জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও ১১ দিন বাড়ানো সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) এ তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিধি -৪ শাখা) কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং ব্যাপক বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

নতুন করে সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানোয় এ ছুটি শেষ হচ্ছে ২৫ এপ্রিল।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এই ছুটি অন্য ছুটির মতো বিবেচিত হবে না। ছুটিকালীন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বের না হতে প্রজ্ঞাপনে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনের জন্য নিজনিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবে।

এ ছাড়া জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন এবং ইন্টারনেট ইত্যাদি এ আদেশের বাইরে থাকবে। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এ ছুটির আওতায় পড়বে না। জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে।

প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখি শিল্প-কারখানা চালু রাখা যাবে। বিরাজমান পরিস্থিতির উন্নতি হলে মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিক্সা ভ্যানসহ যানবাহন রেল, বাস, পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

আর প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

এর আগে, প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ছুটি বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল করা হয়। তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এবার চতুর্থ দফায় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হলো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here