চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ফসলি জমিগুলোতে আমন ধানের রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বিল ভরা থাকায় শেষ মূহুর্তে চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা ।
উপজেলার কধুরখীল, গোমদন্ডী, শাকপুরা, কানুনগোপাড়া, কড়লডেঙ্গা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা মাঠে চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের আমন চাষে সার ও কীট নাশকের দাম কম থাকায় মোটামুটি বেশির ভাগই জমি চাষ হচ্ছে। তবে মজুরী ও চাষ খরচ বেশি হওয়ায় বাড়তি খরচ পড়ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন তারা।
কধুরখীল এলাকার এলাকার কৃষক সুনিল দে জানান, এবার সারের দাম কম থাকায় কৃষকরা আমন চাষে আগ্রহী হয়েছেন, পাশাপাশি বাজারে ধান-চালের দামও বৃদ্ধি। আমন রোপনের ধুম পড়ায় বেড়ে গেছে কামলাদের কদর। কানুনগোপাড়া বিলে কাজ করা নেত্রকোণা জেলার কামলা মো. নাছির ও অনিল বর্মণ বলেন, আমনের ভরা মৌসুমে কামলাদের চাহিদা বেড়েছে। খেয়ে দেয়ে সর্বনিন্ম ৫শ টাকা মজুরি চলছে বলে জানান পাবনা জেলা থেকে কাজ করতে আসা কামলা দেলোওয়ার হোসেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগসূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে আবাদি জমির পরিমান ছয় হাজার ৩শ ২৫ হেক্টর। গেল বছর আমন মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল চার হাজার ৫শ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে চার হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনার আশা করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোগ বালাই প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বর্তমানে সারের কম হওয়ার কারণে উৎপাদন খরচও কমে যাবে পাশাপাশি লাভবান হবে কৃষকরা।