নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে ভিড় না থাকলেও বেড়েছে লেবুর মূল্য। আকার অনুযায়ী ৬০ থেকে ৮০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে লেবু। তবে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে ঢাকায় চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এনেছ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না লোকজন। যার প্রভাব পড়েছে বাজারেও, একেবারেই ভিড় নেই সেখানে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বোয়ালখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়। লকডাউন ঘোষণার খবরে গত কয়েকদিন বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সে তুলনায় আজ বাজার ছিল অনেকটাই ফাঁকা। নিত্যপণ্য, ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ রয়েছে।

বাজারে শাক-সবজিসহ অন্যান্য জিনিস পত্রের দাম আগের মত থাকলেও বেড়েছে লেবুর দাম। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লেবু খাওয়ার পরামর্শ থাকায় চাপ পড়েছে লেবুর উপর।

আগে যে লেবু বিক্রি হতো ২০ টাকা হালি সেই লেবু এখন ৬০ টাকা। আর ৪০ টাকার লেবুর হালি এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার মুরাদ মুন্সির হাটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, ‘লেবুর চাহিদা সব থেকে বেশি। আগে যিনি দুই একটা লেবু নিতেন, এখন তিনি এক ডজন করে লেবু কিনছেন। সবাই ডজন ডজন লেবু কেনায় এর দাম বেড়ে গেছে। আমরাও অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনে এনেছি। যে লেবু আমরা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন সেই লেবু ৮০ টাকা হালি।’ তবে লেবু ছাড়া বাকি শাক-সবজির দাম একই রকম আছে বলেও তিনি জানান।

বাজারের মুদি দোকানদার মো. নাজিম বলেন, ‘আজ বাজারে ক্রেতা অনেক কমে গেছে। গতকালও কিছুটা ভিড় ছিল, সে তুলনায় আজ অনেক কম। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যা কেনার আগেই কিনে ফেলেছেন। এ কারণে বাজারে এখন ভিড় নেই।’ নিত্যপণ্যের দাম তেমন বাড়েনি, আগে যা ছিল এখনও তাই আছে বলেও জানান তিনি।

একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, শশা ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, টমেটো ২৫ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১২০০ টাকা ধরে কেজি বিক্রি হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here