এমরান হোসেন মিঠু

মানব জাতির উপর কঠিন ও দূ:সহ প্লাবনসম মহামারি কোভিড১৯ এর প্রকোপ থেকে বেরিয়ে নতুন উদ্দীপনায় মন ও মননকে শানিত করতে দেশের শীর্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠন সন্দীপনার ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর আগ্রাবাদ এলাইট মোটরস্ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় ও সংগঠন সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে মঙ্গলপ্রদীপ জ¦ালিয়ে কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন- জাপানের অনারারি কনসুলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ নুরুল ইসলাম। কর্মসূচীর শুরুতে স্বাগত ভাষন রাখেন সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভাস্কর ডি.কে. দাশ মামুন। নবীন-প্রবীন সভ্যগণ ও সুধিগণের মিলন মেলায় নব কল্লোলে দিনভর পালিত কর্মসূচির মাঝে ছিল- আলোচনা সভা, সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান, গীতি আলেখ্য, জাগরণের গান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, কবি গানের আসর, বৃন্দ আবৃত্তি, নাট্য প্রদর্শনী, আড্ডা প্রভৃতি। প্রতিষ্ঠাতাবার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সংগঠক উজ্জ্বল কান্তি বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চবি সিনেট সদস্য বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী। সম্মানিত প্রধান বক্তা ছিলেন- অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খ্যাতিমান বস্ত্র নক্শা শিল্পী রওশন আরা চৌধুরী, সাংস্কৃতিক বিশ্লেষক দেবব্রত দে দেবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশাহ্ মিয়া চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, নাট্যজন শেখ শওকত ইকবাল, সংগঠক হাবিবুর রহমান হাবিব, সংগঠক তাজুল ইসলাম রাজু, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, সাংবাদিক মুকুল শিকদার, রূপসী বাংলাদেশের সম্পাদক- সাংবাদিক হারুনুর রশিদ, প্রধান শিক্ষক তরণী কুমার সেন, রাজনীতিক সিদ্দিকুল ইসলাম, সংগঠক নিবেদিতা আচার্য, সংগঠক সজল দাশ, ভাষ্কর পীযুষ সরকার, সংগঠক মোশারফ হোসেন খান রুনু, জিএম ফয়সাল পারভেজ প্রমুখ। একুশে পদকে ভূষিত হওয়ায় ভৌত বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া’র সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন – সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন- তাবৎ বিশে^র মানব সভ্যতার উপর কোভিড১৯ যে কঠিন অপঘাতে হানা দিয়েছিল তা থেকে বেরিয়ে আসার আয়োজনের মধ্যদিয়ে সংস্কৃতিক কর্মীগণ আজ সন্দীপনা ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি দিয়ে নতুন অভিযাত্রা শুরু করেছে। এই অভিঘাতে আজ যারা আমাদের ছেড়ে গেছেন মঙ্গলালোকের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। সন্দীপনা তিন দশক পেরিয়ে দেশ ব্যাপী এমনকি দেশের বাইরেও সাংগঠনিক যে বিস্তৃতি ঘটিয়েছে, বাঙালী সংস্কৃতির চর্চাকে বর্হিবিশে^ ছড়িয়ে দিতে এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ আরো সমৃদ্ধ হবে তাতে সন্দেহ নেই। নতুন বিশ^কে সুন্দর, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতিময় করে তুলতে অবশ্যই সন্দীপনা নতুন এক বাতাবরণ রচনা করবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশন করেন- বাচিক শিল্পী মেজবাহ্ চৌধুরী, শিল্পী উজ্জ্বল সিংহ, শিল্পী বাসুদেব রুদ্র, শিল্পী এম এ হাসেম, শিল্পী স্বপন কুমার দাশ, শিল্পী মুসলিম আলী জনি, শিল্পী বৃষ্টি দাশ, ডা: শিল্পী শিউলী চৌধুরী, শিল্পী সমীর চন্দ্র সেন, তুর্জয় রায়, সৌমেন আচার্য, মো: আজগর আলী, পলাশ কুমার রায়, তন্ময় পাল প্রমুখ। সবশেষে লোকায়ত বাংলার কবি গানে অংশ নেন- কবিয়াল আব্দুল লতিফ, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, কবিয়াল শ্যামল দাশ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here