অনলাইন ডেস্ক : আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলার ৪ হাজার ৪৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫টি উপজেলার ২৭৬টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।

বুধবার (১২ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

কর্মশালার সমন্বয়ক মো. মাহবুব হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক (আশ্রয়ণ-২) মো. মাহবুব হোসেন প্রধান উপস্থাপক ও কর্মশালার সমন্বয়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার সমন্বয়ক মো. মাহবুব হোসেন জানান, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ হলেও বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। গৃহহীন মানুষের কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯৭ সাল থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, সরকার গৃহহীন মানুষদের জন্য সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। ‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকারের আলোকে দেশের সকল গৃহহীন মানুষকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে জানান প্রকল্প পরিচালক।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের এ পরিচালক আরও বলেন, বরাদ্দকৃত ঘরে বরাদ্দ প্রাপকের থাকা নিশ্চিত করতে হবে। উপকার ভোগীর জীবিকার জন্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করতে হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, সরকারের ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। সবাই শহরমূখী হলে এদেশের উন্নয়ন হবে না।

তিনি বলেন, শহরমুখী জনস্রোত মোকাবেলায় গ্রামেই জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষিকে বাঁচাতে হবে। গ্রামে থেকে কাজ করে নিজেদের এলাকার চিত্র পাল্টাতে হবে। প্রকল্প এলাকায় ফলজ ও ঔষধি গাছ লাগাতে হবে।

এদিকে, শহর বা পাহাড়ি এলাকায় খাসজমির স্বল্পতা উল্লেখ করা হলে প্রকল্প পরিচালক জানান, এসব এলাকায় ৫তলা দালান করা হবে। এ জন্য ৫০টি দালান নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এ সময় জানানো হয় জরাজীর্ণ ঘরগুলো অচিরেই সংস্কার করা হবে। আর্থিক অবস্থার উন্নতির কারণে প্রকল্প এলাকা ত্যাগকৃত উপকারভোগীর ঘর নতুন করে বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও কর্মশালায় জানানো হয়।

সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ঋণ গ্রহীতাকে আয়বর্ধক কাজে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ।

কর্মশালায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও বসবাস উপযোগী করার লক্ষ্যে প্রকল্পে বসবাসকারী মানুষগুলোকে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে আরও উদ্বুদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here