ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে দেওয়া সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি), আরডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক আরিফুলের অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি ওই সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও বাতিল ঘেষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৩ মার্চ) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এর আগে, গত ১৬ মার্চ এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ মামলার যাবতীয় নথি এবং এ বিষয়ে সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

সাংবাদিক আরিফুলকে সাজা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন অর রশিদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আজকে সাংবাদিক আদালতে হাজির হন। পরে আদালত রিটকারী হিসেবে সাংবাদিক আরিফুলকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন আদালত। পরে সাংবাদিক আরিফুল রিটকারী হয়ে পুনরায় আবেদন দায়ের করলে আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারিসহ এ সব নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে। তার বাসা থেকে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই সাংবাদিককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here