বাঁশখালীর ঋষিধামে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ঋষিকুম্ভ মেলা। শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ প্রতিষ্ঠিত ঋষিধামে প্রতি তিন বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় ঋষিকুম্ভ মেলা।

মেলাকে ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত তথা উপমহাদেশের কয়েক লক্ষাধিক পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্ন্যাসীর সমাগম হয়। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ২০তম ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদযাপন উপলক্ষে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পৌরহিত্য করবেন ঋষিধামের মোহন্ত  শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ।

ভারতের ৪টি স্থানে এই ঋষিকুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেগুলো হল- হরিদ্বার, প্রয়াগ, উজ্জয়িনী অবন্তিকা ও নাসিকা। সেই কুম্ভের অনুকরণে বাঁশখালীতে শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ ১৯৫৭ সাল থেকে ঋষিকুম্ভ মেলা শুরু করেন।

মেলার প্রথম দিন ৩১ জানুয়ারি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মঙ্গল আরতি ও জয়গানে মঙ্গল আহ্বান, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, তৈজস সামগ্রী সহকারে ভাণ্ডারগৃহের উদ্বোধন, মহাশোভাযাত্রা, গুরু মন্দিরে শ্রীগুরু বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ও মন্দিরের মাঙ্গলিক কাজের  উদ্বোধন, গুরু মহারাজের পূজা,  ভোগরাগ ও সমবেত প্রার্থনা, ধর্মসম্মেলন ও সঙ্গীতাঞ্জলি, সন্ধ্যারতি ও সমবেত প্রার্থনা, দ্বিতীয় দিবসে মঙ্গল আরতি, গুরুপূজা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা, সঙ্গীতাঞ্জলি, চণ্ডীযজ্ঞ, তৃতীয় দিবসে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর অভিষেক, সংগীতাঞ্জলি, ধর্ম মহাসম্মেলন, চতুর্থ দিবসে দেবাদিদেব মহাদেব’র অভিষেক, সংগীতাঞ্জলি, ধর্ম মহাসম্মেলন, নাটক যুগাবতার পরম পুরুষ স্বামী অদ্বৈতানন্দ, পঞ্চম দিসবে দশমহাবিদ্যা পূজা, ধর্মীয় সংগীতাঞ্জলি, স্বামীজি রচিত শ্রী শ্রী দশমহাবিদ্যা অনুসরণে, ধর্ম মহাসম্মেলন, ষষ্ঠ দিবসে গঙ্গা পূজা ও মহাস্নান, ঋষিধ্বজা উত্তোলন, বেদমন্ত্র পাঠ, ১০৮ দীপমণ্ডিত মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সাধু ভাণ্ডার ও আন্তর্জাতিক ঋষি সম্মেলন, গঙ্গারতি ও অদ্বৈতানন্দ সরোবরে দীপদান উৎসব, সমবেত প্রার্থনা, অষ্টপ্রহরব্যাপী মধুসুদন কীর্তনের শুভ অধিবাস।

সপ্তম দিবসে চতুষ্প্রহরব্যাপী অহোরাত্র কীর্তন, রাধাকৃষ্ণের অভিষেক, সংগীতাঞ্জলি, ধর্ম মহাসম্মেলন, ষোড়শপ্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞের অধিবাস, অষ্টম দিবসে ষোড়শপ্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞের শুভারম্ভ ও অহোরাত্র নামসংকীর্তন, গঙ্গাপূজা ও মহাস্নান, সপ্তশতী তুলসীদান, বিশ্বকল্যাণে পঞ্চাঙ্গ স্বস্ত্যয়ন, শান্তি হোম ও অঞ্জলি প্রদান, অন্নকূট উৎসব, গুরু মহারাজের ভোগরাগ ও সমবেত প্রার্থনা, নবম দিবসে অহোরাত্র মহানাম সংকীর্তন, দশম দিবসে মঙ্গল আরতি ও ষোড়শপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি, গঙ্গাপূজা ও মহাস্নান, বিশ্ব কল্যাণে গীতাযজ্ঞ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here