সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত) করে রাখা যাবে না। এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
ইতোমধ্যে যারা ১৫০ দিনের বেশি ওএসডি রয়েছেন তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একজন সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি তদন্ত করবে।
সাবেক সচিব আসাফ উদ-দৌলার রিট আবেদনর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৪ জুন আদালত রুল জারি করেছিলেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছিল— সরকারি কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি ওএসডি করে রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?
আদালতের রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
অমিত দাসগুপ্ত জানান, যেসব সরকারি কর্মকর্তা ১৫০ দিনের বেশি সময় ওএসডি রয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে তাদের স্বপদে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে কমিটি ওএসডি কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। সেই সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।
পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে আসার পরে আপিল করবেন বলে জানান অমিত দাসগুপ্ত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, শুনানিতে কিছু কর্মকর্তাদের উদাহরণ টানা হয়েছিল। তাদের কেন ওএসডি করা হয়েছিল সেই কারণ রাষ্ট্রপক্ষ জানাতে পারেনি। অনেক কর্মকর্তা আমৃত্যু ওএসডি ছিলেন।
ওএসডি কর্মকর্তা অফিসে যান আর বাসায় আসেন, কোনো কাজ করেন না। জনগণের করের টাকায় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়া হয়। এছাড়া ওএসডি কর্মকর্তা হীনমন্যতায় ভোগেন। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন। সন্তানদের বিয়ে দিতে গেলে সমস্যা হয়।