিল। দিনভর স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হাতিগুলোকে সরানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত দুই দিন ধরে বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড় থেকে এক বন্য হাতির পাল পাহাড় থেকে নেমে লোকালয়ে অবস্থান করছিল। এই পালে বাচ্চাসহ নয় হাতি রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানিয়েছে।

এই হাতির পাল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায়। এতে পৃথক স্থানে তিনজনের মৃত্যু ঘটে। এদিকে হাতি লোকালয়ে নেমে আসার বিষয়টি আগেই স্থানীয় বন বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here