কোনো পোশাককর্মীর যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের (কোভিড-১৯) লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে কর্তৃপক্ষ যেন তার বেতনসহ ছুটির ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি ওই কর্মী কোয়ারেন্টাইনে আছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা একথা জানান।
তিনি বলেন, বেতনে ছুটির ব্যবস্থা না করলে গার্মেন্টস শ্রমিক লক্ষণগুলো গোপন করবে। এতে অন্য শ্রমিকের ক্ষতি হবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করে ফ্লোরা বলেন, যেখানে গণ জমায়েত হয়, যে হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী আছেন এবং কোয়ারেন্টাইনে আছেন, এমন স্থান এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
ফ্লোরা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের দুইজনই পুরুষ। এর আগে সোমবার (১৬ মার্চ) তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন শিশু ও একজন নারী। এ নিয়ে সর্বমোট ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে এক জন ইতালি ও অন্যজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন। দু’জনের একজন আগে থেকেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় আইইডিসিআর-এর হটলাইনে কল এসেছে ৪ হাজার ২০৫ টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত ছিল ৪ হাজার ১৬৪ টি। এছাড়া সর্বমোট ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ১৬ জন। ৪৩ জন আছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।