করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে শর্ত দিয়ে দোকানপাট-শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা।

দোকানপাট-শপিংমল খোলা প্রসঙ্গে গিয়াস উদ্দিন ফেইসবুকে লিখেন, ‘এ কেমন সিদ্ধান্ত? জীবনের চেয়ে ঈদের কেনাকাটা জরুরি? আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, আপনি দয়া করে শপিং মল খোলার বিষয়টি পূনঃবিবেচনা করবেন। উন্নত ও বড় বড় দেশ যেখানে ব্যর্থ হচ্ছে চিকিৎসা দিতে, সেই হিসেবে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতখানি সক্ষম তা নিজেরাই জানি। এক বৎসর ঈদের কেনাকাটা না করলে কি হবে? সতর্কতার কারণে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া নিষেধ, সেখানে শপিং মল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কীভাবে হয়?

‘১৪৪ ধারা, লকডাউন, কারফিউ দিয়ে জনগনকে ঘরে রাখা সম্ভব হয় না, আর কিছু শর্ত দিয়ে খুলে দেওয়া। করোনার সময়ে সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত! এবার হবে জনস্রোত!’ – রাকিব হোসাইন সুমনের মন্তব্য।

সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশের প্রশ্ন, ‘গার্মেন্টস, দোকানপাট, শপিং সেন্টার সব খোলা, লকডাউন শিথিল। তাহলে ছুটি কিসের? কার ছুটি? কেন বাড়লো ছুটি?’

ব‌্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন লিখেন, ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে মার্কেট বন্ধ রয়েছে। বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। ভেবেছিলাম দোকান-পাট, মার্কেট ঈদের আগে আর খুলবে না। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তের পর মনে হচ্ছে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছি। ’

উদ্বেগ প্রকাশ করে রাসেল আহমেদ রাজু লিখেন, নতুন জামা-কাপড় ছাড়াও কিন্তু সুন্দরভাবে উৎসব পালন করা যায়। কিন্তু পরিবারের একজনের করোনা পজেটিভ হলে উৎসব পালন আর হবে না।’

শিক্ষক সাইফুল ইসলাম লিখেন, ‘যে সকল আপু এবং ভাইয়া ঈদের জামা-কাপড় কিনতে যাবেন। প্লিজ মনে করে সব কেনা শেষে সাদা কাপড় নিয়ে আইসেন। বলা তো যায় না, লাগতেও পারে!’

এএসএম সায়েম উদ্দিন লিখেন, ‘এতো কিছুই যখন করতেছেন, তাহলে মসজিদটাও চালু কইরা দেন, এই রমজান মাসে মানুষ কিছু ইবাদত করে মুক্তি পাক। কিন্তু মসজিদে করোনা ধরবে মার্কেটে গেলে নয়, এই নিয়ম নীতি কে শিখাইলো জনাব ? যদি হয় সব হবে, না হয় কিছুই হবে না; এমন কঠোর আইন করতে হবে।’

সরকারের দেয়া শর্ত প্রসঙ্গে রাজিব হোসাইন রাজ লিখেন, ‘মার্কেটে কি নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রাখা সম্ভব? এগুলো সব আইওয়াশ কথাবার্তা ৷ পাবলিক মার্কেটে না গেলেই হয় ৷’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here