অনলাইন ডেস্ক ॥

দুর্গাপূজার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় সব ধর্মের প্রতিনিধিরা এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে জানালেন সম্প্রীতির আহ্বান। বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের আহ্বানে রবিবার গুলশানের লেক শোর হোটেলে ‘শান্তি ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে আন্তঃধর্মীয় ঐক্য’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, তরীকত ফেডারেশনের ধর্মীয় ঐক্যের ডাক ‘অত্যন্ত প্রশংসনীয়’।

May be an image of 12 people and people standingবাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনান্দাপ্রিয় বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। ধর্মীয় নেতাদের ঐক্য এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করি।

চার্চ অব বাংলাদেশের ভিশক সৌরভ ফলিও বলেন, কোন ধর্মেই প্রতিবেশীকে ঘৃণা করার কথা বলা হয়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশে আমরা যা দেখেছি, তাতে সৃষ্টিকর্তা খুশি হননি।

May be an image of 5 people, people standing and indoorঅনুষ্ঠানের সভাপতি তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়-দায়িত্ব উনাদের (অন্যান্য ধর্মানুসারী) হেফাজত করা। সংখ্যালঘু কথাটি সংবিধানসিদ্ধ না। এটা আমাদের আবিষ্কার। আমাদের শপথ হবে একটাই, বাঁচার লড়াইয়ের জন্য সকল ধর্মীয় নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে আগামী দিনের শান্তির জন্য।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, ইসলামী চিন্তাবিদ ড. আহসানুল হাদী, মহিলা পরিষদের নেত্রী জয়ন্তী রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, জাতীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল রোজারিও, ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দীন আত-তাহেরী, জাতীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা মিলন কান্তি দত্ত।

সম্প্রীতির আহ্বানে এক মঞ্চে সব ধর্মের প্রতিনিধিএছাড়া ভারত, আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া, জাতিসংঘ, ইউএনডিপিসহ অন্যান্য দেশের কুটনৈতিক প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষক হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here