খদেশে আরও চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট রোগী সংখ্যা হয়েছে ৪৮ জন।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা অনলাইনে নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান।

ডা. ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে ফোন এসেছে তিন হাজার ৩২১টি। এই সময়ের মধ্যে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা করা ১০৬ জনের নমুনার মধ্যে চার জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অধ্যাপক ফ্লোরা আরও জানান, নতুন আক্রান্ত চার জনের মধ্যে একজনের বয় ২০ থেকে ৩০, একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০, একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং আরেকজন পঞ্চাশোর্ধ্ব। এর মধ্যে দু’জন রয়েছেন ঢাকয়, দু’জন ঢাকার বাইরে। দু’জনের মধ্যে কো-মরবিডিটি বা আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। তবে চার জনই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আইইডিসিআর ছাড়াও এখন ঢাকায় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এর আগে সিঙ্গাপুরের একটি সংগঠন করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১০ হাজার কিট পাঠিয়েছিল। চীন গতকালও কিছু কিট পাঠিয়েছে। এছাড়া দেশটি কিছু সুরক্ষা সরঞ্জামও (পিপিই) পাঠিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার বাইরে দেশে ব্র্যাক ও আইসিডিডিআর,বি’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও পিপিই সরবরাহ করছে। পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এ ক্ষেত্রে সহায়তা করছে। এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থানেই অনেকেই ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি ও বিতরণ করছে। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অধ্যাপক ডা. ফ্লোরা।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here