পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় রোববার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস বের করা হবে।

এবার জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশিন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। উপস্থিত থাকবেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ (মজিআ)।

জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে সকাল ৯টায় জুলুস বের হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মিলিত হবে। কাজীর দেউড়ি মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চে হুজুর কেবলা বক্তব্য দেবেন ও দেশের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করবেন।

রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন আনজুমানের উপদেষ্টা, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসীন সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, আনজুমানের এডিশনাল সেক্রেটারি শামসুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন মো. শাকের, অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার প্রমুখ।

সুফি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য জশনে জুলুসের মতো একটি নির্মল ইসলামি সংস্কৃতির প্রবর্তক হিসেবে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহির প্রতি শোকরিয়া জানাচ্ছি। ১৯৭৪ সাল থেকে তার নির্দেশেই এদেশে জশনে জুলুস নামে একটি গতিশীল ইসলামি সংস্কৃতি সর্বপ্রথম চালু হয়। এরপর থেকে ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে ও ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকায় জুলুস বের হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রামের জশনে জুলুস গিনেস বুক রেকর্ডে স্থান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here