ঋতুচক্রের হিসাবে এ মৌসুমে শীত এসেছিলো পৌষেই, বিদায়ও নিচ্ছে দুই মাস পর। মাঘের শেষে বসন্তের আগমনে প্রকৃতিতে ফাল্গুনের টান পড়েছে। বাড়ছে তাপমাত্রাও।

বাংলা পঞ্জিকার হিসাবে দুইদিন পরই মাঘ শেষে আসছে ফাল্গুন বা ফাল্গুন মাস। এবার সেই ফাল্গুনেই উত্তাপ ছড়াবে সূর্য।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যে কয়েক স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৯ ডিগ্রি বিরাজ করছে। মঙ্গলবারও (১১ ফেব্রুয়ারি) তাপমাত্রা টেকনাফে সর্বোচ্চ ২৯ এবং ঢাকাসহ সারাদেশে গড়ে ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি ছিলো। আর দুই এক দিনের মধ্যে বিদায় নেবে শৈত্যপ্রবাহ।আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় সূর্যের তাপ দীর্ঘ সময় পাচ্ছে প্রকৃতি। ফলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে।

বসন্তের আগমনে প্রকৃতির ছোঁয়া।

সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এ অবস্থায় ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আর ৭২ ঘণ্টার অবস্থায় বলা হয়, এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। অর্থাৎ ফাল্গুনের শুরুতেই বেশি হবে তাপমাত্রা।

শৈত্য প্রবাহের কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড কর হয়, যেখানে ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বেড়েছে। এছাড়া রাজারহাটে ছিলো আট, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫, শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫, রংপুরে ১০ দশমিক ৭, বরিশালে ৯ দশমিক ৮, খুলনায় ১১ দশমিক ৮, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৬, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ১৪ ডিগ্রি করে রেকর্ড করা হয়। আর রাজধানী ঢাকায় ছিলো ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here