ড. মো. মোজাম্মেল হক খান

প্রকাশ: ১১/১/২০২১

    রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাঙালির ভরসাস্থল

    ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ছয় দফা দাবিতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসক গোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় প্রচ- দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী দায়ের করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তাঁর জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর শঙ্কা ও দুঃসহ কষ্ট। এ ঝড়ো দিনগুলোতেই কারাবন্দী পিতা বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৬৮ সালে। বিয়ের কিছু দিন পর শুরু হয় ১১ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে সেখানেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

    ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ও কলঙ্কিত একটি অধ্যায় রচনা করে কিছু কুলাঙ্গার আর মীরজাফর। ভয়াবহ সেই ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবার পরিজন নির্মমভাবে নিহত হন। ছোট্ট শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকেও ওই হায়েনার দল বাঁচতে দেয়নি। এ সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। খুনি ও তাদের দোসররা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামনিশানা মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে বারবার। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার ও ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর নেতৃত্বশূন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ। এ শূন্যতা থেকেই দলের মধ্যে একাধিক ভাঙন, গ্রুপিং ও বহু ধারায় বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় দেশি-বিদেশি চক্র। এ দুঃসময়ে জোহরা তাজউদ্দীন দলের হাল ধরে সারা দেশ ঘুরে ঘুরে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করেন। নেতৃত্ব ও ক্ষুদ্র স্বার্থের কোন্দলে ভাঙন ধরে দলে। শুরু হয় ব্রাকেট রাজনীতির। এ ব্রাকেটের রাজনীতির শিকার দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগেকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার স্বার্থে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশমাতৃকার হাল ধরার। সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ’৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে একবিন্দু টলাতে পারেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বাংলার আকাশে-বাতাসে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। সে সময় গৃহবন্দী করা হয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। দেশে ফিরে আসার পর তিনি ঘোষণা দেন স্বৈরশাসকের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র কায়েমের। সেই লক্ষ্যে তাঁর নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের সূচনা হয়। সব বিরোধী দল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হয় যার মূল নেতৃত্বে থাকেন শেখ হাসিনা। সফল আন্দোলনে পতন ঘটে স্বৈরশাসকের। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর সরকার আমলেই ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

    জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকান্ডের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সূত্রপাত হয়। বেপরোয়া হয়ে ওঠে পাহাড়ি-বাঙালি। মুখোমুখি অবস্থানের কারণে হত্যা, অপহরণ, সহিংসতা, উত্তেজনা বাড়তে বাড়তে যখন চরমে তখন শান্তির দূত হয়ে এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পার্বত্যাঞ্চলে শান্তির জন্য জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে প্রায় সুদীর্ঘ ২২ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়। ফলে পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে বইতে থাকে শান্তির সুবাতাস এবং গড়ে ওঠে সম্প্রীতির সেতুবন্ধ। দেশের কোনো অঞ্চলকে পিছিয়ে রেখে সামগ্রিক উন্নয়ন যে সাধিত হয় না এ উপলব্ধি ও সাহসী পদক্ষেপ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনারই চিন্তার ফসল ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তি। সে প্রেক্ষাপটে ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অশান্ত পাহাড়ি ও শান্তিবাহিনীর সদস্যরা শান্তির দূত মাতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

    শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে যোগাযোগব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সময়ের সাহসী নারী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজ অশান্ত পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। পাহাড়ি অঞ্চলে সব পেশার মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটছে। স্থানীয় অর্থনীতিও বিকশিত হচ্ছে, যার সুফল আজ গোটা জাতি ভোগ করছে। রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার যে ম্যাজিক তিনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন তা এখন উন্নত বিশ্বে শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেলে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ এখন অর্জন করেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পপূর্ণতা। প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যা বর্তমানে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি নেমে আসে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশে। দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সূচকের প্রবৃদ্ধির ফলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণেই বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার প্রথমবারের (১৯৯৬-২০০১) শাসনকাল চিহ্নিত হয় স্বর্ণযুগ হিসেবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নিখুঁত নেতৃত্বে অর্জিত হয় ঐতিহাসিক বিজয়। এককভাবে আওয়ামী লীগই লাভ করে তিন চতুর্থাংশের বেশি আসন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। গঠিত হয় মহাজোট সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনেন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে রেকর্ড সৃষ্টি করে তিনি চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর গৃহীত পদক্ষেপের সুফল আজ দেশবাসী পাচ্ছে। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।

    এক বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর কণ্টকাকীর্ণ পিচ্ছিল পথ অতিক্রম করা নীলকণ্ঠীর মতো জীবন পাড়ি দিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বে আলোকবর্তিকায় রূপ নেওয়ার নাম শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তিনি গৃহবন্দী থেকেছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাঁকে কারাভোগ করতে ও গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে। বারবার তাঁর জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ১৯ বার তাঁকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে! কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় কুচক্রীদের সব মরণফাঁদ ভেদ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তাঁর লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন দৃঢ় অবিচল।

    সহজ সারল্যে ভরা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। মেধা-মনন, কঠোর পরিশ্রম, সাহস, ধৈর্য, দেশপ্রেম ও ত্যাগের আদর্শে গড়ে উঠেছে তাঁর ব্যক্তিত্ব। অসাধারণ আদর্শ ও পোশাকে-আশাকে চলনে-বলনে, জীবনযাত্রায় কোথাও বিলাসিতা বা কৃত্রিমতার কোনো ছাপ নেই। এই মমতাময়ী কালজয়ী জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী হওয়াটা মহান সৃষ্টিকর্তার অপার দয়া আর মানুষের ভালোবাসাটা তাঁর বড় শক্তি। অসংখ্য গুণে গুণান্বিত বিশ্বমানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় কাজে নিষ্ঠাবান অন্যদিকে প্রচ- ধার্মিক ও সততার মূর্ত প্রতীক। তিনি নিয়মিত ফজরের নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে তাঁর দিনের কর্মারম্ভ করেন। পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেছেন বেশ কয়েকবার। এই পবিত্র নারীই আমাদের প্রাণপ্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলিসমৃদ্ধ জীবনমান তাঁকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিন বদলের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার সুনিপুণ কারিগর শেখ হাসিনা। তিনিই বাঙালির জাতির ঐক্যের প্রতীক এবং শেষ ভরসাস্থল। তাই তো তিনি আজ হয়ে উঠেছেন মহান নেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখতেন সে স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে তাঁর জাদুকরী নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম নানাবিধ উপাধি দিয়েছেন। তার কিছু এখানে তুলে ধরা হলো- ‘লেডি অব ঢাকা’-যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’। ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’- ব্রিটিশ মিডিয়া। ‘কারিশম্যাটিক লিডার’-মিসরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত। ‘প্রাচ্যের নতুন তারকা’- সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদপত্র খালিজ টাইমস। ‘বিশ্বের নেতা’- ভারতের বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য ড. বিনয় প্রভাকর। ‘নারী অধিকারের স্তম্ভ’- কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ। ‘বিশ্বশান্তির দূত’- কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস স্ট্যাডিস বিভাগের তিন শিক্ষক। ‘মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা’- অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অব পিস। ‘জোয়ান অব আর্ক’- শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান। ‘বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা’- নোবেলবিজয়ী কৈলাস সত্যর্থী। ‘বিশ্বমানবতার বিবেক’- কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সন্তোস। ‘বিরল মানবতাবাদী নেতা’- তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এ ছাড়া তাঁর কর্মদক্ষতা ও মহানুভবতার জন্য তিনি বিশ্ববাসীর কাছ থেকে অসংখ্য পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন। সম্মাননা আর পদকের ঝুলিতে বিশ্ববরেণ্য নেতা শেখ হাসিনার জন্য নোবেল বিজয়ের অপেক্ষা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

    শেখ হাসিনা বারবার বুলেট ও গ্রেনেডের মুখ থেকে বেঁচে ফেরা এক বহ্নিশিখা। তিনি তাঁর জীবনকে বাংলার মেহনতি দুঃখী মানষের কল্যাণে উৎসর্গ করে এগিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বমানবতার দিকে দুর্বার গতিতে। গণমানুষের কল্যাণই তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর ’৮১ সালের শুরুতে দলের দায়িত্ব নিয়ে শুধু চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ই আনেননি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে যেমনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উদার, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এখন তিনি।

    শত বাধা-বিপত্তি, হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

    লেখক : সাবেক সিনিয়র সচিব ও বর্তমান কমিশনার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    Print Friendly, PDF & Email

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here