সরিষার তেল যেকোনো রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধির পাশাপাশি খাবারকে পুষ্টিকর করে তুলতে সরিষার তেলের জুড়ি নেই। এই তেলের রান্না হার্ট, হাড়, হজম এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। এতে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি রয়েছে। সরিষার তেল ফ্যাটি অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত, যেমন -মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (৫৯ গ্রাম), স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (১১ গ্রাম) এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (২১ গ্রাম)।

খাবারের স্বাদ বাড়ায়: সরিষার তেলে অ্যালিল আইসোথায়োসাইনেট নামক এক রাসায়নিক যৌগ পাওয়া গেছে যা, তেলের তীব্র স্বাদের জন্য দায়ী। এই কারণেই এটি প্রতিটি খাবারের স্বাদ তুলনামূলকভাবে বাড়িয়ে তোলে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে: ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত ডায়েটরি সরিষার তেল ডায়েটরি ফিশ অয়েল বা কর্ন অয়েলের তুলনায় প্রাণীদের কোলন ক্যান্সার হ্রাস করতে খুব কার্যকর।

মূত্রাশয় ক্যান্সার রোধ করে: সরিষার তেলে অ্যালিল আইসোথায়োসাইনেট নামে একটি রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা, মূত্রাশয়ে ক্যান্সারের বিকাশকে বাধা দেয়। সরিষার তেলের তীব্র গন্ধই এই ক্যান্সার প্রতিরোধকের কাজ করে।

jagonews24

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো করোনারি হার্ট ডিজিজ । রান্নার তেলগুলো এই হার্টের রোগের চিকিৎসা ও ঝুঁকি হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি জরিপে দেখা গেছে, সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত যা কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে এবং হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

প্রদাহ হ্রাস করে: সরিষার তেল প্রদাহজনিত রোগ দূরে রাখে। ডায়েটে প্রতিদিন সরিষার তেল থাকলে তা শরীরের সংবেদনশীল স্নায়ুগুলিকে সক্রিয় করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, তেলে অ্যালিল আইসোথায়োসাইনেটের উপস্থিতি প্রদাহ হ্রাস করে।

jagonews24

ওজন কমাতে সাহায্য করে: ডায়াসাইলগ্লিসারল সমৃদ্ধ সরিষার তেল উল্লেখযোগ্যভাবে শরীরের ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি শরীরের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, এই তেল হজমেও সাহায্য করে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here