বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে সরকার উন্নয়নের নামে দেশে লুটপাট চালাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিনা অপরাধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। দেশে এখন বিচারের নামে চলছে অবিচার।

তিনি আরো বলেন, বিচারপতি এস কে সিনহার পরিণতিতে ভয় পেয়ে বিচার বিভাগ বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলনই ঘটছে এখন আইন আদালতের সিদ্ধান্তে বিনা চিকিৎসায় কারারুদ্ধ রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাণে মারার আয়োজন করছে। কিন্তু আমরা শহীদ জিয়ার লক্ষ কোটি কর্মীরা বেচে থাকতে বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শেষ হতে দিতে পারি না। আমাদেরকে গর্জে উঠতে হবে। অধিকার আদায় করে নিতে হবে আগামী ১৩ জানুয়ারী আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার মাধ্যমে।

তিনি আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের ধানের শীষের পক্ষে নতুন চান্দগাঁও থানার সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে ইয়াছিন হাজীর বাড়ী, ১ কিলোমিটার, পেটারীপাড়া, হাবিলদ্বার বাড়ী, মীর বাড়ী চৌধুরী স্কুল, খাজা রোড, করমপাড়া হয়ে বসুন্ধরা কমিউনিটি সেন্টারে এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। তারা এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে শামীম বলেন, গত এক দশকে নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব ও দুর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন জনগণের ভোট রক্ষার জন্য নয় বরং ভোটচোরদের বৈধতা দানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য ইভিএমকে ব্যবহার করছে। এই ইভিএম দিয়ে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়া সম্ভব। ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপির অন্যতম হাতিয়ার।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ধানের শীষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক। আইনের শাসন ফিরিয়ে দেয়ার প্রতীক। বিএনপি বাংলাদেশ’র সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণ ও ভোট বিএনপির। আওয়ামীলীগের ভোটও নেই, জনগণও নেই। চট্টগ্রাম-৮ আসনের ভোটারেরা বিএনপির সাথে আছে। তাদের অন্তরে ক্ষোভ আর জ্বালা আছে, তারা অপেক্ষা করছে সুযোগের। তাদেরকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। ইভিএম মেশিনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বচ্ছ ধারণা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে ভোটাররা শংকিত। তাই নির্বাচনের আগেই ইভিএমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সভা করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধেুরী নওফেল নির্বাচনী আচরণবিধি লংগন করেছেন। তার অধীনস্থ মন্ত্রণালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নির্বাচনে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেওয়ায় তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষক শিক্ষিকেরা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে কিনা সন্দিহান। সরকার দলীয় মন্ত্রী এমপিদের কর্মকান্ড নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত এবং প্রভাব বিস্তারের নোংরা কৌশল।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহসাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গির আলম, মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বখতেয়ার, সহদপ্তর সম্পাদ মো. ইদ্রিস আলী, সহআপ্যায়ন সম্পাদক আবদুল আজিজ, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা নুরুল আলম, সুজা চৌধুরী, নুরুন্নবী চৌধুরী, আইয়ুব আলী, আফিল উদ্দিন, আইয়ুব খান, আবুল বশর, মো. ইলিয়াছ আলী, আবু বকর, মহিলা দল নেত্রী শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এস এম রব, ম. হামিদ, গোলজার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মোর্শেদ কামাল, এসকান্দর হোসেন, মো. নুরুন্নবী, নাসির উদ্দিন প্রমুখ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here