নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সার্বজনিন বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আহবান জানিয়েছে দিশারী খেলাঘর আসর । ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে খেলাঘরের বোয়ালখালী উপজেলা সদরের শাখা দিশারী খেলাঘর আসরের উদ্যোগে আয়োজিত পাঠচক্রে এ আহবান জানানো হয় ।

পাঠচক্রে বক্তারা বলেন, দেশের একাধিক ধারায় বিভক্ত শিক্ষা বৈষম্যের সমাজ গড়ে তুলছে । কেরানী তৈরীর এ শিক্ষা ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী । সব সরকারই মুক্তবাজার অর্থনীতির দর্শনকে ধারণ করে ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে নীতি প্রণয়ন করে, যার মধ্যে শিক্ষানীতি অন্যতম। সংবিধানের ১৭নং অনুচ্ছেদে গণমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সার্বজনীন ধারার শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রতিটি সরকারের আমলেই তা হয়েছে উপেক্ষিত।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন রাষ্ট্রের অঙ্গীকার ছিল গণমুখী, সার্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের। স্বাধীনতার ৪০ বছর এবং ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলনের ৫০ বছর পরও এদেশের ছাত্রসমাজকে শিক্ষার অধিকার আদায়ে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ’৭৫-র পরবর্তী প্রতিটি সরকার ‘টাকা যার শিক্ষা তার’ এই নীতির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পালন করে গেছে অগ্রণী ভূমিকা।

পাঠচক্রে বক্তব্য রাখেন খেলাঘর বোয়ালখালী উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল।দিশারী খেলাঘর আসরের সহ সাধারণ সম্পাদক নাজমা আকতারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাঠ করেন আসরের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা। বক্তব্য রাখেন সানজিদা সুলতানা লিজা,দীপা শীল, সাব্বিনা আকতার ।

তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী শিক্ষা সঙ্কোচনমূলক শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন ১৭ সেপ্টেম্বর।

পাকিস্তানি শাসকদের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকেই। নাম না জানা সেই আত্মত্যাগীদের স্মরণ করতেই এই দিনটিকে পালন করা হয় শিক্ষা দিবস হিসেবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here