রাউজানে মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক একেএম নুরুল আজম চৌধুরী হত্যার ঘটনায় জড়িত শেখ সোহরাব হোসেন সাদিচ (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানিয়েছে, শেখ সোহরাব হোসেন সাদিচ ক্ষোভ থেকে নুরুল আজম চৌধুরীকে হত্যা করেছে। সোহরাবকে নিয়ে বিভিন্ন সময় ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতেন নুরুল আজম। এতে তার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। গত পাঁচ মাস ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল সোহরাব।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাউজানের পথেরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কিরিচ ও রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুরে চান্দগাঁওয়ে র‌্যাব-৭ সিপিসি-৩ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, মূলত দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে নুরুল আজমকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরুল আজমের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল হত্যাকারী সোহরাবের। নুরুল আজমের দোকানে নিয়মিত আসতো সে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।তারেক আজিজ জানান, নুরুল আজমকে হত্যার জন্য ১ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি কিরিচ কিনে সোহরাব। সেই কিরিচ দিয়ে নৃশংসভাবে নুরুল আজমকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর কিরিচ পরিষ্কার করে ফের কামারের দোকানে ফেরত দেয়।

র‌্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সামীম সরকার বলেন, নুরুল আজম রাউজানে একা থাকতেন। তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল সোহরাবের। সোহরাব রাউজানে পালক পিতার কাছে বড় হয়েছে। নুরুল আজম ঠাট্টা করে সোহরাবকে বলতেন, বাপের জন্মে এত টাকা দেখেছো! এসব বিষয় নিয়ে সোহরাবের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয় বলে দাবি করেছে সোহরাব।

তিনি বলেন, সোহরাবের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করবে তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর বাইরে আরও বিষয় থাকতে পারে। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্য কেউ জড়িত আছে কী না তা খুঁজে বের করা হবে।

আরো পড়ুন : রাউজানে ‘মুক্তিযোদ্ধাকে’ জবাই করে হত্যা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here