মাহফুজুর রহমান

রেলওয়ের জিএম সাহেবের একটি বক্তব্য শুনলাম। চট্টগ্রামবাসী যখন রেলওয়ের সিআরবির আশে পাশে কোন ধরনের স্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, আন্দোলন করছেন, সভা মিছিল করছেন তখন তিনি জোর দিয়ে বলছেন প্রস্তাবিতস্থানে হাসপাতাল হবেই। এতো চরম ধৃষ্টতা।

রেলওয়েরে প্রস্তাবিত স্থানে হাসপাতালটি হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক সরকার। সরকার প্রধান যাতে এই সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসেন সে জন্যেই আন্দোলন চলছে। এই ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে হলে তা দিবেন রেলওয়ে মন্ত্রী বা বড়জোর সচিব। রেলওয়ের জিএম বড়জোর যুগ্নসচিব পদমর্যাদার হবেন। তিনি কি করে এই জাতীয় বক্তব্য দেন তা ভাবতেই অবাক লাগে। মনে হয় রেলওয়ে তার নিজস্ব সম্পত্তি।

তিনি যা ইচ্ছে তাই করবেন। তিনি ভুলে গেছেন এটা তার পদমর্যাদার সাথে যায় না। আমি অনুরোধ করবো এই জাতীয় ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দান থেকে তিনি বিরত থাকবেন। হ্যা তিনি যা করতে পারেন তা হলো রেলওয়ে স্বাব্যবস্থাকে ৭১ সালের মডেল থেকে ২০২১ সালের মডেলে নিয়ে আসতে পারেন। সিআরবি হাসপাতালটিকে আধুনিক করতে পারেন। কুমিরা টিবি হাসপাতালটিকে ণতুন করে গড়তে পারেন, সেখানে অন্তত আড়াই শত শয্যার হাসপাতাল করতে পারেন, কুমিরা, পাহাড়তলীতে যে আউটডোর হাসপাতাল আছে সেটাকে আধুনিক করতে পারেন। রেলের চুরিতো সর্বজন বিদিত। সেটা বন্ধে উদ্যোগ নিতে পারেন।

আমরা যারা রেলের সন্তান, যারা আগে রেলে চাকরি করেছি আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেব। এখানে যে বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষে জিমএম উকালতি করছেন আমি হলফ করে বলতে পারি তিনি যে উচ্চ বেতন পান সেই বেতনেও তিনি এখানে চিকিৎসা করতে পারবেন না। গরীব জনগণ ও রেলওয়ে কর্মচারিতো দুরের কথা।হ্যা জিএম সাহেবের উপরি আয় থাকেতা সেটা ভিন্ন কথা। এরপর তিনি যদি তার পদমর্যাদার বাইরে গিয়ে জনগণের বিপক্ষে কথা বলেন তবে এটা আমাদের ভাবতেই হবে চাকরির বাইরে তার অনেক ধরনের আয় আছে যা আমরা জানিনা। তাই হাসপাতালটি এখানো হোক চাইছেন। আমরা না জানলেও ভিন্ন ব্যবসার কথা চাকুরি বিধি অনুযায়ী সরকারকেতো জানাতেই হবে।সেটা সরকার জানে কি না। দুদককে বলবো জিএম সাহেবের ব্যবসাপাতির খোজ নিতে। আমাদের জনগণের সন্দেহ হচ্ছে।

note. fb

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here